সিলেট ২৫শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৬শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:১২ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২১, ২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক :সিলেটের হাজী শমসের আলী একজন সফল রেমিট্যান্স যোদ্ধা। জীবিকার তাগিদে ১৯৮৭ সালে পরিবার পরিজনের মায়া ত্যাগ করে পাড়ি জমান মধ্যপ্রাচ্যের দেশ দুবাই।
নিজের সন্তান-আত্বীয় স্বজনের মুখে একটু হাসি ফোটানোর জন্য ৪৪° তাপমাত্রায় কাজ করতে থাকেন দিনের পর দিন। একসময় সফলতাও পান। জাসিম পেইন্টিং এন্ড ডেকর ওয়ার্কস নামে নিজের একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন সেখানে। বর্তমানে ওই প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার প্রায় অর্ধ শতাধিক শ্রমিক।
একসময় প্রতিষ্ঠানটিও বড় পরিসরে উন্নতি লাভ করে। কাজের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় বড় ছেলে ফরিদ এবং ছোট ছেলে পারভেজ কে সেখানে নিয়ে যান। ছেলেরা তার পিতার প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানটির হাল ধরেন। নিজের মধ্যে একটু স্বস্তি ফিরে পান শমসের আলী। মাঝেমধ্যে দেশে আসেন, কিছুদিন থাকার পর আবার ফিরেও যান দুবাই।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দেশেই অবস্থান করছিলেন শমসের আলী। হঠাৎ আগস্টের ০১ তারিখ রাতে পুলিশের একটি টিম ছেলে শাহিন সহ শমসের আলী কে বাসা থেকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত না থাকলেও গ্রেফতার দেখানো হয় জালালাবাদ থানায় করা ভাঙচুর মামলায়। দিনভর থানা থেকে তাদের ছাড়িয়ে আনার চেষ্টায় ঘুরতে থাকেন পুলিশ ও ক্ষমতাসীন নেতাদের দ্বারে দ্বারে আত্বীয় স্বজন। তাদের ছাড়ানোর জন্য পুলিশ সহ যার নিকট দারস্থ হয়েছেন বার বার বলা হয়েছে সিলেট সিটি মেয়র আনোয়ারুজ্জামান কে দিয়ে জালালাবাদ থানার (ওসি) মিজানুর রহমানকে ফোন দেওয়ার জন্য। কেবল সিটি মেয়র ফোন দিলেই তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।
ওই দিন তাদের তোলা হয় আদালতে রিমান্ড চাওয়া হয় ৫ দিনের। আদালত ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ৬ তারিখ সন্ধ্যায় মুক্তি পান শমসের আলী ও তার ছেলে শাহিন।
সিলেট নগরীর ৩৭ নং ওয়ার্ডস্থ শমসের আলীর বাসভবনে দেখা করে তার গ্রেফতার ও জেলে যাওয়ার বিষয় টি জানতে চাইলে তিনি জানান তারই ভাই জমসিদ আলী বাতিজা দুদু মিয়া চাচাত ভাই আমীর আলী ছাত্রলীগ এবং পুলিশ কে টাকা দিয়ে এমন নিন্দনীয় কাজটি করিয়েছেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd