সিলেট ৯ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৩ই মহর্রম, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ২:১৫ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২৩, ২০১৮
নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেট নগরীতে সংঘবদ্ধ একদল ভুয়া সাংবাদিকের দৌরাত্ম্যে সরকারী দপ্তর, বিভিন্ন ব্যবসায়ী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও স্থানীয় থানা-পুলিশসহ সর্বস্তরের জনগণ অতিষ্ঠ ও অসহায় হয়ে পড়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। মাত্র পাঁচশত টাকা খরচ করলেই এই সংগঠনের সম্মানিত সাংবাদিক হওয়া যায় বলে অনেকেই আক্ষেপের সাথে অভিযোগ করছেন।
সরেজমীনে অনুসন্ধানে জানা গছে, কোনো নির্দিষ্ট পত্র-পত্রিকা বা গনমাধ্যমে চাকরী না করেও সিলেটস্থ নামধারী বিভিন্ন সাংবাদিক উন্নয়ন সংস্থার সদস্য পরিচয় দিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গোটা সিলেট নগরীতে। অথচ উচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা তো দূরের কথা; এদের অনেকেরই প্রাথমিক শিক্ষাগত যোগ্যতাও নেই! সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে ‘সাংবাদিক’ শব্দটি সঠিকভাবে লেখা/উচ্চারনসহ নিজের নামটিও লিখতে পারেন না এই ভুয়া সাংবাদিকদের অনেকেই।
এ ধরনের কয়েকজন নামধারী সাংবাদিকদের সাথে কথা বলে তাদের সাংবাদিকতার নেপথ্যে জানতে চাইলে বেড়িয়ে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর ও লোমহর্ষক ব্যাপার! নিজের ইচ্ছা থাকলেই মাত্র এক হাজার টাকার বিনিময়েই নাকি সাংবাদিক হওয়াসহ এসকল সাংবাদিক উন্নয়ন সংস্থার বড় পদধারী বনে যাওয়া একটি তুচ্ছ ব্যপার!
পক্ষান্তরে জনমনে পশ্ন; ছোট্ট একটি এলাকায় এত সাংবাদিক কি করে থাকে? যে কোনো ঘটনা-দূর্ঘটনায়ই দলবেধে হাজির হয় এই বাহিনী। তাদের আচরন চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের মত। সন্ত্রাসীরা চাঁদা না পেলে যেমন গুলি করে হত্যা করার হুমকী দেয় তেমনি এরা সংবাদপত্রে প্রকাশের ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে মোটা অংকের চাঁদা আদায়সহ হয়রানী করে আসছে।
স্থানীয় প্রশাসন ও প্রকৃত সাংবাদিকদের প্রশ্ন-পাঁচশ/হাজার টাকার বিনিময়ে সাংবাদিক তৈরির কারিগর ও এসকল ভিত্তিহীন প্রতিষ্ঠানের অন্তরালে চাঁদাবাজীর নেপথ্য আসলে কারা রয়েছে?
জানা গেছে, সম্প্রতি পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রকৃত সাংবাদিকগণও কয়েকদফা তাদের বর্বরতার স্বীকার হয়েছেন।ফলে এ অঞ্চলের বাসিন্দাদের মধ্যে সাংবাদিক ও সংবাদপত্র সম্পর্কে নেতিবাচক ধারনার জন্ম দিয়েছে। এ সংক্রান্ত সমস্যা থেকে মুক্তি চায় ভুক্তভোগীরা ।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd