বিশ্বনাথ প্রতিনিধি : সিলেটের বিশ্বনাথে ১৭ জুলাই অনুষ্ঠিত হলো ৫ ইউনিয়নের নির্বাচন। এরমধ্যে উপজেলার ৪নং রামপাশা ইউনিয়ন নির্বাচনের ভোট গণনায় ও ফলাফল প্রকাশে ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে নির্বাচন কমিশনের কাছে ভোট পুন:গণনার দাবি জানালেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী বশির আহমদ।
তিনি সোমবার রাতে ভোট ফলাফল ঘোষণার পর ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে তাৎক্ষণিক ভাবে বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের সাথে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ তুলে ধরেন। তবে এখানে যদি কোন প্রতিকার না পেলে তিনি আইনের আশ্রয় নিবেন বলে জানান।
এসময় তিনি বলেন, ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৭টি ওয়ার্ডের ফলাফল সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু রহস্যজনক কারণে ১ ও ২নং ওয়ার্ডের ফলাফল দিতে বিলম্ব করা হয়।
এর মধ্যে আমতৈল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় (নতুন ভবন) ও আমতৈল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় (পুরাতন ভবন) এই দুই সেন্টারের ভোট জালিয়াতি করে তিন ঘন্টা পর ফলাফল দেয়া হয়।
তিনি আরও জানান, ৭ সেন্টারে আমার বিজয় নিশ্চিত দেখে আমতৈলের ঘোড়া ও আনারস প্রতীকের দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভোট সমন্বয় করে আমাকে ভোটে হারানো হয়। এমনকি আমার দেয়া এজেন্টদের সাথেও তারা আতাঁত করে নেন।
ভোট গণনায় ও ফলাফল প্রকাশে ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপির আশ্রয় নেয়া হয়েছে। এই দুই সেন্টারে তিনি এগিয়ে থাকার পরেও পরিকল্পিতভাবে ফলাফল পাল্টিয়ে তাকে পরাজিত ঘোষণা করা হয়েছে।
এ ধরনের অনিয়ম ও কারচুপির প্রতিকারে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকলের সহায়তা চেয়ে ভোট পুন:গণনার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।
তিনি বলেন, এই দুই সেন্টারে আনারস ও ঘোড়া প্রতীকের ভোট পুন:গণনা করলেই আসল তথ্য বেরিয়ে আসবে এবং আমার বিজয় নিশ্চিত হবে।
তিনি আরও বলেন, ভোট পুনরায় গণনার দাবি জানিয়েছি। আমরা একটাই ইচ্ছা, পুনরায় ভোট গণনা করা হউক। যদি এক ভোটেও আমি পরাজিত হয়, কোনো আক্ষেপ থাকবে না।
উল্লেখ্য, সোমবার রামপাশা ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইমাম উদ্দিন ‘আনারস’ প্রতীকে ৫ হাজার ৮৮৬ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী বশির আহমদ ‘চশমা’ প্রতীকে ৫ হাজার ৭৮০ ভোট পান। ভোটের ব্যবধান ১০৬। আর আওয়ামী লীগের আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী আজিজুর রহমান ‘ঘোড়া’ প্রতীকে ৩ হাজার ৪৫৬টি ভোট পান।