সিলেট ১৯শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৯শে শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৪:০৪ অপরাহ্ণ, মে ১৯, ২০২২
দক্ষিণ সুরমা প্রতিনিধি : দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লতিপুর গ্রামের মোহাম্মদ তোরাব মিয়ার পুত্র মোহাম্মেদ এমাদ হোসেন আকলী বিভিন্ন সময় মিথ্যে মামলা দায়ের করে এখন নিজেই ফেসে গেছেন। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। কিন্তু তাকে পুলিশ এখনও আটক করতে পারেনি। এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, মোহাম্মেদ এমাদ হোসেন আকলীকে ধরতে পুলিশ সম্ভাব্য সব জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে। তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তাকে আটক করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, মোহাম্মেদ এমাদ হোসেন আকলী ২০১৩ সালে তার পিতার উপর হামলা হয়েছে বলে দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি সাজানো মামলা দায়ের করেন তিনি। জি আর নং-৯৩/২০১৩। গত ১৯/০৭/২০১৭ ইং তারিখে আদালত উক্ত মামলার রায় ঘোষণা করেন। তাতে সব আসামীকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়। আদালতের উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে মোহাম্মেদ এমাদ হোসেন আকলী সিলেট মহানগর জজ আদালতে সিভিল রিভিশন (২৮৬/২০১৭) দায়ের করলে গত ০৮/০২/২০২২ ইং তারিখে আদালত তা খারিজ করে এবং নিরপরাধ মানুষকে হয়রানীর দায়ে বাদীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ দেন। তখন পুলিশ বাদী হয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় মোহাম্মেদ এমাদ হোসেন আকলীর বিরুদ্ধে ২১১ ধারায় একটি মামলা দায়ের করে (দক্ষিণ সুরমা নন জি আর নং ৩৮/২০২২)। মোহাম্মেদ এমাদ হোসেন আকলী পলাতক থাকায় উক্ত মামলায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছে।
এদিকে সিলেট যুগ্ম জেলা জজ ২য় আদালতে মোহাম্মেদ এমাদ হোসেন আকলীর দায়েরকৃত স্বত্ব মোকদ্দমা মামলা ১২৩/২০১৭ গত ১৫/০৩/২০২২ ইং তারিখে আদালত খারিজ করে দেয়। মোহাম্মেদ এমাদ হোসেন আকলী তার স্বত্ব ঘোষণা এবং খাস দখল পাওয়ার পুনরুদ্ধারের দাবীতে এই সাজানো মামলা দায়ের করেন। তদন্তে মামলাটি মিথ্যে ও সাজানো প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তা খারিজ করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মামলায় অভিযুক্ত লালু মিয়া মানহানীর অভিযোগ তুলে ফৌজাদারী কার্যবিধি ৫০০ ধারায় সিলেটের অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মোহাম্মেদ এমাদ হোসেন আকলীর বিরুদ্ধে সিআর মামলা (দক্ষিণ সুরমা সিআর-১১০/২০২২ ইংরেজী) দায়ের করেন এবং ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে সিলেট যুগ্ম জেলা জজ ২য় আদালতে টাকা মামলা (৮/২০২২ ইংরেজি) দায়ের করেন। উভয় আদালত মামলা দুটি আমলে নিয়ে বিচারপক্রিয়া শুরু করেছে।
মামলায় হয়রানী ও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ভূক্তভোগীরা জানান, মোহাম্মেদ এমাদ হোসেন আকলী খারাপ প্রকৃতির লোক এবং মামলাবাজ। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তিনি এসব মিথ্যে মামলা দায়ের করে নিরপরাধ মানুষকে পথে নামিয়েছেন। সমাজের চোখে হেয় প্রতিপন্ন করেছেন। আদালত নিরপরাধ মানুষকে খালাস করে সঠিক রায় দিয়েছে। এখন দাঙ্গাবাজা ও মামলাবাজ মোহাম্মেদ এমাদ হোসেন আকলীকে আটক করে ক্ষতিপূরনের টাকা উদ্ধার করতে ও তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান তারা।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd