লিজার একমাত্র উদ্দ্যেশ্য বিয়ে করে অর্থ সম্পদ লুট

প্রকাশিত: ২:৩৬ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২, ২০১৮

লিজার একমাত্র উদ্দ্যেশ্য বিয়ে করে অর্থ সম্পদ লুট

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : হাসিনা আক্তার লিজা, সাং-পলাশোনা, পো: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, থানা-জয়দেবপুর, জেলা:-গাজীপুরের মোন্তাজ মিয়ার মেয়ে হাসিনা আক্তার (লিজা)। আইনগতভাবে এ পর্যন্ত ৭টি বিয়ের খোঁজ পাওয়া গেছে। এছাড়াও আর বিয়ে আছে কি-না একমাত্র স্বয়ং তিনিই বলতে পারেন। বিশেষ সূত্রে জানা যায়, আরও বহু পুরুষের সাখে তার সম্পর্ক রয়েছে। চার স্বামীর ঘরে চার সন্তান আছে তার। অনেক সময় স্বামীদের সাথে ডিএনএ টেষ্ট করলে মিল পাওয়া যায় না। লিজার একমাত্র উদ্দ্যেশ্য এভাবে বিয়ে করে অর্থ সম্পদ লুট করে নিঃস্ব করে ছেড়ে দেয়া। লিজার আরেকটি নিশা আছে স্বামীদের নামে মিথ্যা মামলা করা, গাজীপুরের কোর্ট আবার জয়দেবপুর থানায়। কখনো বা নারী নির্যাতন কখনো বা যৌতুক অভিযোগ মামলা করে। এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায় শুধু যে স্বামী নিয়ে থাকত তা নয়, প্রতিটা স্বামীর ঘরে থাকতেই অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলত অন্য পুরুষদের সাথে। আর স্বামী যখনই এটার আপত্তি করে তখনই শুরু হয় স্বামীর সাথে সংসার ভাঙ্গার ঝগড়া।

আর বাধ্য করে স্বামীকে তালাক দিতে। তালাকের সময় মামলা দিয়ে বাধ্য করে যৌতুকের বড় অঙ্কের টাকা। এলাকায় খোঁজ নিতে যেয়ে আরেক তথ্য বের হয়ে আসে, হাসিনা আক্তারের মা নিজেই জোগাড় করে দেয় খদ্দের মেয়ের জন্য এবং এক সময় লিজার মা নিজেও পতিতা ছিলেন। লিজার সর্বশেষ স্বামী আমজাদ হোসেন। আমজাদকে বিয়ে করার আগে নিজেকে কুমারী দাবি করে লিজা। অথচ আমজাদ তার সাত নম্বর স্বামী। সে দাবী করে আসছিল তার পেটে আমজাদের সন্তান এবং সমাজের গণ্যমান্য মানুষদেরও এই কথা জানায়, আর আশেপাশের বাড়ি মহল্লাতেও একই কথা ছড়িয়ে দেয় লিজা নিজেই। আমজাদের আগে থেকেই স্ত্রী সন্তান আছে। এরপর যখন বাচ্চা জন্ম নেয় আমজাদের সাথে ডিএনএ টেস্ট করলে সত্যতা পাওয়া যায়নি।

 

অর্থাৎ ডিএনএ টেস্টে পরিস্কার হয়ে যায় যে, এই সন্তান আমজাদের না। অথচ এই সন্তান আমজাদের বলে দাবী করে জোর করে বিয়ে করে আমজাদের মানসম্মান নষ্ট করার জন্য। আমজাদকে ব্ল্যাকমেইল করে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় হাসিনা আক্তার। এই নারীর জন্য এখন আমজাদের পুরো পরিবার ধ্বংসের দিকে। শুধু আমজাদ নয় তার পূর্বের স্বামীগণকে এভাবে পথে বসিয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হাসিনার পুরো পরিবারটাই প্রতারক প্রকৃতির। আর কিছু বলতে গেলেই মামলা নামক সহজ অস্ত্র দিয়ে থামিয়ে রাখার চেষ্ট করে। একজনের টাকা শেষ হলে আরেকজনের কাছে যাওয়াই নিয়মিত কাজ এই দুরদর্শী মহিলা হাসিনা আক্তার লিজার।

আবারো মিথ্যা মামলা, পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর পরেই ২২-০৩-২০১৮ তারিখে আমজাদ ও তার পরিবারের নামে গাজীপুর কোর্টে আবারও মিথ্যা মামলা দায় করেন হাসিনা আক্তার লিজা। বিশেষভাবে জানা যায় যে, বর্তমান মিথ্যা মামলায় যাদের স্বাক্ষী করা হয়েছে তাদের সাথে কথা বললে, কোন স্বাক্ষী দেয়ার সময়ে কাউকে কিছু জানায়নি হাসিনা আক্তার। ৩১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আলমাছ মোল্লা বলেন, হাসিনা আক্তার ও তার মা দু’জনই চরিত্রহীনা তারা সব সময় খারাপ কাজ করে থাকেন এবং আরেক স্বাক্ষী লিটন মোল্লা একই কথা বলেন। বর্তমানে মামলাটি পুলিশ তদন্ত আছে।

হাসিনা আক্তার লিজির ব্যাপারে সরেজমিনে গিয়ে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সমাজের গণ্যমান্য মানুষের কাছে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সে এবং তার মা একজন পেশাদার দেহ ব্যবসায়ী। শুধু যে দেহব্যবসা করে তা নয়, বিয়ের নাটক ও মানুষকে ফাঁসিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় এই মা ও মেয়ে।
হাসিনার আপন চাচাতো বোন শিল্পী বলেন, সে খুলনার সাজিদ নামে এক ছেলেকে প্রায় আমার বাসায় নিয়ে আসতো। শিল্পী বলেন, একদিন আমি লিজার বাসায় বেড়াতে এসে দেখি এ খানে অন্য আরেক ব্যাক্তি নিয়ে হাসিনা আক্তার বসবাস করছেন। শিল্পী বলেন, দেখা যায় এ রকম আরো অনেক পুরুষ তার বাসায় রাত কাটায়। তার মা নিজেই খুলনার ছেলেকে তার মেয়ের স্বামী বলে পরিচয় দিত আসলে তার মেয়ের স্বামী ছিল না। এর আগে লিজা মামুন নামের একজন স্বামী ছিল সে তাকে ছেড়ে চলে যায়, কারণ মাইশা নামের বাচ্চাটার বাবা হাসিনা মামুনকে দাবী করলেও মামুনের সাথে মায়শার ডিএনএ টেস্ট মেলে না। তাদের এ দেহ ব্যবসার কারণে আমার চাচা বার বছর আগে লিজার মাকে ছেড়ে দেয় বলে শিল্পী জানায়।

এছাড়াও আর একজনের সাথে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ সম্পর্ক চলে আসছে বলে জানা যায়। তিনি হলেন গাজীপুর নান্দুয়াইন এর উপেন্দ্র চন্দ্র বর্মণ এর ছেলে সুবাস চন্দ্র বর্মণ। যাকে হাসিনা দাদা বলে ডাকে। তিনি একজন ৪র্থ পর্যায়ের সরকারী কর্মচারী এবং হাসিনার অনেক মামলার সাক্ষী বলে জানা যায়।
গাজীপুর মৈরানের ইদ্রিস আলী মাতব্বর, সম্পর্কে হাসিনার নানা। তিনি বলেন ওর মা এবং ওরা দুজনেই খুবই খারাপ চরিত্রের। ওরা মানুষের টাকা পয়সা আত্মসাৎ করে মানুষের সংসার শেষ করে দিচ্ছে। যে কারনে আমরাও আমাদের বাড়িতে জায়গা দেই না।
হাসিনার আপন খালাতো ভাই গাজীপুর ৩১ নং ওয়ার্ডের আক্কাছকে তার বোনের ব্যাপারে জানতে চাইলে বলে; হাসিনাদের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। আমরা জানতে চাই আপনার সাথে কোন সম্পর্ক না থাকলে তার বিভিন্ন মামলার সাক্ষী আপনাকে কিভাবে করল প্রশ্ন করলে আক্কাছ বলে, স্বাক্ষী হিসেবে নাম দেয়ার জন্য সে আমার কাছ থেকে কোন প্রকার অনুমতি নেয় নাই। সে তার খেয়াল খুশি মত আমার নাম দিয়েছে। সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায় সাধারণ মানুষ ও চায়ের দোকানদার হোসেন এবং শের আলীসহ আরো অনেক ব্যক্তির কাছ থেকে জানা যায়, আক্কাছ কয়েকটি মামলার স্বাক্ষী দিতে আদালতেও গিয়েছে এবং হাসিনার সাথে আক্কাছের একটি গভীর সম্পর্কও রয়েছে।

এ ব্যপারে গাজীপুরের ৩১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলহাজ্ব মো. রফিক উজ্জামান বলেন- আমি অনেক আগে থেকেই জানি যে ওরা খারাপ চরিত্রের। কাউন্সিলর বলেন এলাকায় আমজাদ সম্মানিত পরিবারের সন্তান, সমাজে আমজাদের অনেক মানসম্মান রয়েছে। তথ্য অনুযায়ী বিয়ের তিন মাস পর কিভাবে বাচ্চা হয় আমাদের জানা না থাকলেও হাসিনার জানা আছে মনে হয়। তাহলে কে এই বাচ্চার বাবা?

শিল্পী আরও বলেন এ দিকে আমজাদের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষী হতে না চাওয়ায় আমাকে হুমকি দিয়ে বলে তুই যদি আমার পক্ষে সাক্ষী না দিস তাহলে তুইও তোর স্বামীর সাথে কি করে সংসার করিস আমি দেখে নিব। তোর সংসার আমি ভেঙ্গে দিব মনে রাখিস।

গাজীপুর জেলার কৃষকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লিটন মোল্লা বলেন, মা এবং মেয়ে দুজনেই দুশ্চরিত্রা । আর এ কারনেই তার বাবা তাদের ছেড়ে চলে যায়। সব কিছু জানা সত্ত্বেও আমরা এক প্রকার চাপে পড়ে এবং সামাজিক অবস্থান ও মানসম্মানের বিবেচনা করে আমজাদের সাথে হাসিনাকে জোর করে বিয়ে দিতে বাধ্য হই। হাসিনার সাথে কিছু লোক আছে যারা তার পেছনে থেকে হাসিনাকে বিভিন্নভাবে এ সকল খারাপ কাজের সহযোগীতা করে থাকে।

এদিকে হাসিনার বড় বোনের শশুর বাড়ির এলাকা গাজীপুর ২৯ এবং ৩২নং ওয়ার্ডে খোঁজ নিয়ে জানা যায় হাসিনার বোন জামাইয়ের প্রতিবেশীরা বলেন, হাসিনার বড় বোনও ছিল হাসিনার মত পরকীয়ায় আসক্ত। যেটা সহ্য করতে না পেরে হাসিনা আক্তার লিজার বোন জামাই আত্মহত্যা করে মারা যায়। ওদের পুরো পরিবারই খারাপ চরিত্রের। এছাড়াও গাজীপুর ৩১ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আলহাজ্জ জাকির হোসেন, গাজীপুর ৩১নং ওয়ার্ডের কৃষকলীগের সেক্রেটারি স্বপন মিয়া, ওয়াহিদুল্লহসহ স্থানীয় অনেকেই বলেন, হাসিনার মা এবং হাসিনা নিজেই মানুষের জীবন-সংসার শেষ করে মানুষকে পথে বসিয়ে দিচ্ছে। হাসিনা আক্তারের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে কথার মাঝে অনেক সত্য কথা বলে দেয়। এ বিষয় বেশী জানতে চাইলে হাসিনা আক্তার লিজা সাংবাদিককে বিভিন্নভাবে কুপ্রস্তাব দেয় তা না হলে মামলার হুমকি দেয়।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..