সিলেট ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৩রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:১৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ১১, ২০২৩
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে গাছ কাটার ঘটনা ধামাচাপা দিতে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত, কমিটি গঠন নিয়ে অসত্য অভিযোগ দিয়েছে গাছ কর্তনকারীরা। কিন্তু গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার আরও একটি পাল্টা অভিযোগ দেয়া হয় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে।
জামালগঞ্জ উপজেলার সাচনাবাজার ইউনিয়নের রামনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীর অভিভাবক ও রামনগর গ্রামের বাসিন্দা শামীম আহমেদ স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ দাখিল করা হয় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে।
তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন, কিছুদিন পূর্বে কোনো কারণ ছাড়াই জোরপূর্বক গ্রামের বাসিন্দা কয়সর আহমদ, রফিক মিয়া ও আকমল মাস্টারের সহযোগিতায় বিদ্যালয়ের বড় আকারের ৫টি গাছ কেটে ফেলে।
এ সময় বিদ্যালয়ে উপস্থিত দপ্তরী রেজওয়ান আহমদ বাধা দেন। কিন্তু এই বাধা অমান্য করে তারা গাছ কাটে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পরে সাচনাবাজার ইউনিয়নের ইউপি সদস্য তারা মিয়ার নেতৃত্বে শালিসে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, এই গাছ কাটার ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে গাছ কর্তনকারীদের পক্ষ থেকে গ্রামের কিছু সংখ্যক মানুষের জাল দস্তখত সম্বলিত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে একটি মিথ্যা অভিযোগ দেয়া হয়। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি আব্দুর রকিব বলেন, গ্রামের কয়েকজন চিহ্নিত উগ্র ব্যক্তি বিদ্যালয়ের গাছ কেটে ফেলে আবার প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে মানহানি করেছে। বিদ্যালয়ের সুনাম নষ্টকারীদের শাস্তি দাবি জানাই। স্থানীয় ইউপি সদস্য তারা মিয়া বলেন, গ্রামের কয়েক ব্যক্তি মিলে বিদ্যালয়ের ৫ টি গাছ কেটে ফেলে। আমি বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু গাছ কর্তকারীরা মানেন না।
গাছ বিদ্যালয়ের পাশে রাখা আছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রইসুজ্জামান বলেন, এলাকার কয়েকজন লোক আমার বিদ্যালয়ের ৫টি বড় আকারের গাছ কেটে ফেলেছে। গাছ কাটার সময় বিদ্যালয়ের প্রহরী বাধা দেয়। এলাকার কয়েকজনও বাধা দেন। কিন্তু কারো বাধা না মেনে গাছ কর্তন করে ফেলে তারা। বর্তমানে গাছ বিদ্যালয়ের পাশে রয়েছে। কমিটি গঠন না করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষে ৩ বার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহন করা হলে প্রতিপক্ষ একটি চক্র বাধা প্রদান করেন। এ কারণেই কমিটি গঠন বিলম্বিত হয়েছে। বর্তমানে এডহক কমিটি আছে।
এ সপ্তাহে তফশীল ঘোষণা করে বিধি মোতাবেক কমিটি গঠন করা হবে। নানাবিধ মিথ্যা অভিযোগের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তি দাবি জানান তিনি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd