সিলেট ৪ঠা অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:৪৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ৫, ২০২৩
বিজ্ঞপ্তি: “জাফলংয়ে অবৈধ ক্রাশার মেশিনের থাবায় নিধন বনাঞ্চল, নিরব বনবিভাগ” শিরোনামে গত মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) কয়েকটি অনলাইন পোর্টাল সহ নামে দৈনিক কয়েকটি পত্রিকার ছাপা সংখ্যায় সংবাদটি প্রকাশিত হয়।
প্রকাশিত সংবাদের সহিত ভিন্নমত পোষণ করে জাফলং বন বিটের বিট অফিসার হাবিবুর রহমান জানান- আমার বিট এলাকায় নতুন করে কোন ক্রাশার মেশিন স্থাপন করা হয় নি আর যেগুলো স্থাপন আছে সেগুলো পূর্বে ছিলো। আমি জাফলং বিটে নতুন আসছি প্রায় ৬ মাস হচ্ছে। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি আমার যোগদানের পর হইতে এখনো পর্যন্ত আমার বিট এলাকায় কোন ধরণের অবৈধ স্থাপনা হয়নি আর ক্রাশার মেশিন স্থাপন করাতো বহুদূর। যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও ভূয়া।
তিনি ভিন্নমত পোষণ করে আরো জানান- আপনারা দেখুন যেখানে কোন ধরণের অবৈধ স্থাপনা বসানো হয়নি সেখানে গাছ কর্তনের বিষয়টি হাস্যকর বলে আমি মনে করি। সংবাদে যে ছবিটি জাফলং বিটের আওতাধীন এলাকার হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছে মূলত সেই ছবিটি নলজুরি এলাকার। তবে কানাইজুরী ও নলজুরি এলাকায় যেসব ক্রাশার মেশিন রয়েছে সেগুলো মালিকানা ভূমিতে আর সেখানে জাফলং বিটের কোন ভূমি নেই।
উক্ত প্রকাশিত সংবাদ ধারা আমাকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা ও মনগড়া তথ্য দিয়ে আমার সম্মানহানি করার অপ্রচেষ্ঠা চালানো হচ্ছে। আমি উক্ত প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি পাশাপাশি ভবিষ্যতে ক্লাপনিক ও মনগড়া এমনকি উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণ ছাড়া আমি কিংবা যে কারো বিরুদ্ধে এরকম ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ থেকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
তামাবিল চুনাপাথর এবং পাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সহ-সভাপতি জালাল উদ্দীন জানান- নলজুরিতে আমার ক্রাশার মিল যে জায়গাতে স্থাপন করা হয়েছে সে জায়গা মালিকানাধীন সরকারের খাজনা দেওয়া হয়েছে। আমি উক্ত প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
মোহাম্মদপুর এলাকার ক্রাশারমিল মালিক শাহজাহান বলেন- আমি প্রায় ৫ বছর ধরে এখানে ক্রাশার স্থাপন করে ব্যবসা করে আসছি। আমি উক্ত প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে সারী রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা সালাউদ্দিন বলেন, আমি এখানে যোগদান করেছি মাত্র ৩ মাস। ক্রাশার মিলের ব্যাপারে যে অভিযোগ উঠেছে, যেসব জায়গা নিয়ে সংবাদ হয়েছে, তাৎক্ষনিক আমি সে সকল জায়গা পরিদর্শন করি এবং সেখানে গিয়ে জানতে পারি যে ক্রাশার মিল গুলো রয়েছে সে গুলো বহু বছর আগে স্থাপন হয়েছে সে জায়গা গুলো সংরক্ষিত বনবিটের আওয়াতাধীন নয়। তবে দুইটা ক্রশার মিল পুনর্নির্মাণ হয়েছে। তিনি আরোও বলেন- যদি আমাদের সংরক্ষিত বনবিটের আওতায় কোন ধরনের অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ হয় তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd