সরকারি আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি : তাহিরপুরে চারটি নৌকাঘাটে প্রভাবশালীদের হরিলুট!

প্রকাশিত: ১১:৫৯ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩১, ২০২৩

সরকারি আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি : তাহিরপুরে চারটি নৌকাঘাটে প্রভাবশালীদের হরিলুট!

তাহিরপুর প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার অন্যতম চার নৌকাঘাটের খাস কালেকশন স্থগিতের আদেশ দেন উপজেলা প্রশাসন। চিটি দিয়ে খাস কালেকশন বন্ধ করার পরেও প্রভাবশালীরা সেই আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে   চালিয়ে যাচ্ছে হরিলুট।

জানা গেছে, কর্তৃপক্ষ চিটি দিয়েছে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তাদের ১৫/১/২০২৩ দরপত্র আহ্বানের পর ঘাটগোলা মামলায় জড়িত থাকায় ইজারা দেওয়া সম্বভ হয়নি। স্থানীয় প্রশাসন এসব ঘাটে ‘খাস কালেকশন’ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ১৩/৪/২০২৩ ইং ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাদের দিয়ে টোল আদায়ে নামলেও ঘাটের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এতে করে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারায়।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ১৪২৯ বাংলা সনে তাহিরপুরের পাতারগাঁও নৌকাঘাট থেকে ৪১,৮৬৮ টাকা, ঘাগড়া হতে লাউড়েরগড় নৌকাঘাট ৮৮ লাখ নয় হাজার ৬৫০ টাকা, ডাম্পের বাজার নৌকাঘাট থেকে ১৮ লাখ, বাদাঘাট বাজার নৌকাঘাট থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার এবং শ্রীপুর বাজার নৌকাঘাট থেকে ৮০ লাখ ৩৮ হাজার ৫’শ টাকা ইজারা আদায় করা হয়েছিল। গেল চৈত্র মাসে এসব নৌকাঘাটের ইজারা মেয়াদ শেষ হলে পুনরায় ইজারার জন্য দরপত্র আহবান করা হয়।

কিন্তু আগ্রহী দরদাতা না পাওয়ায় ও মামলা জটিলতা থাকায় নৌ ঘাটগুলোর ইজারা প্রদান করা যায় নি। ফলে খাস কালেকশনের মাধ্যমে টোল আদায় হয়েছে। বিজ্ঞ আদালতে রিট মামলা থাকায় ২৫ /৬/২০২৩ ইং তারিখে খাস কালেকশন স্থগীত করা হয়। ঘাগড়া হতে লাউড়ের ঘর নৌকা ঘাটের সর্বোচ্চ দরদাতা মুনসুর আলী বলেন, উপজেলা প্রশাসন ১৫/১/২০২৩ ইং তারিখে ১৪৩০ বঙ্গাব্দ নৌকাঘাট ইজারা দেওয়ার জন্য দরপত্র আহবান করে, আমি ৭/২ ২০২৩ ইং তারিখে ১৪৩০ বঙ্গাব্দ এক বছর মেয়াদের জন্য ঘাটের ইজারায় অংশগ্রহণ করি এবং সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে বিবেচিত হই।কিন্তুু সর্বোচ্চ দরদাতা হওয়ার পরেও ঘাটের দখল হস্তান্তর না করে ১৩/৪ ২০২৩ ইং উক্ত ঘাট টি ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাদের খাস কালেকশন আদায় করার জন্য বলা হয় যা সম্পুর্ন অবৈধ। আমি কোন উপায় না পেয়ে আদালতের আশ্রয় নেই এবং একটি রিটপিটিশন দায়ের করি পিটিশন নং ৭৪৭৬/২০২৩ ইং। ২০/৬/২০২৩ ইং তারিখে আদালত উক্ত খাস কালেকশন স্থগিতের আদেশ দেন। বিগত এক মাস থেকে খাস কালেকশন স্থগীত থাকার পরেও একটি মহল নদীতে অবৈধ ভাবে প্রতিদিন চাদাবাজি করছে।যারা খাস কালেকশনের নামে চাদাবাজি করছে তাদের অনতিবিলম্বে আইনের আওতায় আনা হউক।

নদী বাংলা জাহাজের শ্রমিক মাহবুব বলেন, আমার নৌকাকে ৩হাজার টাকা চাঁদা দেওয়ার কথা বললে আমি টাকা দিতে রাজী না হলে রিপনের লোক আমার সাথে খারাপ আচরন করে এবং মারধর করার চেষ্টা চালায়।

ঘাঘরা হতে লাউড়ের ঘর ঘাটের ইজারাদার রিপন মিয়া বলেন, আমি খাশ কালেকশনের সাথে জড়িত নই, কে বা কাহারা খাশ আদায় করে আমি জানিনা।

উপজেলা চেয়ারম্যান বাবু করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল বলেন অফিসের আদেশ অমান্য করে যদি কেউ খাস কালেকশন আদায় করে তাদের বিরুদ্ধে  আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুপ্রভাত চাকমা বলেন আমরা আরো আগেই খাস কালেকশন স্থগিত করে দিয়েছি, কেউ যদি অবৈধ ভাবে নদীতে টাকা তুলে তাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

Sharing is caring!

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..