সিলেট ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৩রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৯:১৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ২২, ২০২৩
বাসস :: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের আস্থা ও ভরসা সেনাবাহিনীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাংলাদেশের সেনাবাহিনী তাদের কর্মদক্ষতা দিয়ে তা অর্জন করেছে।
শনিবার (২২ জুলাই) ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সেনা নির্বাচন বোর্ড (প্রথম পর্যায়)–২০২৩-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘যেকোনো সেনাবাহিনীর জন্য আস্থা ও আত্মবিশ্বাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আস্থা ও আত্মবিশ্বাস না থাকলে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা যায় না। আজ আমি বলতে পারি, আমাদের সেনাবাহিনীর ওপর জনগণের আস্থা ও ভরসা আছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জনগণের বাহিনী। তারা সব সময় দেশের জনগণের পাশে থাকে এবং যেকোনো দুর্যোগে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করে। দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সেনাবাহিনীর সরাসরি সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, অবকাঠামো উন্নয়ন থেকে শুরু করে সর্বত্র তারা কাজ করছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেনাবাহিনী অনেক বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। তাই আমরা নিশ্চিত যে কাজগুলো গুণগত মান নিশ্চিত করে দ্রুততার সঙ্গেই সম্পন্ন হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সেনা নির্বাচন বোর্ড-২০২৩-কে নিরপেক্ষ মূল্যায়নের মাধ্যমে পদোন্নতির জন্য যোগ্য ও বিচক্ষণ কর্মকর্তাদের বাছাই করতে বলেন। তিনি বলেন, ‘আপনাদের পেশাদার যোগ্যতা বিবেচনা করে এটি করা উচিত। যৌক্তিক এবং বৈজ্ঞানিক উপায়ে তুলনামূলক মূল্যায়ন করা উচিত।’ তিনি বলেন, ‘এ ছাড়া অফিসারদের কমান্ড দেওয়ার দক্ষতা বা (বিশেষ পরিস্থিতিতে) দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আছে কি না, সেদিকে আপনাদের মনোযোগ দিতে হবে।’
পদোন্নতির জন্য যোগ্য কর্মকর্তাদের বাছাই করার জন্য নির্বাচন বোর্ড সততা ও সঠিক বিচারের সঙ্গে পবিত্র দায়িত্ব পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘মাঠের কাজে তাদের অভিজ্ঞতা ও তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার এবং তাৎক্ষণিকভাবে সরঞ্জামাদি ব্যবহার করার ক্ষমতা বিবেচনা করুন…আমরা চাই আপনি নিরপেক্ষ মূল্যায়নের মাধ্যমে ভবিষ্যতের নেতৃত্বের (বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে) কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিন।’
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের অতন্ত্র প্রহরী হিসেবে আখ্যায়িত করে সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ শান্তিতে বিশ্বাসী বলে কারও সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে চায় না।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ উন্নয়নের পূর্বশর্ত। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, সেনাবাহিনী যেকোনো দুর্যোগ ও সংকটময় সময়ে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী সব সময় দেশের মানুষের পাশে আছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা অনেকেই ১৯৭৫ সালের পরের ইতিহাস জানেন, যখন একের পর এক অভ্যুত্থানে অনেক সেনা কর্মকর্তা ও সৈন্য নিহত হন।’ তিনি আরও বলেন, ‘অনেকে তাঁদের প্রিয় ও কাছের মানুষদের খুঁজে পাননি। শুধু আমিই আমার বাবা, মা, ভাই ও আত্মীয়দের হারাইনি, অনেক সেনা পরিবারও তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছে কিন্তু এ বিষয়ে কেউ কথা বলতে পারেননি।’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের সেনাবাহিনী জনগণের। এটা আপনাদের মাথায় রাখতে হবে।’
আইএসপিআরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এর আগে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে পৌঁছালে নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারেক আহমেদ সিদ্দিক ও সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ তাঁকে স্বাগত জানান।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd