সিলেট ১৮ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৯শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:০৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৯, ২০২২
গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি :: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলাধীন ৫নং পূর্ব আলীরগাঁও ইউনিয়নস্থ বাঘের সড়ক (সিলেট তামাবিল মহাসড়ক) সংলগ্ন সদ্য প্রতিষ্ঠিত সিলেট-১০নং কূপ (অনুসন্ধান কূপ) খনন প্রকল্পে। উপজেলার তৃনমুল মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ের দাবি জানিয়ে স্থানীয় বাঘের সড়কে এলাকার সচেতন মহলের উদ্যোগে সিলেট তামাবিল মহাসড়কে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী। মানববন্ধন শেষে ব্যাবস্থাপনা পরিচালক সিলেট গ্যাসফিল্ড লিমিটেড বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছে এলাকাবাসী।
সোমবার (১৯ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় আয়োজিত মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দরা বলেন, বাংলাদেশের প্রথম গ্যাসক্ষেত্র সিলেটের হরিপুর গ্যাস ফিল্ডে নতুন অনুসন্ধান কূপ খননকাজ শুরু হচ্ছে। এই খননকাজ চালাবে চীনের কোম্পানি সিনোপ্যাক পেট্রলিয়াম করর্পোরেশন। এ কাজে ব্যয় হবে ১৪৯কোটি টাকা।
জানা গেছে, চীনের কোম্পানি সিনোপ্যাক পেট্রলিয়াম করর্পোরেশনকে বিদ্যুৎ-জ্বালানির বিশেষ বিধানে কাজ দেয়া হয়েছে। তারা হরিপুরের সিলেট-১০ নামের কূপে খনন কাজ করবে। এতে ৩হাজার ৩০০মিটার গভীর পর্যন্ত খনন করা হবে। এই খননকাজের অর্থ দেবে গ্যাস উন্নয়ন তহবিল ও সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের (এসজিএফএল)’র নিজস্ব তহবিল থেকে। এ দিকে খননকাজ প্রকল্প বাস্তবায়নে সিনোপ্যাকের সাথে চুক্তি করেছে সিলেট গ্যাসফিল্ডস লিমিটেড। চলতি বছরের ১৩সেপ্টেম্বর ঢাকাস্থ কারওয়ান বাজারে পেট্রোবাংলার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাস্তবসম্মত প্রকল্প নিয়ে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের কাজ বাড়ানো আবশ্যক। গৃহীত প্রকল্প গুলো নির্ধারিত সময়ের আগেই বাস্তবায়ন করতে হবে। অনুসন্ধান কূপ থেকে যে পরিমাণ গ্যাসই আসুক তা দেশের উন্নয়নে অপরিসীম অবদান রাখবে। অনুষ্ঠানে সিলেট গ্যাস ফিল্ডসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, সিলেট-১০ নামের কূপ থেকে প্রতিদিন ১০মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার আশা রয়েছে। প্রসঙ্গত, সিলেটের হরিপুর গ্যাস ফিল্ড বাংলাদেশের প্রথম গ্যাসক্ষেত্র। ১৯৫৫ সালে এই গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে। স্বাধীনতার আগ পর্যন্ত এখানে ছয়টি কূপ খনন করা হয়। স্বাধীনতার পর ১৯৮৬ সালে হরিপুরে সাত নম্বর কূপ খনন করা হয়। ১৯৮৯ সালে ৮নম্বর কূপ খনন করা হয়। আর ২০২১ সালের অক্টোবরে ৯নম্বর কূপের খননকাজ শুরু হয়।
এবার শুরু হচ্ছে ১০ নম্বর কূপের খননকাজ এতে আমাদের এলাকাবাসীর ৫পাঁচ দফা দাবি নিম্নোক্ত (১) বাঘের সড়ক উচ্চ বিদ্যালয়ের জন্য পঞ্চাশ হাজার টাকা মাসিক অনুদান প্রদান করতে হবে। (২) বাঘের সড়ক বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মাসিক বেতন ও অবকাঠামো উন্নয়ন বাবত এককালীন ৫লক্ষ টাকা প্রদান। (৩) আমাদের এলাকার বেকার যুবকদের জন্য যোগ্যতা অনুযায়ী কমপক্ষে ১০০শত জনবলকে শুন্য পদে সরাসরি নিয়োগ প্রদান করা। (৪) জামেয়া মোহাম্মদীয়া হাফিজিয়া দারুল হাদিস লাতু মাদ্রাসায় দ্বীনি শিক্ষা বিস্তারের জন্য একটি নতুন একাডেমিক ভবন নির্মান করা। (৫) বাঘের সড়ক বাজার জামে মসজিদের বিদ্যুৎ বিলের মাসিক ব্যয় এবং ইমাম ও মোয়াজ্জিনের মাসিক সম্মানি ভাতা প্রদান করত।
ইউপি সদস্য মোঃ ফয়সল আহমদ’র র নেতৃত্বে মানববন্ধনে এ-সময় উপস্থিত ছিলেন, পুর্ব আলীরগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক সোহেল আহমদ, মোঃ জয়নাল উদ্দিন, মোঃ লুৎফুর রহমান, সজল সরকার, সাবেক ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সব্বির আহমদ, শাহ আলম, মোঃ আব্দুল্লাহ, মোহাম্মদ আলী, নাসির উদ্দিন, বদরুল আলম, কামরুল ইসলাম, নুরুল হক, শাহাব উদ্দিন, মোঃ জাকারিয়া, মুসলিম উদ্দিন, বিলাল উদ্দিন, আলী আমজদ, আব্দুস সালাম, আব্দুর রউফ প্রমূখ।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd