সিলেট ২২শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২১শে রমজান, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৩:৫৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৪
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : শান্তিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাওরে চলতি বছরে ৬৬ টি প্রকল্পে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ চলমান রয়েছে। ৬৬টি প্রকল্পের অনুকুলে এ বছর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১৩ কোটি টাকা। বৃহত্তর দেখার হাওর অংশে ১৪টি প্রকল্পে কাজ চলমান আছে।
দেখার হাওর অংশের ৩ টি ডেঞ্জার ক্লোজার রয়েছে। এরমধ্যে জয়কলস ইউরিয়নের উথারিয়া, দিগদাইড় ও পূর্ব পাগলা ইউনিয়নের পুটিয়া নদীর ক্লোজার ডেঞ্জার পয়েন্ট নামে পরিচিত।
পুটিয়া নদীর ক্লোজারে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ইউপি সদস্য মো. রুপন মিয়া ও সদস্য সচিব শান্তিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এনামুল কবির। বালি মাটি দিয়ে বাঁধটি নিমার্ণ করায় বাঁধটি অনেক ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকার কৃষকরা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, দেখার হাওরের (ডাইক-১) ৮নং প্রকল্পের পুটিয়া নদীর ক্লোজারের এই প্রকল্পে ৪৭০ মিটার কাজের অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া হয়ে ২০ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকা।
সরেজমিনে উপজেলার পূর্ব পাগলা ইউনিয়নের দেখার হাওরের (ডাইক-১) ৮নং প্রকল্পের পুটিয়া নদীর ক্লোজারে গিয়ে দেখা যায়, বেশির ভাগ অংশে ফেলা হয়েছে বালি মাটি, ঘাসের বদলে লাগিয়েছেন মরা ছনের গোছা। বৃষ্টি এলেই এই বালি মাটির বাঁধটি ধসে পড়তে পারে, সেই সাথে আগাম বন্যায় যে কোন সময় ভেঙে যেতে পারে। বাঁধের কাজে কোন দুমুর্চ ব্যবহার করা হয় নি। মাটি কাটার কোদাল ব্যবহার করে বালি মাটির বাঁধটি সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। মাঝে মাঝে কিছু এটেল মাটি দেখা গেছে। তবে মূল ক্লোজারে ব্যাপক ভাবে দেওয়া হয়েছে বালি মাটি।
হাওরের কৃষক, আলা উদ্দিন, রমিজ মিয়া, ছালিক আহমেদ জানান, বাঁধটি সম্পূর্ণ রূপে বালি মাটি দিয়ে নিমার্ণ করা হয়েছে। সেই সাথে এই বাঁধে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। সরকারি টাকা যথাযত ভাবে ব্যবহার হচ্ছে না। নিজেরা লাভবান হতে পিআইসির লোকজন মনগড়াভাবে কাজ করছেন। আমরা এই হাওরের অনেক কষ্টের ফসল লাগিয়েছি। বৃষ্টি এলে বাঁধটি যেকোন সময় ধসে পড়তে পারে।
৮ নং প্রকল্পের সভাপতি ইউপি সদস্য মো. রোপন মিয়া জানান, বাঁধটি সুন্দর করার জন্য কিছু বালি মাটি দিয়েছি, তবে পুরো বাঁধে এই মাটি ব্যবহার করিনি। ঘাস না পেয়ে আমরা ছনের গোছা লাগিয়েছি। বৃষ্টি পড়লে এই ছনগুলো গজিয়ে উঠবে। বাঁধ ভাঙার কোন আশঙকা নেই। আমরা টেকসই ভাবে কাজ করেছি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারি প্রকৌশলী (এসও) মো. ইয়াছিন খান এর ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী মো. মামুন হাওলাদার জানান, কোথাও বালি মাটির বাঁধ মেনে নেয়া হবে না। আমি ব্যবস্থা নিচ্ছি। এই বাঁধ থেকে দ্রুতই বালি মাটি অপসারণ করা হবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd