সিলেট ১৩ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৪ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:০৫ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২০, ২০২২
নিজস্ব প্রতিবেদক, গোয়াইনঘাট :: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার চারটি ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ছিলেন ২৬ জন প্রার্থী। গতকাল প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন ২৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী। তিনজন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ৩ নং পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন থেকে মাসুদ আলম, সদর ইউনিয়ন থেকে আরশ আলী কালা মিয়া ও নাছির উদ্দিন মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। উপজেলার চারটি ইউনিয়ন হচ্ছে, ২ নং পশ্চিম জাফল, ৩ নং পূর্ব জাফলং,১১ নং মধ্য জাফলং ও ১২ নং গোয়াইনঘাট সদর ইউনিয়ন। উপজেলার চারটি ইউনিয়নে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত মাত্র ৪ জন নৌকার প্রার্থী হলেও প্রতিটি ইউপিতে বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ছড়াছড়ি। আওয়ামী লীগ সমর্থন করেন এরকম ৩ জন এবং দলের মনোনয়ন চেয়ে না পেয়ে বিদ্রোহী ৫ জন। জমিয়তে উলামা থেকে দুইজন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দুইজন ও জাতীয় পার্টি থেকে একজন। অন্যান্যরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি প্রার্থী না দিলেও বিএনপি সমর্থিতরা স্বতন্ত্রের ব্যানারে স্হানীয় ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সুত্র জানা যায়, উপজেলার চার ইউনিয়নের ২৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী সহ ৩ পদে ২৪৫ জন প্রার্থী ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
আগামী ২ নভেম্বর গোয়াইনঘাট উপজেলার ৪টি ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্টিত হবে। ৪ ইউপির এই নির্বাচনে ইতোমধ্যে আওয়ামীলীগ ৪ জনকে দলীয় মনোনয়ন প্রদানের মাধ্যমে আগাম (নৌকা প্রতীক) দিয়ে মাঠে নামিয়েছে। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে প্রতিটি ইউনিয়নে দলের মনোনীত প্রার্থী ছাড়াও আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী ও একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। ক্ষমতাসীন দল বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিলেও এবারও তা ঠেকাতে পারেনি।
উপজেলার ৩ নং পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৬ জন। আওয়ামীলীগ মনোনীত নোকা মার্কার প্রার্থী রফিকুল ইসলাম, বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান লেবু, আওয়ামী লীগ সমর্থন করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী চশমা প্রতীকে আব্দুল মুতলিব, স্বতন্ত্র প্রার্থী হামিদুল হক ভূঞা আনারস প্রতীক, মোঃ শামীম আল মামুন বিদ্রোহী প্রার্থী মটরসাইকেল প্রতীক ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোঃ আক্কাস আলী শেখ হাতপাখা প্রতীক। এই ইউনিয়ন থেকে মোঃ মাসুদ আলম তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
২ নং পশ্চিম জাফলং ইউনিয়ন থেকে ৫ জন। আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী আব্দুস সালাম, বিদ্রোহী প্রার্থী মামুন পারভেজ আনারস প্রতীক, আওয়ামী লীগ সমর্থন করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ আব্দুল মালিক ঘোড়া প্রতীক, স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মুমিন চশমা প্রতীক ও জমিয়ত উলামায়ের মাওলানা মুফতি আমির আহমদ খেজুর গাছ প্রতীক।
১১ নং মধ্য জাফলং ইউনিয়ন থেকে ৫ জন। আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী মোঃ ফারুক আহমদ, বিদ্রোহী প্রার্থী লোকমান হোসেন (সিকদার) আনারস প্রতীক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের লোকমান হোসেন হাতপাখা প্রতীক, আব্দুর রহিম জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইদুর রহমান ঘোড়া প্রতীক।
১২ নং গোয়ানঘাট সদর ইউনিয়ন থেকে ৭ জন। আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী সুভাষ চন্দ্র পাল ছানা, বিদ্রোহী প্রার্থী গোলাম রব্বানী সুমন আনারস প্রতীক, আওয়ামী লীগ সমর্থন করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন ঘোড়া প্রতীক, জমিয়তে উলামা মাওলানা আবুল খায়ের খেজুর গাছ প্রতীক, স্বতন্ত্র প্রার্থী মহিবুর রহমান চশমা প্রতীক, স্বতন্ত্র প্রার্থী হুসাইন আহমদ মোটরসাইকেল ও এম এ রহিম অটো রিস্কা প্রতীক।
এই ইউনিয়ন থেকে আরশ আলী কালামিয়া ও নাছির উদ্দিন নৌকার প্রার্থীর পক্ষে সমর্থন করে তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন।
এদিকে প্রতিটা ইউপির প্রার্থীরা তাদের মনোনয়ন জমাদানের পর থেকে প্রতিক বরাদ্দের আগেই প্রচারনায় ব্যস্ত ছিলেন। কুশল বিনিময় থেকে শুরু করে উঠান বৈঠক পর্যন্ত করেছেন। গতকাল প্রতীক পাওয়ার পর থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের প্রচারণা পুরোদমে চলছে।পশ্চিম জাফলং, সদর, মধ্য জাফলং ও পূর্ব জাফলংয়ের প্রার্থী ও সমর্থকদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দের পর পোষ্টার, ব্যানার, ফেস্টুন, স্টিকার আর রং বে-রংঙ্গের প্রচার কার্যক্রম দেখা গেছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd