গোয়াইনঘাটে বনের জমিতে ক্রাশার মেশিন : রহস্যজনক কারণে নিরব কর্তৃপক্ষ

প্রকাশিত: ১০:৪৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ১, ২০২৩

গোয়াইনঘাটে বনের জমিতে ক্রাশার মেশিন : রহস্যজনক কারণে নিরব কর্তৃপক্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, গোয়াইনঘাট: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং-মোহাম্মদপুর এলাকার সারীরেঞ্জ’র বন বিভাগের জমিতে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা অর্ধশতাধিক ক্রাশারমেশিন দীর্ঘ এক যুগেও অপসারনে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের নেই কোন উদ্যোগ। সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, বিগত সময়ে সিলেট তামাবিল মহাসড়কের দু’পাশে সোনাটিলা, তামাবিল, মোহাম্মদপুর এলাকায়, বন বিভাগ সামাজিক বনায়ন প্রকল্পের অধীনে বৃক্ষরোপন কর্মসূচির আওয়তায় বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা রোপন করেন বন কর্তৃপক্ষ।

 

কিন্ত এক শ্রেণীর অসাধু ভুমি খেঁকু ব্যবসায়ীদের লোলপ দৃষ্টি পড়ে সরকারী জমিতে,সুযোগ সন্ধানী কতিপয় ভুমিখেকুরা রাতের অন্ধকারে তামাবিল, সোনাটিলা, মোহাম্মদপুর এলাকায় বনাঞ্চলের গাছপালা কর্তন করে বন বিভাগের শত একর সরকারী জমি দখল করে ক্রাশার মেশিন স্থাপন করে পাথরের ডাম্পিং ইয়ার্ড তৈরী করছে।এখন আবার নতুন করে তামাবিল সীমান্ত ফাড়ী সংলগ্ন বিজিবি’র সম্মেলেণ কেন্দ্রের বিপ্ররীত পাশে টিলা কেটে কয়ল পাথরের ডাম্পিং তৈরী করছে ভুমিখেকো একটি সঙ্গবদ্ধ চক্র। সোনাটিলা এলাকায় বন বিভাগের জমিতে ব্যাঙ্গের ছাতার মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অবৈধ ক্রাসারমেশিন ও পাথর রাখার ডাম্পিংইয়ার্ড। সিলেট তামাবিল মহাসড়কের পাশে মোহাম্মদপুর, এলাকায় সরকারী জমিতে রয়েছে অসংখ্য অবৈধ ক্রাশারমেশিন।

 

 

স্থানীয়দের অভিযোগ এসব ক্রাশারমেশিন স্থাপনে বন বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজস রয়েছে। এরা ক্রাশার মালিকদের কাছ থেকে মাসোহারা আদায় করে আসছে। যার ফলে মালিকদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না।

 

জাফলংয়ের সামাজিক বনায়ন প্রকল্প ধ্বংশ করে অবৈধ ক্রাশারমেশিন স্থাপনে জড়িত মালিকদের বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থা হবে কিনা? জানতে চাইলে, সারীরেঞ্জ-জাফলং বনবিভাগের বিট কর্মকর্তা মো.হাবিবুর রহমান প্রতিবেদক-কে জানায়, জাফলংয়ের তামাবিল এলাকায় বন বিভাগের আংশিক জমিতে অবৈধ পাথরের ডাম্পিংইয়ার্ড রয়েছে এবং মোহাম্মদপুর, সোনাটিলা, এলাকায় বনবিভাগের জমিতে অসংখ্য অবৈধ ক্রাশারমেশিন রয়েছে। সম্প্রতি সময়ে বনের জমি থেকে অবৈধ ক্রাশার মেশিন সরিয়ে নেওয়ার জন্য ক্রাশারমেশিন মালিকদের নোটিশ দিয়েছি। অতিশীঘ্রই বনবিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা প্রশাসনের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে অবৈধ ক্রাশারমেশিন অপসারনের জন্য উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে। কেউ ক্ষমতার অপব্যবহার করে বনাঞ্চলের জমিতে অবৈধ স্থাপনা, পাথরের ডাম্পিং ও ক্রাশার মেশিন স্থাপন করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..