সিলেট ৪ঠা অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:৩৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৫, ২০২২
নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটে বিভাগীয় গণসমাবেশের জন্য প্রচার চালানোর সময় নিখোঁজ বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলীর সহধর্মিণী তাহসিনা রুশদীর লুনার গাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে। তিনি অক্ষত থাকলেও তাকে বহনকারী প্রাইভেটকারটি ভাঙচুর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়। এ সময় আহত হয়েছেন ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সহসভাপতি।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে সাড়ে ৪টায় ওসমানীনগর উপজেলার গোলাবাজারে এ ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিকেলে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ওসমানীনগরে প্রচারপত্র বিতরণ করতে যান এম. ইলিয়াস আলীপত্নী লুনা। এ সময় শেরপুর থেকে দয়ামীর পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীদের বাধার মুখে পড়েন তিনি। দক্ষিণ গোয়ালাবাজার এলাকায় পুলিশ মারমুখী অবস্থান নিয়ে ট্রাক দাঁড় করিয়ে মহাসড়কে বেরিকেড দিলে বিএনপি নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে লুনার গাড়ি বেরিকেট ডিঙিয়ে উত্তর গোয়ালাবাজার প্লাজার সামনে এলে হামলা করা হয়। পরবর্তীতে গোয়ালাবাজারে কোনো কর্মসূচি না করে তার গাড়ি সরাসরি দয়ামীর বাজারে চলে যায়। সেখানে গাড়ি থেকে নেমে তিনি ঝটিকা প্রচারপত্র বিলি করতে শুরু করলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় তাঁর গাড়ির সামনের কাঁচ ভাঙা ও পেছনের বনেটে আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়।
গোয়ালাবাজারে গাড়িতে হামলার জন্য লুনা সরাসরি ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, ১৯ নভেম্বর সিলেটে বিএনপির গণসমাবেশকে ঘিরে সরকারের মধ্যে ভীতি তৈরি হয়েছে। এ কারণে বিনা উসকানিতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ প্রচারপত্র বিতরণ কর্মসূচিকে বানচাল করতে পরিকল্পিতভাবে আমার গাড়িতে হামলা চালিয়েছে। সরকার দলীয়দের হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ মিছবাহ ও উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুর রূপ আব্দুল আহত হয়েছেন।
তবে গাড়িতে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাবেদ আহমদ আম্বিয়া। তিনি বলেন, যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গোয়ালাবাজার প্লাজার সামনে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতারা কেক কাটার জন্য জড়ো হয়েছিলেন। এ সময় বিএনপি নেতারা প্লাজার সামনে অবস্থান নিয়ে প্রচারপত্র বিলি করতে চাইলে যুবলীগ নেতা তাদের অন্য জায়গায় যাওয়ার জন্য বললে। এতে তুমুল বাকবিতণ্ডা হয়।
তিনি আরও বলেন, এ সময় উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে যুবলীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করা হয়। এ হামলায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ছয় জন আহত হন।
ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাঈন উদ্দিন বলেন, বিএনপি তাদের প্রচারপত্র বিলি কর্মসূচিকে ঘিরে ওসমানীনগরে অরাজকতা তৈরি করতে চেয়েছিল। তাই পুলিশ এলাকার শান্তি রক্ষার্থে কাজ করেছে।
ওসি আরও বলেন, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগে দুজনকে আটক করা হয়েছে। পরবর্তীতে মামলা হলে তাদের গ্রেফতার দেখানো হবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd