সিলেট ১৯শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৯শে শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:৫১ অপরাহ্ণ, মে ১৪, ২০২২
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি : সিলেটের বিশ্বনাথে ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে টানা চার’দিন প্রবল বৃষ্টির ফলে দেখা দিয়েছে কৃত্রিম বন্যা, প্রায় ২৫০ হেক্টর বোরো জমির পাকা ধান পানিতে তলিয়ে গেছে।
তলিয়ে গেছে অনেকের মাছের ঘের। বৃষ্টি ও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।
সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন হাওর ঘুরে দেখা যায়, বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে হেক্টরের পর হেক্টর জমির পাকা ধান।
পচে যাবার আশঙ্কায় কৃষকরা বৃষ্টি আর পানি উপেক্ষা করে ধান কাটছেন। বিশ্বনাথ পৌরসভার মাদাই বিলে সুইচগেট বন্ধ থাকায় ডুবে যায় হাওরের মাঠে থাকা পাকা ধান। এসময় কৃষকরা সম্মিলিত ভাবে সুইচগেট দিয়েছে। অন্যান্য হাওরে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় পানিতেই ধান কাটতে দেখা যায় কৃষকদের।
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, এবার উপজেলায় ৭ হাজার ২শ ৯০ হেক্টর জমিত বোরো চাষাবাদ হয়। ফলনও হয়েছে বাম্পার। আশানুরূপ ফলনে উচ্ছ্বসিত ছিলেন কৃষকরা। তারা উৎসবের আমেজে কাটতে শুরু করেন ধান।
ইতোমধ্যেই ৭ হাজার ৪০ হেক্টর জমির ধান কাটা শেষ হয়। অবশিষ্ট ২৫০ হেক্টর জমির ধান এ চার’দিনের বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায়।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার জয়ী কৃষক জাবের আহমদ বলেন, ‘বৃষ্টি বিড়ম্বনায় অধিক মজুরি দিয়ে এখন পানিতেই ধান কাটতে হচ্ছে। অন্তত আরও কয়টা দিন বৃষ্টি না হলে আশানুরূপ ফলন তুলতে পারতাম। এদিকে মাদাই হাওরে সুইচগেট পুরোপুরি খোলা না থাকায় আমরা আরও বিপাকে পড়েছি।
এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কনক চন্দ্র রায় বলেন, ‘বৃষ্টি থামলে তলিয়ে যাওয়া ধান যদি ভেসে ওঠে তাহলে সমস্যা হবে না। ধান বেশি দিন পানির নীচে থাকলে নষ্ট হবার আশঙ্কা রয়েছে। আজেকও মাঠে ছিলাম। দেখেছি, কৃষকরা বৃষ্টিতে ভিজে পানিতেই ধান কাটছেন। ধান রক্ষায় তাদেরকে সার্বক্ষণিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd