গোয়াইনঘাটে দলীয় প্রার্থীদের সাথে সমানে লড়ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা

প্রকাশিত: ৯:৫৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৫, ২০২২

গোয়াইনঘাটে দলীয় প্রার্থীদের সাথে সমানে লড়ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, গোয়াইনঘাট :: গোয়াইনঘাট উপজেলায় চারটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আগামী ২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে ঘিরে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। পোস্টার, ব্যানারে ছেয়ে গেছে ইউনিয়নের অলিগলি।

প্রার্থীরা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঘুরছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে, দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রুতি। মিছিল-মিটিং, পথসভা, উঠান বৈঠকে গণসংযোগ চলছে তাল মিলিয়ে। ইউনিয়নের হাট-বাজার, চা স্টলে চলছে নির্বাচনি আলাপ-আলোচনা। চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্যরাও রাত-দিন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে ভোট প্রার্থনা করছেন।

সবার আশা ভোট যুদ্ধে তারই জিত হবে। তবে সাধারণ ভোটাররা ভোট দেওয়ার ব্যাপারে কোনো প্রার্থীকে নিরাশ করছেন না। নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে গিয়ে তাদের আদর্শের বয়ানসহ ইউনিয়নে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করছেন।

সরজমিনে দেখা গেছে, চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্য প্রার্থীরা অটোরিকশা, ইজিবাইক, রিকশায় মাইক বেঁধে নির্বাচনি প্রচারণা চালাচ্ছেন। দলীয় প্রার্থীদের পাশাপাশি বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীরা সমানতালে লড়ছেন এবং নির্বাচনি প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।

এদিকে বিজয় নিশ্চিত করতে মরিয়া ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থীদের সাথে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও। অন্যদিকে জয় পেতে তৎপরতা বাড়িয়েছেন বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

চার ইউপি নির্বাচনে নৌকার বিজয় ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে কাজ করছেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও নৌকার প্রার্থীরা। উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ নৌকার কান্ডারীদের বিজয় নিশ্চিত করতে নির্বাচনী প্রচার প্রচারনায় শরিক হচ্ছেন।

অন্যদিকে নৌকার প্রার্থীদের পরাজিত করে বিজয় নিশ্চিত করতে সমান তালে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

নির্বাচনে প্রতি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী থাকলেও দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে অনেকেই হয়ে গেছেন বিদ্রোহী প্রার্থী। প্রতিদ্বন্ধী হয়ে উঠেছেন নিজ দলের নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে। আবার একাধিক প্রার্থী রয়েছেন স্বতন্ত্র ও অন্যান্য দলের।

এদিকে নির্বাচনী মাঠে বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দাপটে চোখে ঘুম নেই নৌকার প্রার্থীদের। নির্বাচনী মাঠ ঘুরে দেখা যায়, প্রতীক বরাদ্দের পরপর নৌকার প্রার্থীদের পাশাপাশি নির্বাচনী মাঠে আলোচনায় রয়েছেন বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। জেলা আওয়ামী লীগের সমন্বয়ে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গোয়াইনঘাট উপজেলা আওয়ামিলীগ ঐক্যবদ্ধভাবে দলীয় নেতাকর্মীদের কাজ করার নির্দেশে নির্বাচনী মাঠের মোড় ঘুরাতে চায় নৌকার বিজয়ের দিকে। উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ প্রতিটি এলাকায় গিয়ে নৌকার পক্ষে ভোট প্রার্থনা করছেন। চারটি ইউনিয়নে ২৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিন্দ্বিতা করছেন।

এছাড়াও নবগঠিত উপজেলা ছাত্রলীগ কমিটি প্রতিটি ইউনিয়নে সমন্বয় কমিটি গঠন করে দলীয় প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছে এবং উপজেলা ছাত্রলীগের কোন কর্মীকে বিদ্রোহী প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করতে দেখলে ব্যবস্থা গ্রহণের কঠিন হুশিয়ারি দিয়েছে।

যেখানে সেখানে জমছে মানুষ, ঝড় উঠছে আলোচনা-সমালোচনার। হুট হাট করে প্রার্থীরা উপস্থিত হচ্ছেন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি। চলছে চা আপ্যায়ন। চা ও পান যেন নিয়ামক হয়ে উঠছে ভোটাদের আপ্যায়নে আর প্রার্থীদের সঙ্গে ভোটারের মাঝে সম্পর্ক হচ্ছে উন্নয়নের কিংবা নবায়নের। চায়ের কাপের ধোওয়ার সঙ্গে উচ্ছাস আর আবেগের মাখামাখিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে হাট-বাজার ও উঠোনে। নির্বাচনকে ঘিরে ভোটারদের আগ্রহ ও কৌতূহলের যেন শেষ নেই। কেমন হবে এবারের নির্বাচন? দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের সুবিধে কী? এসব প্রশ্ন এখন ভোটারদের মুখে মুখে। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শেষ মুহূর্তে প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণায় ও গণসংযোগে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

তফসিল অনুযায়ী- উপজেলার চারটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২ নভেম্বর। ২৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৩ পদে ২৪৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..