সিলেট ৩রা অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ৪:০৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২, ২০১৮
সোমবার (০২ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে সিসিক’র মালিকানাধীন বন্দর বাজারস্থ ওই মার্কেটের দ্বিতীয়তলা পরিদর্শনে গিয়ে ‘ব্যাচেলর হোটেল’ নামের ওই পতিতালয়ের সন্ধান পেয়ে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী পুলিশে খবর দেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। পরে এসে অভিযান চালিয়ে অবৈধ কার্যকলাপের দায়ে তাদের আটক করে।
আটককৃতদের মধ্যে আবদুস শহীদ নামের এক কর্মচারী অভিযানকালে উপস্থিত সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে জানিয়েছে এই ‘পতিতালয়ের মালিক’ মালিক নগরীর মেন্দিবাগের আলাউদ্দিন আলো।
সিসিক সূত্রে জানা যায়, সিসিক’র মালিকানাধীন সন্ধ্যা বাজার (বিপনী বিতান) মার্কেটের দ্বিতীয়তলায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ঘর তৈরি করে ‘ব্যাচেলর হোটেল’ নাম দিয়ে ভোগদখল করে আসছিলেন আলা উদ্দিন আলোসহ কয়েক ব্যক্তি। এই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের লক্ষ্যে সোমবার দুপুরে মার্কেট পরিদর্শনে যান মেয়র আরিফুল হক।
এসময় ওই মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানান, মার্কেটের দ্বিতীয়তলায় অবৈধভাবে নির্মিত ‘হোটেল ব্যাচেলরে’ দীর্ঘদিন ধরে অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছেন আলা উদ্দিন আলো।
ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে এই তথ্য পেয়ে দ্বিতীয় তলা পরিদর্শনে যান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এসময় মার্কেটের পশ্চিম দক্ষিণ পাশে নির্মিত একটি ‘ব্যাচেলর হোটেলে’ গিয়ে তিনি অসামাজিক কার্যকলাপের প্রমাণ পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে ওই পতিতালয়ে থাকা ৬ নারী যৌনকর্মী ও দুই হোটেল কর্মচারীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এসময় সিটি মেয়র আরিফুল হক জানান, মার্কেটটি বেশ পুরোনো হওয়ায় অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ। ওই মার্কেটের দ্বিতীয়তলায় নির্মিত ঘরগুলোও অবৈধ। দীর্ঘদিন ধরে এসব অবৈধ ঘরের ভেতর অসামাজিক কার্যকলাপ চলে আসছে বলে স্থানীয় লোকজন ও ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে আসছেন। এরই প্রেক্ষিতে অবৈধ এই স্থাপনা সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগেই ভাঙ্গা শুরু করেছে।
আটককৃতরা হলো- সুনামগঞ্জ জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার বাইদুল্লাহপুর গ্রামের আবদুল মুক্তাদিরের ছেলে আবদুস শহীদ ও জকিগঞ্জ উপজেলার কসকনকপুর কামারপাড়ার মৃত আব্বাসের ছেলে মোস্তাক আহমদ, বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের শওকত আলীর মেয়ে জ্যোতি (২৮), সুনামগঞ্জের বিশ্বম্বরপুর থানার পলাশ গ্রামের ঝর্ণা (১৯), গাজীপুরের শ্রীপুর থানার তাজুল ইসলামের মেয়ে আঁখি (২২), গাজীপুর সদর থানার সজিব আহমদের মেয়ে সুমি (২৮), ভোলা থানার পাটিয়া গ্রামের প্রিয়া (১৯) ও ব্রাহ্মনবাড়িয়ার নবীনগর থানার নতুনপূর্ণ গ্রামের কদ্দুস মিয়ার মেয়ে কাজল (২৪)। এসময় হোটেল থেকে জুয়া ও মাদক সামগ্রীও উদ্ধার করা হয়।
অভিযানকালে হোটেলের (পতিতালয়) কর্মচারী আবদুস শহীদ জানায়, মেন্দিবাগের আলাউদ্দিন আলো ওই হোটেলের মালিক। হোটেলটির তত্তাবধান করেন মালেক নামের এক ব্যক্তি। অভিযান টের পেয়ে মালেক হোটেল থেকে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে জানতে আলাউদ্দিন আলোর সাথে যোগাযোগ করা তিনি জানান, ব্যাচেলর হোটেল বা পতিতালয়ের ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই।
এর সাথে তিনি জড়িত নয় দাবী করে বলেন, সন্ধ্যাবাজার ব্যবসায়ী সমিতি সিসিক’র কাছ থেকে লিজ নিয়ে ওই হোটেল পরিচালনা করে আসছে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গৌছুল হোসেন জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গস্খহণ করা হবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd