সিলেট ২৮শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৯শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:২১ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৪, ২০২৪
সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সমিতির সভাপতি আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে এসব অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বয়ং আব্দুল জব্বার।
সম্প্রতি তিনি একটি সংবাদ মাধ্যমের সম্পাদক বরাবর পাঠানো প্রতিবাদ পত্রে এসব অভিযোগ তুলেছেন। আব্দুল জব্বার তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, তিনি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সমিতির সভাপতি। সম্প্রতি একাধিক পত্রিকায় ‘সিলেটে রওশন ও জব্বারের সম্পদের পাহাড়’- শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে নিয়মিত এবং আউটসোর্সিংয়ের ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীদের কাছ থেকে মাসে আড়াই থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা নেয়ার অভিযোগ তোলা হয় ওয়ার্ড মাস্টার রওশন হাবিব ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচাচারী সমিতির সভাপতি আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে। আবার প্রতিবছর জুন মাসে চাকরি নবায়নের নামে আরও ৫০/৬০ হাজার টাকা করে আদায় করেন তারা। ৩০০ জনের বদলে ২০০ জনকে নিয়োগ দিয়ে ১০০ জনের বেতন রওশন ও জব্বার আত্মসাত করেন বলে অভিযোগ উঠেছে ওই প্রতিবেদনে।
এব্যাপারে আব্দুল জব্বার তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, সরকারি নিয়ম নীতি মেনে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে ডিউটি বন্টন করা হয়। ঠিক একইভাবে সরকার নির্দেশিত নীতিমালা অনুযায়ী কয়েক ধাপ পেরিয়ে এনএসআই, ডিজিএফআইসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টের ভিত্তিতে জনবল নিয়োগ দেয়া হয়। এসব কাজের দায়িত্ব হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং সরকারের। আমাকে বিশেষ মহল প্রতিহিংসাবশতঃ এমন অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন।
হাসপতালের জায়গা প্লট আকারে এবং ভবনসহ বাসা বিক্রির অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হাসপাতালের কর্মচারীদের জন্য ৬০টি বাসা থাকলেও এরমধ্যে ৩২টি মেডিকেল কলেজের এবং মাত্র ২৮টি হাসপাতালের। তাও আবার সংস্কারবিহীন। অথচ কর্মচারীর সংখ্যা ৫০০। এ অবস্থায় স্টাফ কোয়ার্টার সংলগ্ন খালি জায়গায় কর্মচারীরা কাঁচা ঘর বানিয়ে থাকছেন আমার চাকরিতে যোগ দেয়ার আগ থেকে। এসব কাজেও আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। তিনি দাবি করেছেন, সিলেটে তার বা তার পরিবারের সদস্যদের কারও নামে কোনো বাসা বাড়িও নেই। সম্প্রতি গ্রেফতার হওয়া হওয়া ইসরাইল আলী সাদেকের সাথেও পেশাগত সম্পর্কের বাইরে আর কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, হাসাপতালের একজন দালাল যাকে আমি অনৈতিক কাজের কারণে ধরে আনসার কমা-ারের কাছ হস্তান্তর করেছিলাম এবং পরে মুচলেকা দিয়ে মুক্তি পেয়েছিল, সেই দালালই প্রতিশোধ নিতে দু’দকে আমার নামে অভিযোগ দিয়েছে এবং গণমাধ্যম কর্মীদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছে।
জব্বার এসব মিথ্যা তথ্যে সাজানো বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদ প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং এসব কেউ বিশ্বাস না করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি তার বক্তব্যের অনুলিপি হাসপাতালের পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দফতরেও পাঠিয়েছেন। বিজ্ঞপ্তি
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd