বানিয়াচংয়ে শিলাবৃষ্টিতে ১২০ হেক্টর বোরো ফসলের ক্ষয়ক্ষতি

প্রকাশিত: ৭:৩৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৮, ২০১৮

বানিয়াচংয়ে শিলাবৃষ্টিতে ১২০ হেক্টর বোরো ফসলের ক্ষয়ক্ষতি

Manual8 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : দক্ষিণা বাতাসে মাঠজুড়ে ফসলের ঢেউ। বোরো ফসলের বাম্পার ফলন দেখে গত বছরের বন্যার ক্ষতি পুসিয়ে নেয়ার স্বপ্ন আর মুখ ভরা হাসি ছিল কৃষকের। কিন্তু কে জানত মাত্র ১৫ মিনিটের শিলা বৃষ্টি সেই স্বপ্ন আর হাসি মলিন করে দেবে! কেউ না ভাবলেও এমনটাই ঘটেছে বানিয়াচঙ্গের সুবিদপুর ও মকরমপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের কৃষকের সাথে।

কৃষি অফিসের তথ্য মতে ওই দুই ইউনিয়নের আতুকুড়া, সুনারু, তেরাতিয়া ও নতুল­াপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের ১২০ হেক্টর জমির বোরো ধানের ক্ষতি হয়েছে। তবে তা সম্পুর্ণ নয়, আংশিক বলে দাবি কৃষি কর্মকর্তার।

Manual3 Ad Code

জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সন্ধার দিকে হঠাৎ করেই ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়। একটানা ১৫ মিনিট শিলাবৃষ্টি হওয়ায় ওই এলাকার হাওরগুলোর পাকা ও আধা পাকা ধান ঝড়ে যায়। সেই সাথে কাচা ধানগুলোর ফুল পড়ে যাওয়ায় সেগুলো থেকেও ফসল পাওয়ার সম্ভাবনা কমে গেছে। ঝড়ের কারণে অনেক জমিরগাছগুলো মাঠিতে শুয়ে পড়েছে। এতে করে ওই এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রামের কয়েক শতাধিক কৃষকের মাথায় হাত পড়েছে। চৈত্রের মাঝা মাঝিতেই প্রকৃতির এমন নিষ্টুরতায় অবাক সাধারণ কৃষকরা। গত বছরের ক্ষতি পুসিয়ে উঠার আগেই এ বছর আবারও ক্ষতির কারণে দুচোখে শুধু অন্ধকার দেখছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক পরিবারগুলো।

Manual5 Ad Code

এ ব্যাপারে নতুল­াপুর গ্রামের মো. আব্দুর রহিম জানান, ‘বৃষ্টিতে শিলা পড়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমার ২৫ কের ফসলের ধানের ক্ষতি হয়েছে। তার মধ্যে অন্তত ১৫ কের জমির ধান কাটাই সম্ভব হবে না।’

একই গ্রামের বাছির মিয়া জানান, ‘গত বছরের ঋণ এখনও শোধ করতে পারিনি। কিন্তু এ বছর আবার বিশাল ক্ষতি আমাকে পথে বসিয়ে দিয়েছে।’

সুবিদপুর গ্রামের বর্গাচাষী নিরদ সরকার জানান, ‘আমরা এখন কি করবো, আমাদের সব শেষ হয়ে গেছে। আমরা তো ঋণ করে বোরো আবাদ করেছিলাম। এখন আমরা কি খাবো, আর কি দিয়ে ঋণ দিব ?’

Manual7 Ad Code

একই গ্রামের নারদ সরকার, বিষ্ণুপদ সরকার বলেন- ‘গত বছর ধান পানিতে তলিয়ে যায়। এ বছর বাম্পার ফলন হয়েছিল। কিন্তু শিলা বৃষ্টি সব নষ্ট করে দিয়েছে।’

তেরাতিয়া গ্রামের কৃষাণি প্রজাপতি সরকার জানান, ‘বিভিন্ন স্থান থেকে ঋণ নিয়ে সামান্য কিছু জমি চাষ করেছিলাম। কিন্তু সব ধান পাকার আগেই শিলা বৃষ্টি নষ্ট করে দিয়েছে। এখন সারা বছর কি খাব আর কি দিয়ে ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া করাব বুঝতে পারছি না।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তফা ইকবাল আজাদ বলেন, উপজেলার দুটি ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের ১২০ হেক্টর জমির ধানের অংশিক ক্ষতি হয়েছে। তবে কিছু জমির ধান সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে।’

Manual5 Ad Code

তিনি বলেন- ‘আমরা ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ সরকারের কাছে পাঠিয়েছি। এখন সরকার যেন কৃষকদের ক্ষতিপুরণ দেয় তার চেষ্টা করব।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..