সিলেট ১৩ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৪ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৩:৩৭ অপরাহ্ণ, জুন ১৬, ২০২২
নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশই খারাপের দিকে যাচ্ছে। অব্যাহত বৃষ্টি আর উজানের ঢলে বাড়ছে নদ-নদীর পানি। প্লাবিত হচ্ছে এখানকার নতুন নতুন এলাকা। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়ছেন বন্যাকবলিত মানুষেরা।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও সিলেট আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে সিলেটে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। এর সাথে ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে নেমে আসছে ঢল। দুইয়ে মিলে সিলেট অঞ্চলে দেখা দিয়েছে বন্যা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার অন্তত ৭-৮টি উপজেলা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। তলিয়ে যাওয়া এলাকার সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। সুনামগঞ্জে গত পরশু মঙ্গলবার থেকে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকে। ছাতক, দোয়ারাবাজার, তাহিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় এখন পাবিন বাড়ছে। অন্যদিকে সিলেটে গতকাল বুধবার থেকে খারাপের দিকে যায় বন্যা পরিস্থিতি। জেলার কানাইঘাট, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, সদর ও বিশ্বনাথ উপজেলায় পানি ক্রমেই বাড়ছে।
অব্যাহত পানিবৃদ্ধির কারণে ইতোমধ্যে লাখো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। অসংখ্য বাড়িঘর, দোকানপাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট এখন পানিতে কাবু। বন্যাকবলিত এলাকাগুলোর সাথে উপজেলা সদর কিংবা জেলা সদরের যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। সুপেয় পানির সংকটও দেখা দিচ্ছে।
এদিকে, নদীতে পানি বাড়তে থাকায় তীর উপচে নগরীতে ঢুকে পড়েছে পানি। ইতোমধ্যে উপশহর, তালতলা, জামতলা, কালিঘাট, সোবহানীঘাট, তেরোরতন প্রভৃতি এলাকা পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
পাউবো সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমেদ বলেন, পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় পানি ক্রমশই বাড়ছে। স্থানীয় প্রশাসন আমাদেরকে জানিয়েছে, সিলেট নগরের ৮-১০টি এলাকা ছাড়াও জেলার কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট ও সদর উপজেলার অন্তত ৫০০ গ্রাম এরই মধ্যে বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি-বেসরকারি কার্যালয়ের ভেতরে পানি ঢুকে পড়ায় স্বাভাবিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে।
এদিকে, সিলেটের নদীগুলোর পানিবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত জেলার প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারার বিভিন্ন পয়েন্টে পানি বেড়েছে। সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৯৭ সেন্টিমিটার ও সিলেট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এ ছাড়া কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার এবং সারি নদের সারিঘাট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জেও বাড়ছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd