ফেঞ্চুগঞ্জে জাহাঙ্গীর হত্যা মামলায় দুই জনের মৃত্যুদন্ড ও ছয় জনের ১৪ বছর করে কারাদন্ড

প্রকাশিত: ২:৫৪ অপরাহ্ণ, জুন ২০, ২০২২

ফেঞ্চুগঞ্জে জাহাঙ্গীর হত্যা মামলায় দুই জনের মৃত্যুদন্ড ও ছয় জনের ১৪ বছর করে কারাদন্ড

স্টাফ রিপোর্টার : ২০১৯ সালের ২৩ মার্চ ফেঞ্চুগঞ্জের মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। আজ ২০/৬/২০২২ ইং সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শেখ আবু তাহের এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, মামলার রায়ে দুই জনকে দন্ডবিধি আইনের ৩০২/৩৪ ধারায় মৃত্যুদন্ডের আদেশ প্রদান করা হয়েছে। তারা হলেন ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ইলাশপুর গ্রামের তৈয়বুর রহমান (লয়লু)র পুত্র সেলিম আহমদ ও মাহতাব আহমদ।
বাকী আরো ছয় জনকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ৫০,০০০/-টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরোও ৬ ছয় মাসের সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত সবাই ফেঞ্চুগঞ্জ থানার বাসিন্দা। তারা হলেন- ইলাশপুর গ্রামের তৈয়বুর রহমান (লয়লু)র পুত্র সাকের আহমদ, একই গ্রামের হাবিবুর রহমানের পুত্র মনসুর আলম, ইন্তাজ আলমের পুত্র তাকবির আহমদ, আখলাকুল হোসেনের পুত্র জাকির আহমদ, পশ্চিম কনকপুর গ্রামের মাহমুদুর রহমানের পুত্র কসরু মিয়া এবং দারারামপুরের মৃত শরিফ হোসেনের পুত্র নজরুল ইসলাম।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৩ মার্চ মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন দলীয় কার্যক্রম শেষে থেকে বের হলে আসামীগণ তাকে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে উঠিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে তাকে হত্যা করে গুম করার জন্য আসামী সেলিম আহমদ ও সাকের আহমদের বাড়ির পাশে একটি ঝুপঝাড়ে বস্তাবন্দী করে রাখে। পরের দিন ২৪/৩/২০১৯ সকাল ৭ টায় স্থানীয় লোকজন ঝুপঝাড়ে বস্তা দেখে বাদীর পরিবারকে খবর দেন। তাৎক্ষনিক বাদীর পরিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে বস্তার মুখ খুলে। তখন তাতে ক্ষতবিক্ষত লাশ দেখে জিতু মিয়া সহ তার পরিবারের সদস্যরা জাহাঙ্গীর হোসেনের লাশ সনাক্ত করেন। পরে ময়না তদন্তের জন্য পুলিশ লাশটি ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করে। উক্ত ঘটনায় ২৬/০৩/২০১৯ ইং তারিখে জিতু মিয়া বাদী হয়ে উক্ত আসামীগণকে অভিযুক্ত করে ফেঞ্জুগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা (নং-১৮) দায়ের করেন। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই বদরুল ইসলাম ০৮/১২/২০১৯ ইং তারিখে আসামীগণকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (নং-১৯৮) দাখিল করেন। পরে মামলাটি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আসলে ০৭/০৫/২০২০ ইং তারিখে ৩০২/৩৪ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়। দায়রা নং- ৮৮৫/২০২০ ইং।
মামলায় মোট ১৭ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। আসামীদের জবানবন্দি, দীর্ঘ শুনানী ও বাদী-বিবাদী পক্ষে যুক্তিতর্ক শেষে আজ ২০/০৬/২০২২ ইং তারিখে সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শেখ আবু তাহের মামলার এই রায় প্রদান করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পিপি রানা দাশ গুপ্ত। আসামীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট প্রীতিশ দত্ত পিংকু। তাকে সহযোগিতা করেন এডভোকেট শাহীন। আসামীপক্ষের আইনজীবী জানান, আসামীগণ ন্যায় বিচার পাননি। উচ্চ আদালতে আপিল দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

June 2022
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930  

সর্বশেষ খবর

………………………..