সিলেটের ধোপাদীঘিতে নির্মিত নান্দনিক ওয়াকওয়ের উদ্বোধন

প্রকাশিত: ৪:০৮ অপরাহ্ণ, জুন ১১, ২০২২

সিলেটের ধোপাদীঘিতে নির্মিত নান্দনিক ওয়াকওয়ের উদ্বোধন

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সিলেট নগরীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ধোপাদিঘীতে সিটি করপোরেশন নির্মিত নান্দনিক ওয়াকওয়ের উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার (১১ জুন) সকালে ওয়াকওয়ের উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ড. একে আবদুল মোমেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

সিসিকের পরিকল্পনায় নতুন রূপ পেল সিলেটের প্রাচীনতম এই দিঘীটি।

সিলেট সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৩ এপ্রিল সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল শাখা থেকে এই প্রকল্পের পরিকল্পনা করা হয়। সিসিক ধোপাদিঘীকে নতুন রূপ দেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর ভারত সরকার এগিয়ে আসে এর অর্থায়নে। ‘ধোপাদিঘী এরিয়া ফর বেটার এনভায়মেন্ট অ্যান্ড বিউটিফিকেশন’ নামে প্রকল্প গ্রহণ করে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ শুরু হয়।

সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা জানান, দীঘিতে পানি ছিল ৩ দশমিক ৪১ একর জায়গাজুড়ে। চারপাশে দখল হওয়া জায়গা উদ্ধারের পর পানির সীমানা বেড়ে কমপক্ষে ৩ দশমিক ৭৫ একরে উন্নীত হয়েছে। নোংরা দুর্গন্ধময় পরিত্যক্ত এই দীঘিকে অপরূপ সৌন্দর্যে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ধোপাদিঘীতে সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। চারদিকে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। বসার জন্য রয়েছে বেঞ্চ। পুকুরে নামার জন্য রয়েছে দৃষ্টিনন্দন ঘাট। পুকুরের নোংরা পানিকে পরিষ্কার করা হচ্ছে। নৈসর্গবিদের পরামর্শে গাছ লাগানো হবে। স্থাপন করা হয়েছে পাবলিক টয়লেট।

সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান জানান, ধোপাদিঘী ওয়াকওয়ের পাশাপাশি আরও তিনটি প্রকল্প উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ভারতের হাইকমিশনার ও সিসিক মেয়র। বাকি প্রকল্প দুটি হচ্ছে, ৬ তলা বিশিষ্ট চারাদিঘীরপার স্কুল ও কাস্টঘর সুইপার কলোনি। এ তিন প্রকল্পে মোট ব্যয় হয়েছে ২১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। আর ধোপাদিঘী শিগগিরিই সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘ধোপাদিঘী রক্ষা করে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতেই মূলত সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। দিঘী খনন, ওয়াকওয়ে নির্মাণ, পাড় বাঁধানো ও ঘাট তৈরি তৈরি করা ছিল এ প্রকল্পের মূল কাজ।’

তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন থেকে আমার স্বপ্ন ছিল সিলেট নগরবাসীর হাঁটাচলার জন্য একটি নির্মল পরিবেশের স্থান গড়ে তোলা। আমরা সেই চেষ্টা করছি। এর অংশ হিসেবে ধোপাদীঘিকে সাজানো হয়েছে।’

মেয়র বলেন, ‘দিঘী এলাকা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এর প্রবেশপথ থাকবে সিটি করপোরেশনের মসজিদের উত্তর পাশে। রাতের বেলা আলোকসজ্জার ব্যবস্থা থাকবে। ফলে নগরবাসী যেকোনো সময় এখানে এসে হাঁটাচলা করতে পারবেন।’

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

June 2022
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930  

সর্বশেষ খবর

………………………..