সিলেট ১৬ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৫ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৪:৪৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২০, ২০২৩
জুড়ী সংবাদদাতা: মৌলভীবাজারের জুড়ী থানার ওসি মোহাম্মদ মোশারফ হোসেনের অবৈধ চাঁদাবাজীর মাধ্যমে টাকা রোজীর মেশিন হচ্ছে থানার এসআই মহি উদ্দিন। সিএনজিচালিত অটোরিকশা শ্রমিকদের উপর হামলার ঘটনায় মামলা করতে গেলে মহি উদ্দিনের মাধ্যমে ওসি বিশ হাজার টাকা দাবী করেন।
এর প্রতিবাদে বুধবার দুপুর ২টা থেকে শ্রমিকরা উপজেলার বীরমুক্তিযোদ্ধা এম এ মুমীত আসুক চত্বরে সড়ক অবরোধ করে। ওসি মোশারফ ও এসআই মহি উদ্দিনের প্রত্যাহার দাবী করেন।
স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহায়তায় জুড়ী থানার ওসি তদন্তের আশ্বাসের ভিত্তিতে প্রায় ঘন্টাখানেক পর শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেয়।
পরিবহন শ্রমিক নেতা আব্দুস সহিদ, মো. খুরশীদ আলম গাজী, সিরাজুল ইসলাম, তাজ উদ্দিন প্রমুখ অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার বিকেলে জুড়ীর পার্শ্ববর্তী বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ কাশেমনগরের সহিদুল ইসলাম ও কামরুল ইসলাম নামে দুইজন শ্রমিক সিএনজি নিয়ে জুড়ীর উত্তর জাঙ্গিরাই গ্রামে আসে। সেখানে এক বাড়ীতে গাড়ী রেখে হাওরে ধান কাটতে যান। তখন ওই বাড়ীর বাচ্চারা সিএনজি গাড়ীর বেশ ক্ষতি সাধন করে। চালক ফিরে এসে ঘটনাটি দেখতে পেয়ে ওই বাড়ীর লোকজনকে বলেন। এক পর্যায়ে বাড়ীর মালিক মর্তুজ আলী গং চালকসহ দুই জনকে মারপিট করে। চালকরা সেখান থেকে ফিরে এসে জুড়ী সিএনজি সমিতিতে ঘটনাটি জানান।
এ বিষয়ে শ্রমিকরা মামলা করতে রাতে জুড়ী থানায় যায়। ওসি মোশারফ হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি এসআই মহি উদ্দিনের নিকট পাঠান। মহি উদ্দিন ওসির সাথে কথা বলে এসে শ্রমিকদের বলেন- ওসি সাহেব বলেছেন বিশ হাজার টাকা দিলে মামলা রেকর্ড হবে। পরে আমরা ৫ হাজার টাকা দিয়ে আসি। কিন্তু আজ (বুধবার) ২টা পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে এবং হামলাকারী মর্তুজ আলীকে অটকিয়ে রাখে।
এক পর্যায়ে জুড়ী থানার এস আই মহি উদ্দিন সেখানে উপস্থিত হয়ে শ্রমিকদের হুমকি দিলে শ্রমিকরা তাকে অবরোধ করে। পরে জুড়ী থানার ওসি তদন্ত হুমায়ূন কবির সেখানে পৌছে মহি উদ্দিনকে উদ্ধার করেন।
স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহায়তায় ওসি তদন্ত কর্তৃক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে ঘন্টাখানেক পর অবরোধ তুলে নেয়া হয়।
জুড়ীর সিএনজি ও ট্রাক শ্রমিকরা বলেন, ওসি মোশারফের টাকা রোজীর মেশিন হচ্ছে এসআই মহি উদ্দিন। এদেরকে জড়ী থেকে প্রত্যাহার করতে হবে।
এবিষয়ে অভিযুক্ত এস আই মহি উদ্দিন অভিযোগ অস্বীকার করেন।
জুড়ী থানার ওসি তদন্ত হুমায়ূন কবির বলেন, শ্রমিকরা হামলাকারী একজনকে ধরে পুলিশে দিয়েছে। বিহিত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেয়ায় শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেয়।
অভিযোগ অস্বীকার করে জুড়ী থানার ওসি মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন বলেন- অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd