সুনামগঞ্জে আ.লীগের অফিস ভাংচুর নিয়ে উত্তপ্ত : গণমাধ্যমে বিবৃতি

প্রকাশিত: ১০:৫৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১, ২০১৮

সুনামগঞ্জে আ.লীগের অফিস ভাংচুর নিয়ে উত্তপ্ত : গণমাধ্যমে বিবৃতি

Manual5 Ad Code

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: ধর্মপাশায় একটি স্কুলের মাঠে ক্যান্টিন নির্মাণ নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা এবং পরবর্তীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলমগীর কবিরের অফিস ভাংচুর নিয়ে উত্তপ্ত এখন সুনামগঞ্জ-১ নির্বাচনী এলাকার আওয়ামী লীগের রাজনীতি। স্থানীয় সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন বিরোধী বলয়ের নেতা আলমগীর কবিরের পক্ষে এই ইস্যুতে যুক্ত হয়েছেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীরাও। গত ২৭ মার্চ ধর্মপাশায় আলমগীর কবিরের অফিস ভাংচুরের এই ঘটনা ঘটে। এসময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগও শুক্রবার এক বিবৃতিতে বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুরকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা উল্লেখ করেছে। এদিকে, ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগও আজ রোববার এই ইস্যুতে সুনামগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন করবে বলে দলের দায়িত্বশীল এক নেতা জানিয়েছেন।

Manual1 Ad Code

জানা যায়, ধর্মপাশার জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি আলমগীর কবির। তিনি স্থানীয়ভাবে সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন বিরোধী বলয়ের নেতা হিসাবে পরিচিত। জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি ভবন নির্মাণের সময় স্থানীয় সংসদ সদস্যের নাম ফলক সরিয়ে নেওয়ায় মূলত. এমপি ও আলমগীর কবিরের বলয়ের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরবর্তীতে মাঠে ক্যান্টিন নির্মাণের বিষয়টিকে ইস্যু করে দুই পক্ষের লোকজন সংঘর্ষেও জড়ায়। এসময় আলমগীর কবিরের অফিস ভাংচুর হয়। আলমগীর কবির দাবি করছেন ঘটনার সময় তাঁর অফিসে থাকা বঙ্গবন্ধুর ছবি ও দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিও ভাংচুর হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের শুক্রবারের সভায় জাতির জনকের ছবি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুরের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবার কথা বলা হয়েছে।

Manual4 Ad Code

ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ বিলকিস বলেন, ‘আলমগীর কবির আওয়ামী লীগের একটি বলয়ের সঙ্গে যুক্ত। জেলা কমিটির নেতারা আমাদেরও নেতা। তারা যাচাই করেই সিদ্ধান্ত নেবেন বলে মনে করি আমি। আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর করতে পারে না। এটি আলমগীর কবিরের সাজানো নাটক। এই বিষয়টি রোববার সুনামগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন করে জানাবো আমরা।’

ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলমগীর কবির বলেন,‘২৭ মার্চে সংসদ সদস্যের অনুসারীগণ আমার অফিস ভাংচুর, বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুরের ঘটনার বিষয়ে আমি কোন মিথ্যা কথা বলিনি। আমার কাছে ভিডিও ফুটেজও আছে। এই ঘটনার বিচার চাই আমি।’

Manual5 Ad Code

সুনামগঞ্জ-১ (জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা ও তাহিরপুর) আসনে আগামী জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী বিনয় ভূষণ তালুকদার বলেন,‘একজন রাজনৈতিক নেতার অফিস ভাংচুর এবং বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুরের বিষয়টি কোনভাবেই কাম্য নয়। সামান্য বিষয় নিয়ে এমন ঘটনা ঘটার আগে স্থানীয় সংসদ সদস্য মিমাংসা করে দিতে পারতেন।’

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন বলেন,‘ধর্মপাশায় আলমগীর কবিরের অফিস ভাংচুরের সময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুরের অভিযোগ ওঠায় জেলা আওয়ামী লীগের সকলেই ব্যথিত হয়েছেন। কে বা কারা ছবি ভাংচুর করেছে তদন্ত সাপেক্ষে বের করে ব্যবস্থা নেবার কথা বলা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটির সকল সদস্যকে শীঘ্রই চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।’

Manual4 Ad Code

‘ধর্মপাশায় আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যালয় একটিই। ঘটনার দিন আমি সুনামগঞ্জে ছিলাম। ওখানে জাতির জনকের কিংবা আমাদের দলীয় প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর হয়েছে বলে জানা নেই আমার। আলমগীর কবির মিথ্যা অভিযোগে মামলা দায়ের করতে চেয়েছিলেন, পুলিশ মামলা নেয়নি।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..