সিলেট ২১শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২২শে জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১:১৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৭, ২০২৩
লাখাই সংবাদদাতা: হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার বামৈ ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ব্যাপক দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের তহসিলদার সত্যন্দ্র চন্দ্র দাশের বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্য ও দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তার ভয়ে অনেকেই প্রতিবাদ করার সাহস পায় না।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বামৈ গ্রামের মৃত মোজাফর মিয়ার ছেলে আব্দুল আহাদ মিয়া।
গত ২৩ জানুয়ারি দাখিল করা লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, বামৈ ভূমি অফিসের তহসিলদার সত্যন্দ্র চন্দ্র দাশ ও সহকারী রিপন সিংহের কাছর গত ১৯ জানুয়ারী লায়েছ মিয়া পিতা মৃত হিরাজ মিয়াকে এলাকার মসজিদের কাটিয়ারা মৌজার জে,এল নং ৬৩, খতিয়ান নং ৩৭০, দাগ নং ৪৬০০.৪৬২৬, ৪৬২৭, ৫৪২৪,৫৪৬০, ৫৪৬৮ মোয়াজী ২.৬০ একর ভূমির খাজনা দিতে পাঠাই। উক্ত তহসিলদার নগদ ২৬ হাজার টাকা দাবি করেন, এক পর্যায়ে আলোচনাক্রমে ৬ হাজার টাকা দিতে বলেন তিনি। তখন ৬হাজার টাকা তহসিলদারের হাতে দেওয়া হয়, কিন্তু দুঃখের বিষয় আমার খাজনার কপিতে ৩৬৭ টাকা দেখানো হয়। পরবর্তীতে লায়েছ মিয়া আপত্তি করাতে বিভিন্ন লোকজনের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করেন।
এছাড়াও জানা যায়, গত ২৭ অক্টোবর উপজেলার মুড়াকরি গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল আউয়াল ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের জন্য বামৈ ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহসিলদার সত্যেন্দ্র চন্দ্র দাসের নিকট যান। এ নিয়ে অনেক আলোচনার এক পর্যায়ে সত্যেন্দ্র তাকে নিয়ে অন্য একটি রুমে যান। তিনি আব্দুল আউয়ালের নিকট ২৬ হাজার টাকা দাবি করেন। আব্দুল আউয়াল এর নিকট থেকে সত্যেন্দ্র দাস ১৩ হাজার টাকা নিয়ে রফা করেন। তবে ১৩ হাজার টাকা নিলেও আব্দুল আউয়ালকে ৪ হাজার ৮ শত ৯৩ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে বলে ভূমি উন্নয়ন করের রসিদ প্রদান করে বিষয়টি অন্য কাউকে না বলার জন্য বলেন।
এ সময় সত্যেন্দ্র হুমকি দিয়ে আব্দুল আওয়ালকে বলেন যদি তিনি বিষয়টি কাউকে জানান তবে আব্দুল আউয়ালের অন্যান্য জমির ভূমি উন্নয়ন কর নেটের মাধ্যমে ৪ গুণ বেশি পরিশোধ করতে হবে। পরে গত ১৮ ডিসেম্বর মোঃ আব্দুল আউয়াল বাদী হয়ে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এর নিকট সত্যেন্দ্র চন্দ্র দাসের দুর্নীতি, ঘুষ ও অনিয়মের বিষয়ের লিখিত অভিযোগ করেন।
এর প্রেক্ষিতে হবিগঞ্জ জেলার সিনিয়র সহকারী কমিশনার (রাজস্ব) মোঃ কামরুজ্জামানের কার্যালয়ে গত ২৭ ডিসেম্বর এ নিয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয় বলে জানা গেছে।
অভিযুক্ত বামৈ ইউনিয়ন ভুমি অফিসের তহসিলদার সত্যন্দ্র চন্দ্র দাশ বলেন, এসব আমি কিছু জানি না, এ সব মিথ্য অভিযোগ বলে তরিঘরি করে কল কেটেদেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd