সিলেট ৯ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৩ই মহর্রম, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:১৫ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৮, ২০২২
ক্রাইম প্রতিবেদক :: দক্ষিণ সুরমার ভার্থখলাস্থ কুমিল্লাপট্টি জুয়াড়ী, মাদকব্যবসায়ী ও অপরাধীদের স্বর্গরাজ্য। মদ জুয়া থেকে শুরু করে এমন কোন অসামাজিক কার্যকলাপ নেই যা সংঘটিত হচ্ছেনা এই পট্টিতে । আর সবকিছু হচ্ছে স্থানীয় প্রশাসনের কর্তা-ব্যক্তিদের ম্যানেজ করেই।
এই কুমিল্লা পট্টি থেকে এসএমপি’র দক্ষিণ সুরমা থানা কমপ্লোক্স কিছুটা দূর হলেও কদমতলীস্থ দক্ষিণ সুরমা পুলিশ ফাঁড়ি কয়েকশ’ গজের মধ্যেই। আর কোতোয়ালী থানা থেকে দূরত্ব বলতে মাত্র সুরমা নদী। ওটা পার হলেই দক্ষিণ সুরমার ভার্থখলার স্বর্গরাজ্য কুমিল্লাট্টি।
জানা গেছে, ভার্তখলা এলাকার কুমিল্লাপট্টির অধিকাংশ জমিই বাংলাদেশ রেলওয়ের। তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ব্যক্তি জমি লিজ নিয়ে কলোনি গড়ে তুলে ভাড়া ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। গত কয়েক বছর ধরে কুমিল্লাপট্টিতে মদ গাঁজা ইয়াবা ব্যবসার বিষয়টি একেবারে অপেন সিক্রেট। তবে তীরশিলং জুয়া চলছে কোন রাখঢাক ছাড়াই। প্রায় প্রতিদিন বিকেল দুইটার পর থেকে প্রকাশ্যে বেঞ্চে কাগজ কলম নিয়ে বসে থাকেন জুয়ার দুটি বোর্ডের পরিচালক ও ম্যানেজাররা। টোকেনে নাম লেখেন ও ফি আদায় করেন তারা। এলাকার সর্বস্থরের লোকজন বিশেষ করে নিম্ন আয়ের হতাশাগ্রস্তরা বড়লোক হওয়ার ইচ্ছায় লাইন ধরেন এই জুয়ায় অংশ নিতে। তাদের দু’ একজন সামান্য কিছু জিতলেও অধিকাংশকেই আবার ফিরতে হয় মাথার চুল ছিঁড়তে ছিঁড়তে। কারও আবার চোখ ছল ছল জল। এটাই হচ্ছে প্রতিদিনের চিত্র।
জানা গেছে, এই পট্টিতে কাশেম ও মজনুর দুটি তীর জুয়ার বোর্ড চলছে দীর্ঘদিন থেকে। কাশেমের ম্যানেজার জামাল আর মজনুর ম্যানেজার রঅন্তর নামক এক যুবক। তবে অন্তর জানান, মজনু এখন বিদেশ যাত্রী। তাই তার বোর্ড এখন আর চলেনা।
তবে একথা মানতে রাজী নয় কাশেমের ম্যানেজার জামাল। তিনি নিজে যে কাশেমের ম্যানেজার এবং তার হয়ে যে কুমিল্লাপট্টিতে নিজেই তীর জুয়ার বোর্ড চালাচ্ছেন তা স্বীকার করলেন সদম্ভে। বললেন, অনেক পত্রিকা ও সাংবাদিক ম্যানেজ করেই এখানে জুয়ার বোর্ড চলছে। এমনকি প্রশাসনও ম্যানেজ করা আছে।
জামাল জানান, এখানে মজনু নামে আরেকজনের একটা জুয়ার বোর্ড চলছে। তিনি বিদেশ যাওয়ার কথা ছড়িয়ে দিয়ে গোপনে ঠিকই জুয়ার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এতো গেলো তীর জুয়ার গল্প। তবে আরও কাহিনী আছে সিলেটের অপরাধীদের প্রধান এই স্বর্গরাজ্যের। এখানে মদ গাঁজা ও ইয়াবার ব্যবসা এবং সেবন জমমজমাট । আর এ সব অপরাধমূলখ ব্যবসায় জড়িতরা হলেন, রেনু শরিফ ও ফরিদ। তারা তাদের লোকজন নিয়ে কুমিল্লাপট্টিতে মাদক ব্যবসার সাথে সাথে চোরাই গরুর ব্যবসাও করে। হোটেলে মোটেল এবং বাংলোবাড়িতে পতিতাও সাপ্লাই করে।
সার্বিক বিষয়ে কথা বলতে চাইলে এসএমপির দক্ষিণ সুরমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুল হাসান তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি আমি দেখছি। দ্রুত অভিযান হবে। কদমতলীস্থ দক্ষিণ সরিমা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হোসেইন বলেন, আমরাও অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd