সিলেট ১৬ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৭ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:০৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১২, ২০২২
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : তিন লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা ছিনতাই, শ্বাসরোধ করে হত্যাচেষ্টা এবং পরে মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ করেছেন সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার সেনাপতির চক গ্রামের মৃত আব্দুল ওয়াহিদের ছেলে মোহাম্মদ আব্দুর রহিম। আব্দুর রহিম একজন পেশাদার নিবন্ধিত ইউনানি চিকিৎসক ও ফার্মাসিস্ট এবং বাংলাদেশ স্বাধীনতা গ্রাম ডাক্তার সোসাইটির সিলেট জেলার সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। গতকাল বুধবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান তিনি।
লিখিত বক্তব্যে আব্দুর রহিম বলেন, গত ৪ অক্টোবর আমার কর্মস্থল মেসার্স রাব্বি ড্রাগ হাউস, বাবুর বাজার থেকে ৩ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা নিয়ে আমার পাওনাদার হেলাল আহমদের একাউন্টে জমা করার উদ্দেশ্যে জকিগঞ্জ পূবালী ব্যাংকে রওয়ানা দেই। বেলা আড়াইটার দিকে জকিগঞ্জ বাজারস্থ মহাজন বাড়ির গলির সম্মুখে পৌছা মাত্র কেছরি গ্রামের মৃত মুসলিম উদ্দিনের ছেলে আল হাসিব ও তার ৭/৮ জন সহযোগী আমার মোটর সাইকেলের গতি রোধ করে মোটরসাইকেল থেকে লাথি মেরে আমাকে ফেলে দেয়। ডেগার ধরে এবং শ্বাস রোধ করে টানতে টানতে গলির শেষ প্রান্তে নিরিবিলি স্থানে নিয়ে যায়।
এ সময় আল হাসিব আমার পকেটে থাকা মোবাইল ফোন ও কালো রঙের ব্যাগে থাকা ৩ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা ব্যাগসহ নিয়ে যায়। আমাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে কিলঘুষি ও কাঠের বর্গা দিয়ে আমার কোমরে আঘাত করে। একপর্যায় স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে জকিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে আমার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। স্থানীয়রা অক্সিজেন লাগিয়ে এম্বুলেন্স যোগে আমাকে ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসা শেষে কিছুটা সুস্থবোধ করলে গত ১৫ সেপ্টেম্বর সিনিয়র চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্যাট আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। মামলা দায়েরের খবর শুনে আল হাসিব ও তার সহযোগীরা মামলাটি উঠিয়ে না নিলে আমাকে ও আমার স্বাক্ষীদের মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে।
তিনি বলেন, হামলাকারী আল হাসিব গত ২৯ সেপ্টেম্বর স্থানীয় একটি দৈনিকে ‘জকিগঞ্জে প্রবাসীকে হত্যাচেষ্টা করে টাকা কাগজপত্র লুটের ঘটনায় আদালতে মামলা’ শীর্ষক একটি সংবাদ প্রচার করে। মূলত আল হাসিবই মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগে এই মামলাটি আমার বিরুদ্ধে করিয়েছে। একই পত্রিকা নিজস্ব সংবাদদাতার বরাত দিয়ে যে সংবাদটি প্রকাশ করেছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন উদ্দেশ্য প্রণোদিত। বাস্তবতার সাথে সংবাদের কোন মিল নেই। আল হাসিব জকিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. খালেদ সাহেবের দায়ের করা একটি চাঁদাবাজি মামলায় তার তিন মাসের জেল হয় এবং আদালত তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
আব্দুর রহিম বলেন, ‘আল হাসিব নিজেকে বাঁচাতে এবং আমার মামলা ধামাচাপা দিতে আমার ভাতিজা কাওসারকে তার পক্ষে নিয়ে নেয়। কাওসার বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপের সাথে সম্পৃক্ত। আমার ওই ভাতিজাকে প্ররোচনা দিয়ে আমার মামলার স্বাক্ষীদের আসামি করে গত ২৮ সেপোটম্বর আদালতে একটি মামলা করায় হাসিব। মামলার আর্জিতে বলা হয় তার সম্পদের জবর দখল ও নগদ টাকা লুট করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাদের জায়গা জমি গোষ্ঠীর সবাই মিলে ভাগভাটোযারা করে দিয়েছেন। কাওসার আহমদ প্রায় দুই মাস পূর্বে আল হাসিব ও গ্রামের মাদক ব্যবসায়ীদের প্ররোচনায় ও তাদের নিয়ে সহিদাবাদ মৌজার সিরাজ উদ্দিনদের জায়গা দখল করার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় সিরাজ উদ্দিন নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্যাট আদালতে ১৪৪ ধারায় একটি মামলা দেন। ওই মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে কাওসার ও তার সহযোগীদের ভুমি জবর দখলের চিত্র ফুটে উঠে। কাওসার আমাদের তিন ভাইয়ের জায়গাজমি দখলের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। এখন আল হাসিবের প্ররোচনায় আমার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগে মামলা করে তা সংবাদ মাধ্যমে প্রচার করে সমাজে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হতে সকলের প্রতি আমি অনুরোধ জানাচ্ছি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd