বোন-ভাগনের বিরুদ্ধে জাল দলিলে ভূমি আত্মসাৎ চেষ্টার অভিযোগ

প্রকাশিত: ১:০৯ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ৭, ২০২৩

বোন-ভাগনের বিরুদ্ধে জাল দলিলে ভূমি আত্মসাৎ চেষ্টার অভিযোগ

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : মৌলভীবাজারের জুড়ীতে বোন ও ভাগনে কর্তৃক জাল দলিল করে ভূমি আত্মসাৎ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কুলসুম আক্তার কলি নামের এক নারী বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন।

কলি উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের বেলাগাঁও গ্রামের বাসিন্দা মৃত মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, কুলসুম আক্তার কলির স্বামী মোহাম্মদ আলী অনেক দিন অসুস্থ ছিলেন। তিনি জীবিত অবস্থায় ২৪ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে তার মালিকানাধীন ২১ শতক জমি দলিল মূলে স্ত্রীর (কলি) নামে হেবা দলিল রেজিস্ট্রি করে দেন। ২০২১ সালে ওই জমি থেকে ৫ শতক জমি বিক্রি করে কলি তার স্বামীর চিকিৎসা কাজে ব্যয় করেন। বাকি ১৬ শতক ভূমি স্ত্রী ভোগদখলে আছেন। চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি তার স্বামী মারা যান। কলি গত ১২ মার্চ তার জমিতে সবজি খেতে বেড়া দিতে যান। তখন তার স্বামীর বোন বেলাগাঁও গ্রামের মৃত ইব্রাহিম আলীর স্ত্রী জমিলা বেগম, তার পুত্র হারিছ আলী ওরফে হারিস মোহাম্মদ ও জমির আলী তার কাজে বাধা দেন। একটি জাল দলিলের নকল কপির (নং- ৬৮৫৪/২০১২) ফটোকপি দেখিয়ে জমিটি তাদের দাবি করেন এবং তাকে (কলি) গালাগাল ও হুমকি দেন। এ বিষয়ে তিনি এলাকার মুরব্বিদের অবগত করলে বিবাদীরা দাঙ্গাবাজ ও দুষ্ট প্রকৃতির হওয়ায় তারা সালিশ বৈঠকে অপারগতা জানান।

পরে তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দেন। পরিষদ থেকে বিবাদীদের তলব করা হলে তারা এতে কর্ণপাত করেনি। ভুক্তভোগী জানান, বিবাদীদের দেখানো দলিল ২০১২ সালের। এর পর তার স্বামী ১০ বছরেরও বেশি সময় বেঁচে ছিলেন। তখন তারা জমি দাবি করেনি। কিন্তু তিনি মারা যাওয়ার দুই মাস পর জমি দাবি করে।

বিবাদী হারিছ আলী এলাকায় জুয়া, সুদ ব্যবসা ও গরু চুরিসহ বেশ কিছু সামাজিক অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকায় কয়েকটি মামলার আসামি ও জেল খেটেছে। তার ভাই জমির আলী এলাকায় চিহ্নিত মাদকসেবী। তাদের দাপটে ভুক্তভোগী অসহায় হয়ে পড়েছেন। বিধবা নারী হওয়ার সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিবাদীরা তার সম্পত্তি আত্মসাতের চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। যে কোনো সময় তার ওপর হামলা করে কিংবা জোরপূর্বক তার জমি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করবে বলে মানুষের কাছে প্রচার করছে।

কুলসুম আক্তার কলির পক্ষে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান তার ভাশুর পুত্র সাইফুল আলম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তার বোন আখলিমা আক্তার।

জানতে চাইলে অভিযুক্ত হারিছ আলী ওরফে হারিস মোহাম্মদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার মা তার পৈতৃক সম্পত্তি পান প্রায় তিন কিয়ার। কিন্তু তার মামা ২০১২ সালে ১৯ শতক জমি তার মার নামে লিখে দেন। বাকি সম্পত্তি তারা আদালতে মামলা করে উদ্ধার করবেন। দলিল জাল না আসল, সেটা আদালতে প্রমাণ হবে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

April 2023
S S M T W T F
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  

সর্বশেষ খবর

………………………..