সিলেট ১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৪ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:২০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৪
কানাইঘাট প্রতিনিধি :: কানাইঘাট ৪নং সাতবাঁক ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য শায়িকুল আলম কর্তৃক ইউনিয়ন পরিষদের ষ্টোর রুম থেকে চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে গ্রাম পুলিশের সদস্যদের হুমকি দিয়ে ৫০টি সরকারি বরাদ্দকৃত কম্বল নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বরত গ্রাম পুলিশ আব্দুল মজিদ বাদী হয়ে গত বুধবার এই অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, গত বুধবার বিকেল ২টার দিকে ইউপি সদস্য শায়িকুল ইসলাম ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত হয়ে দায়িত্বরত গ্রাম পুলিশ পিয়ম নম এর কাছে পরিষদের ষ্টোর রুমের চাবি দেওয়ার জন্য বলেন। এ সময় পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তায়্যিব শামীমের অনুপস্থিতিতে গ্রাম পুলিশ সদস্য পিয়ম নম ষ্টোর রুমের চাবি ইউপি সদস্য শায়িকুল ইসলামকে দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। একপর্যায়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও জোরপূর্বক ভাবে গ্রাম পুলিশ আব্দুল মজিদ ও পিওম নমকে মারধর করে তার কাছ থেকে স্টোর রুমের চাবি নিয়ে ইউপি সদস্য শায়িকুল ইসলাম ৫০টি শীতবস্ত্র (কম্বল) নিয়ে যান। এ সময় তার সাথে আরো কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি গ্রাম পুলিশের সদস্যরা চেয়ারম্যান আবু তায়্যিব শামীমকে অবহিত করার পর কম্বল নিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে অবহিত করেন।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আবু তায়্যিব শামীমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বুধবার তিনি সিলেট শহরে গিয়েছিলেন এক আত্মীয়কে চিকিৎসা করানোর জন্য। তার অনুপস্থিতিতে স্টোর রুম থেকে ইউপি সদস্য শায়িকুল ইসলাম কর্তৃক ৫০টি কম্বল নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি গ্রাম পুলিশ সদস্যরা তাকে অবহিত করেন এবং কম্বল নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় গ্রাম পুলিশ সদস্য আব্দুল মজিদ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
তবে ইউপি সদস্য শায়িকুল ইসলাম জানিয়েছেন, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু তায়্যিব শামীম তাকে ৩৫টি কম্বল দিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তিনি হিসেব করে ওয়ার্ড ভিত্তিক ৪৮টি কম্বল পান, তাই ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৫০টি কম্বল একপ্রকার জোরজবর ধস্তি করে নিয়ে ওয়ার্ডের শীতার্তদের মাঝে বিতরণ করেছি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd