সিলেট ৮ই মার্চ, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে ফাল্গুন, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ | ২৩শে রজব, ১৪৪২ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:১০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১২, ২০১৮
Sharing is caring!
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর থেকে চালু হয়েছে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯। এতে কল করলেই নাগরিকটা সম্পূর্ণ টোলমুক্ত কলের মাধ্যমে যেকোনো সেবা পেতে পারেন। ইতিমধ্যে এই নম্বর যেকোনো বিপদে কল করছে মানুষ, মিলছে সেবা। তারই এক নমুনা উঠে এলো ফেসবুকের একটি পোস্টে। এখানে পিকলু চৌধুরির প্রোফাইল থেকে তার পোস্টটা হুবহু তুলে ধরা হলো-
গুলশান এক নাম্বারে এই বাচ্চাটিকে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে এক দম্পতি পরিবার। বাচ্চাটি বাসা খুছে পাচ্ছে না, কান্নাকাটি করছিলো । পরম মমতায় দম্পতি পরিবার চেষ্টা করছিলেন জানার বাচ্চার নাম, বাবা, মায়ের নাম এবং ঠিকানা। কিছু কিছু তথ্য বাচ্চাটি দিলেও বাসা ঠিক কোথায় বলতে পারছে নাহ শুধুমাত্র লোকেশন ছাড়া। এর মধ্যে আরেক দম্পতি পরিবার আসে তাদের সাহায্য করতে। পুলিশের একজন সদস্যও আসে কিন্তু সে বাচ্চাটিকে নিয়ে লোকেশনে যেতে পারছে না ডিউটি স্থান রেখে যা আমাদের কাছে যৌক্তিক মনে হয়েছে।
আমার হঠাৎ “” ৯৯৯ “” এর কথা মনে হলো। কল দিলাম, তারা ডিটেইলস শুনলেন এবং গুলশান পুলিশকে জানালেন। আমাদের অবাক করে দিয়ে গুলশান থানার ইনভেস্টিগেশন অফিসার সালাউদ্দিন কল দিলেন মাত্র ১ মিনিটের মাথায়। তিনি জানালেন গাড়ি পাঠানো হয়েছে একজন এসআই-সহ এবং বাচ্চাটির পরিবারকে খুজেঁ পেতে সব ধরনের চেষ্টা তারা করবেন। আরো অবাক করে দিয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশের গাড়ি আসলো এবং বাচ্চাটিকে বুঝে নিলো।
বাচ্চার বাবা মাকে খুজেঁ পেয়েছে পুলিশ এবং তাদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে বাচ্চাটিকে।
এই লেখাটির কারণ হলো আগে শুনতাম আমেরিকা ইউরোপে এই ধরনের সুবিধা পায় তাদের নাগরিকরা আর এখন আমরাই সেই সুবিধা পাচ্ছি খুব দ্রুত সময়ে।
ধন্যবাদ “” 999 “”
ধন্যবাদ “” বাংলাদেশ পুলিশ “”
ধন্যবাদ “” মাননীয় প্রধানমন্ত্রী “”
আর দম্পতি পরিবার দুইটিকে বিশেষ ধন্যবাদ তাদের মানবিক আচরণের জন্য। আপনারা আছেন বলেই আমরা এখন আলোর দেখা পাই।
সূত্র : ফেসবুক
………………………..
Design and developed by best-bd