সিলেট ১৭ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৬ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:৫৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৯, ২০২৩
নিজস্ব প্রতিবেদক, গোয়াইনঘাট :: গোয়াইনঘাটে ভুমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে হয়রানি ও সমাচ্যুত্য করার অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের উপর লংপুর গ্রামে। থানায় লিখিত অভিযোগ ও সরজমিন পরির্দশন করে জানা যায় উপর লংপুর গ্রামের মৃত নেছার আহমদের পুত্র ও একটি কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক এবং একটি মসজিদের ইমাম হাফিজ মাওলানা মুছা মিযার সাথে ৪/৫ বছর থেকে একি গ্রামের মৃত ছিদ্দিক আলীর পুত্র তাজ উদ্দিন ও ইসমাইল আলী এবং সমর আলীর পুত্র আল-আমিন গংদের সাথে বাড়ির রাস্তাসহ ভুমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। এর জের ধরে তাজ উদ্দিন গংরা মাদ্রাসা শিক্ষক ও তার পরিবারে উপর একাধিক বার দেশিয় অস্ত্র দিয়ে হামল করেন। এতে নারী শিশু সহ পরিবারের একাধিক লোকজন গুরুতর আহত হন। যাহ থানায় মামলা রের্কড হয় এবং বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। তাজ উদ্দিন, আল-আমিন গংরা হামলা করে শান্ত হয়নি, তারা ইমাম সাহেবের পরিবারকে সমাজচ্যুত করে রাখে। এতে ওই মাওলানা সাহেবের বাচ্চারা মসজিদে মক্তবে পড়াশোনা করতে পারেননি এবং রাস্তা ঘাটে চলাচল করতর পারেনি। এছাড়া গৃহপালিত পশু গরু,ছাগল রাস্তা ঘাটে চলাচল করতে বাঁধা প্রদান করে আল-আমীন বাহিনী।
এছাড়া ওই তাজ উদ্দিন বাহিনী ঢাকার কাফরুল থানায় তাদের উপর ইমাম সাহেব একটা মামলা দিয়েছেন বলে একটা বানোয়াট মামলার এফআইআর কপি এলাকার মুরব্বিদের কাছে উপস্থাপন করে বিচার দেন এবং আড়াই লাখ টাকা ক্ষতি পুরন দাবি করেন। অবশ্য স্থানীয় সালিশদের মাধ্যমে বিষয়টি তদন্ত করে মিথ্যা প্রমানিত।
সর্বশেষ গত ১৮ এপ্রিল ঐ মাদ্রাসা শিক্ষককের একটি গরুর বাচ্চা তাদে জমিতে গেলে ঐ তাজ উদ্দিন বাহিনী দা দিয়ে গরুর বাচ্চার হামলা করে গুরুতর আহত করেন। এবিষয়ে হাফিজ মাওলানা মুছা মিয়া বাদী হয়ে গোয়াইনঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাযের করেন।
জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি সদস্য এখলাছুর রহমান জানান এবিষয়ে আমি একাধিক বার সালিশ বিচার করেছি। কিন্তু সমাধান করতে পারিনি।
জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জাহাঙ্গীর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম, সমাজচ্যুতের সত্যতা পেয়েছি। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd