বিশ্বনাথ সংবাদদাতা: সিলেটের বিশ্বনাথে সাড়ে ৮মাস ধরে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা চুরির অভিযোগ নিয়ে নানা টালবাহানা করছেন তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই শেখ আলী আজহার। অভিযোগটি দায়েরের প্রায় সাড়ে ৮ মাস অতিবাহিত হলেও তদন্তে অগ্রগতির কোনো সুফল পাননি ভুক্তভোগী বাদী।

এছাড়াও বাদির কাছ থেকে সন্দেহভাজন ৫/৬জন অভিযুক্তদের মোবাইল নম্বর নিয়েও সাড়ে ৮মাস ধরে করছেন লুকোচুরি খেলা। সিএনজি চালিত ওই অটোরিকশা চুরির অভিযোগের তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই শেখ আলী আজহার’র অভিযোগ তদন্তে ধীরগতি আর লুকোচুরির খেলা নিয়ে নানা রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।

দীর্ঘ সাড়ে ৮মাস তদন্ত করেও কোনো অগ্রগতি নেই বলে তিনি নিজেই ব্যর্থতার দায় স্বীকার করেন এই তদন্তকারি কর্মকর্তা। ফলে অসহায় বাদি অটোরিকশা চালক উপজেলার সৈয়দপুর সদুরগাঁও গ্রামের উস্তার আলীর ছেলে পংকি মিয়া (৩৫) রয়েছেন চরম হতাশায়।

জানা গেছে, গত বছর ১৫ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে ওই সিএনজি গাড়িটি নিজ বসত বাড়ির ওঠানে চেইন দিয়ে তালাবদ্ধ করে রাখেন পংকি মিয়া। পরদিন ঘুম থেকে ওঠে দেখেন তার গাড়িটি চুরি হয়ে গেছে। তিনি ওইদিন সন্ধ্যায় থানায় গিয়ে নিজে বাদি হয়ে তার গাড়ি চুরির অভিযোগ দেন। অভিযোগটি থানার ওসি ওই ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা এসআই শেখ আলী আজহারের কাছে দেন তদন্তের জন্য। প্রায় এক সপ্তাহ পর তদন্তকারি কর্মকর্তা বাদির কাছ থেকে সন্দেভাজন ৫/৬ জনের মোবাইল নম্বরও নেন। কিন্তু এই তদন্তকারি কর্মকর্তা মোবাইল নম্বরগুলো এবং বাদির অভিযোগটি দায়সারা ভাবে তদন্ত আর গড়িমশির মাধ্যমে সাড়ে ৮টি মাস অতিবাহিত করেছেন। তাই বাদি অনেকটা নিরাশ হয়ে হতাশায় দিনযাপন করছেন।

বাদি পংকি মিয়া বলেন, ‘দারোগা সাহেবকে আমার বিষয়টি জিজ্ঞাসা করলে তিনি কোনো গুরুত্বই দেননি। তাই আমি আমার সিএনজি পাওয়ার আশাটুকুও বাদ দিয়ে দিছি।’

এবিষয়ে জানতে চাইলে তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই শেখ আলী আজহার বলেন, অভিযোগের কোনো সুরাহা হয়নি। আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি। আর সন্দেহভাজনদের মোবাইল নম্বরগুলোর বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন দুটি নম্বরের সিডিআর পেয়েছেন তবে তার কোনো অগ্রগতি নেই। এভাবেই নিজের ব্যর্থতার কথা স্বীকার করেন তিনি।

এবিষয়ে থানার নবাগত ওসি জাহিদুর রহমান জানান, তিনি যোগদানের মাত্র একমাস হয়েছে। বিষয়টি জেনে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

Sharing is caring!