‘শিলং তীর জুয়া’র গডফাদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি

প্রকাশিত: ১:২৫ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২৪, ২০১৮

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সমাজ ও আত্মবিধ্বংসী ‘শিলং তীর জুয়া’ খেলা বন্ধের দাবি জানিয়ে দক্ষিণ সুরমাবাসীর পক্ষ থেকে সিলেটের জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। “মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বহুল সমালোচিত এই শিলং তীর জুয়া অর্থনৈতিকভাবেও দেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর উল্লেখ করে স্মারকলিপিতে বলা হয়, চিহ্নিত প্রভাবশালী গডফাদারদের প্রত্যক্ষ মদদে দক্ষিণ সুরমার সর্বত্র এই বিষবাষ্প ছড়িয়ে পড়েছে। এদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্মারকলিপিতে জোর দাবি জানানো হয়। স্মারকলিপির অনুলিপি সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি)’র কমিশনার, কোতোয়ালি ও দক্ষিণ সুরমা থানার অফিসার ইনচার্জের কাছেও হস্তান্তর করা হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, নগরীর টেকনিক্যাল রোড, সাধুরবাজার, ভার্থখলা নদীরপাড়, স্টেশন রোড, কদমতলী বালুর মাঠ, ঝালোপাড়া, চাঁদনীঘাট, পুরাতন স্টেশন রোড, বঙ্গবীর রোড, মকনের দোকান, বাস টার্মিনাল রোড, রেলওয়ে স্টেশন এপ্রোচ রোড, রেলওয়ে স্টেশনসহ পুরো দক্ষিণ সুরমা এলাকা ওদের নেটওয়ার্কের আওতায় ঢুকে পড়েছে। এসব এলাকায় প্রায় প্রকাশ্যেই চলছে ‘শিলং তীর জুয়া’ খেলা। কিন্তু পুলিশ প্রশাসন এদের বিরুদ্ধে কোন কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ফলে ‘শিলং তীর জুয়া’র হোতারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়, টেকনিক্যাল রোডস্থ সাধুরবাজার এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ আব্দুল করিম একই অভিযোগে ১৮ জন অপরাধীর নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করে গত ৯ এবং ১৬ জানুয়ারি জেলা প্রশাসক বরাবরে পৃথক দু’টো দরখাস্ত পেশ করেন (ডকেট নং-৫৩ ও ৩৯)।
‘এই অর্থবিনাশী ‘শিলং তীর জুয়া’র বিরুদ্ধে এলাকাবাসী বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ, মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছেন’ উল্লেখ করে স্মারকলিপিতে বলা হয়, তারপরও প্রশাসনের টনক নড়ছে না। তাই দেশের বৈদেশিক মুদ্রা রক্ষা, সামাজিক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তরুণ ও যুবসমাজকে আত্মবিধ্বংসী অপকর্ম থেকে মূল¯্রােতে ফেরাতে অবিলম্বে গডফাদারদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
স্মারকলিপিতে নতুন আরো ১০ জনকে ‘শিলং তীর জুয়া’র গডফাদার হিসেবে উল্লেখ করে তাদের নাম-ঠিকানা তুলে ধরা হয়।
স্মারকলিপিতে অন্যান্যের মধ্যে স্বাক্ষর করেন দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বরইকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ রইছ আলী, বর্ষীয়ান সমাজসেবী ও সালিশ বিচারক মোঃ রেদওয়ান মিয়া, মোঃ জিতু মিয়া, হারিছ আলী, মোঃ রফিক মিয়া, মোঃ উমর আলী, হাজী মোঃ মখলিছ মিয়া, হাফেজ মাওলানা জাকির হোসাইন, মোঃ কুতুব মিয়া, মোঃ তারেক আহমদসহ প্রায় শতাধিক ব্যক্তি।-বিজ্ঞপ্তি

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..