সিলেট ৩০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৭ই রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:৫৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :: ঢাকাস্থ কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের স্টাফ নার্সদের মধ্য চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। জনৈক সিনিয়র স্টাফ নার্স আরিফা সলতানা ও তার সিন্ডিকেট দ্বারা ওই হাসপাতালের ৭৯ জন স্টাফ নার্স নানা লাঞ্চনা বঞ্চনা, হয়রানী, নিপীড়ন ও চাঁদাবাজির শিকার হয়ে আসছেন। আরিফা সিন্ডিকেটের অনিয়ম দুর্নীতি,স্বেচ্ছাচারিতা,ক্ষমতার অপব্যবহার ও অত্যাচারে হাসপাতালের স্টাফ নার্সরা অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন। এই হাসপাতালে এখন অনিয়মই যেনো নিয়মে পরিনত হয়ে গেছে । ফলে চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম।
সম্প্রতি নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর এর মহাপরিচালক বরাবরে হাসপাতালের স্টাফ নার্সদের দেওয়া দীর্ঘ কলেবরের এক অভিযোগ থেকে কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে এক সিনিয়র স্টাফ নার্সের সিন্ডকেট, অনিয়ম দুর্নীতি, অত্যাচার অবিচার ও স্বেচ্ছাচারিতার বিস্তর তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
অভিযোগে প্রকাশ- কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স আরিফা সুলতানা হাসপাতালে যোগদানে পর তার সহযোগিদের নিয়ে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বসে এনে নিয়ম ও বিধিবহির্ভুত ভাবে হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। হাসপাতালের ডিউটি ফাকি দিয়ে সিনিয়র স্টাফ নার্স
আরিফা সুলতানা বিধিবহির্ভুত ভাবে পাঁচটি প্রাইভেট নার্সিং কলেজে খণ্ডকালীন শিক্ষকতা, আশপাশের ডায়গনিস্টিক সেন্টারগুলোত কাজ এবং সর্বোপরি মাস্টার্স ক্লাসে অধ্যয়ন করছেন।
কোভিড কালীন সময় থেকে অনিয়ম-দুর্নীতি, হাসপাতালের ঔষধ ও চিকৎসা সমগ্রী বিক্রি, আইসিইউ’র সিট বিক্র, অযোগ্যদের পদায়ন বাণিজ্য এবং বিভিন্ন কলেজে ভর্তি বাণিজ্য করে আরিফা সুলতানা ইতোমধ্যে রাজধানীর অভিজাত এলাকায় তিন তিনটি ফ্ল্যাট বাড়ির মালিক হয়েছেন। অথচ তার স্বামী গরীব ও এতিম পরিবারের ছেলে এবং একটি ফিজিওথেরপিতে কাজ করেন। বাস করেন সরকারি কোয়ার্টারে।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, সিনিয়র স্টাফ নার্স আরিফা সলতানা বিদেশে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে যোগ দিয়ে দেশে ফেরার পর যেনো ‘নার্সিং সম্রাজ্ঞী’র আসনে অধিষ্টিত হয়ে গেছেন। তার নির্দেশের বাইরে হাসপাতাল পরিচালিত হচ্ছে না। বিশেষ ক্ষমতা বলে কর্তৃপক্ষকে বসে এনে যথেচ্ছ ভাবে হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
তার সিন্ডিকেটের সদস্য শিক্ষাগত অযোগ্য অনেক জুনিয়র স্টাফ নার্সদের হাসপতালের সেবা তত্বাবধায়ক উপসেবা তত্বাবধায়ক ও সুপারভাইজার বানিয়ে নিয়েছেন। এতে করে অনেক সিনিয়র ও যোগ্য স্টাফ নার্স সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছেন।
সিনিয়র স্টাফ নার্স আরিফা সুলতানা হাসপাতালে অযৌক্তক ও নিয়মবহির্ভুত বিভিন্ন প্রোগ্রাম ও পার্টির আয়োজন করে নিরীহ স্টাফ নার্সদের থেকে ঘনঘন চাঁদা আদায় করে থাকেন। চাঁদা দিতে অপরগতা প্রকাশ করলে বদলী পদাবনতি-সহ নানা নিপীড়নের শিকার হতে হয়।
সিনিয়র স্টাফ নার্স আরিফা সুলতানা ও তার হাতে গড়া সিন্ডিকেটের স্বেচ্ছারিতায় উক্ত হাসপাতালে আজোবধি কোনো যোগ্য সেবা তত্বাবধায়ক ও উপসেবা তত্বাবধায়ক নিয়োগ পাননি।
সিনিয়র স্টাফ নার্স আরিফা সুলতানা সিন্ডিকেটের অপর সদস্যরা হচ্ছেন-ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেন্ট (হিসাব) সিনিয়র স্টাফ নার্স খালেদা পারভীন, নার্সিং সুপরিন্টেন্ডেন্ট (চলতি দায়িত্ব) সিনিয়র স্টাফ নার্স নাজমা বেগম, নার্সিং সুপারভাইজার সিনিয়র স্টাফ নার্স মাহবুব আলম, সিনিয়র স্টাফ নার্স (গাইনী ওয়ার্ড ইনচার্জ) মিতালী খাতুন, সিনিয়র স্টাফ নার্স (নার্সিং প্রশাসন) থ্যাকলা নিপু রোজারিও, সিনিয়র স্টাফ নার্স (ইনচার্জ মহিলা ওয়ার্ড) মর্জিনা খাতুন, সিনিয়র স্টাফ (সাবেক ইনচার্জ পোস্ট অপারেটিভ) ছালমা আক্তার, সিনিয়র স্টাফ নার্স (ইনচার্জ ইমারজেন্সি বিভাগ) নাহিদা রহমান।
আবেদনে কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালের স্বৈরাচারী সিনিয়র স্টাফ নার্স আরিফা সুলতানা ও তার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবি জানানো হয়েছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd