সিলেট ১৭ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৬ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:৫৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১০, ২০১৮
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক :: জোর করে বিয়ে করার কীর্তি ফাঁস হয়েছে আগে। এবার নতুন আলোচনার জন্ম দিলেন প্রত্যাহার হওয়া পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিআইজি) মিজানুর রহমান।
দুই সাংবাদিককে প্রাননাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দেয়া হত্যার হুমকির ভয়েস রেকর্ড আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে এসেছে।
এই দুই সাংবাদিক হচ্ছে, দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার নেসারুল হক খোকন এবং যমুনা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ তুহিন। এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব)।
সম্প্রতি ডিআইজি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে এক নারীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে জোর করে বিয়ে এবং ওই নারীর উপর নির্মম নির্যাতন করার বিষয়ে দৈনিক যুগান্তর ও যমুনা টেলিভিশনে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ডিআইজি ওই সাংবাদিকদের প্রাণনাশের হুমকি দেন এবং তাদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন।
সংবাদ প্রকাশের পর তা পুলিশসহ সব মহলে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার পর ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার পদ থেকে তাকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
বুধবার ক্র্যাব থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অতিরিক্ত ডিআইজি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানানো হয়েছে। একইসাথে নিরাপত্তার স্বার্থে তার লাইসেন্সকৃত ব্যক্তিগত পিস্তলটি পুলিশের হেফাজতে নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে
এক যৌথ বিবৃতিতে ক্র্যাব সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার আলম ঘটনাকে ন্যাক্কারজনক উল্লেখ করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, সংবাদ প্রচার-প্রকাশ করায় পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান গত মঙ্গলবার রাতে দু’জন পেশাদার সাংবাদিককে ফোনে গুলি করে হত্যা করার যে হুমকি দিয়েছেন, তা শুধু অপেশাদার আচরণই নয়- রীতিমতো ক্ষমতার অপব্যবহার, ধৃষ্টতা এবং সীমা লংঘনের সামিল। বিষয়টি প্রচলিত আইনে ফৌজদারি অপরাধ। এটি অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকরা যে পুলিশি হয়রানির শিকার হচ্ছেন- এ ঘটনা তার আরেকটি জ্বলন্ত প্রমাণ।’
এছাড়া যে দুই সাংবাদিককে হুমকি দেয়া হয়েছে, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ডিআইজি মিজানুর রহমানের লাইসেন্সকৃত ব্যক্তিগত পিস্তলটি পুলিশের হেফাজতে নেয়ার দাবি জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd