সিলেট ২১শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২২শে জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:০৮ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩০, ২০২২
নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে সিলেটে অবৈধ বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্লাড ব্যাংকের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে নগরীর ডাক্তারপাড়া খ্যাত স্টেডিয়াম মার্কেট এবং নবাব রোডস্থ নিরাময় পলি ক্লিনিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের টিম যৌথভাবে তদারিকমূলক অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে নিরাময় পলি ক্লিনিকের কোনো বৈধ কাগজপত্র না থাকায় সেটি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। ক্লিনিকটিতে চিকিৎসাধীন রোগীদের অন্যান্য হাসপাতালে প্রেরণের জন্য একদিন সময় দেওয়া হয়েছে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. এস এম শাহরিয়ার। সঙ্গে ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় ও জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
অভিযানকালে উপস্থিত থাকা সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. জন্মেজয় দত্ত শংকর গনমাধ্যমকে বলেন- আজ তদারকিমূলক অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়নি তাই কাউকে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়নি।
তিনি বলেন- আজ (রবিবার) বিকেলে স্টেডিয়াম মার্কেট ও নিরাময় পলি ক্লিনিকে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানকালে দেখা গেছে- নিরাময় পলি ক্নিনিকের লাইসেন্সের মেয়াদ ২০১৯ সালে উত্তীর্ণ হয়েছে। এরপর কর্তৃপক্ষ আর লাইসেন্স নবায়ন করে নাই। অথচ তারা চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছে। ওই ক্লিনিকে রোগীরা চিকিৎসাধীন, তাই তাদের অন্যত্র প্রেরণের জন্য কাল (বুধবার) সকাল পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। কাল থেকে নিরাময় পলি ক্লিনিকে সব ধরণের সেবা প্রদান বন্ধ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাথাযথভাবে লাইসেন্স নবায়ন ও অন্যান্য কাগজপত্র ঠিকঠাক করার পর তারা সেবা প্রদান করতে পারবেন।
ডা. জন্মেজয় দত্ত শংকর আরও বলেন, স্টেডিয়াম মার্কেটে ৮-১০ টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এগুলোর মধ্যে মাত্র একটির কাগজপত্র ঠিক রয়েছে। বাকি সবগুলো অবৈধ। এগুলো বন্ধ করে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে সিলেটে চলতি বছরের মে মাসে অবৈধ বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্লাড ব্যাংকের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়। এসময় মহানগরীসহ জেলার বেশ কয়েকটি লাইসেন্সবিহীন প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। এছাড়াও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়।
লাইসেন্স নবায়ন ও কাগজপত্র ঠিক করার শর্তে অভিযান কিছুটা শিথিল করা হয়েছিলো। তবে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার সব শর্ত এখনও অনেক প্রতিষ্ঠান না মানায় পরিস্থিতির উন্নতির লক্ষ্যে সিলেটে মঙ্গলবার থেকে ফের অভিযান শুরু হয়েছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd