বিশ্বনাথ প্রতিনিধি : সিলেটের বিশ্বনাথে ছাত্রলীগ কর্মী আবদুল বাছিত হত্যা মামলার প্রধান আসামি সুমন মিয়াকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। ঢাকার বারিধারা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আর সুমন গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে ঘটনার আসল রহস্য উদঘাটন করেছে থানা পুলিশ।
শনিবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন পিপিএম ও বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) গাজী আতাউর রহমানের নির্দেশনায় ঢাকার বারিধারা এলাকা থেকে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে এসআই রুমেন আহমদ, সৈয়দ ফখরুল ইসলাম, এএসআই হোসাইন আহম্মেদ’সহ একদল পুলিশ সুমনকে গ্রেপ্তার করে।
স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে ছাত্রলীগ কর্মী বাছিত হত্যা মামলার প্রধান আসামি সুমন গ্রেপ্তারের সত্যতা স্বীকার করেছেন বিশ্বনাথ থানার এসআই রুমেন আহমদ।
এরপূর্বে গত ১৯ এপ্রিল (মঙ্গলবার রাতে) একই মামলার দ্বিতীয় আসামী ফারুক মিয়াকে (২৫) মঙ্গলবার রাতে মৌলভীবাজারের বড়লেখা থেকে গ্রেপ্তার করে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ। ফারুক উপজেলার টেংরা গ্রামের তোরণ মিয়ার পুত্র।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) মধ্যরাতে উপজেলা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী আবদুল বাছিত (২৮) নিজ বাড়ির উঠোনে প্রতিবেশীর দ্বারা ছুরিকাঘাত হয়ে নিহত হন। প্রতিবেশী মৃত নামর মিয়ার পরিবারের সাথে রাস্তা নিয়ে বিরোধ চলছিল তার। ঘটনার দিন রাতে নামর মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া পিকআপে করে জ্বালানি নিয়ে এসে বিরোধপূর্ণ রাস্তায় রাখে। তখন বাছিত রাস্তায় লাকড়ি রাখার কারণ জানতে চাইলে, গ্রেফতার হওয়া সুমন, একই বাড়ির তছলিম মিয়ার ছেলে কাইয়ূম, তুরন মিয়ার ছেলে ফারুক মিলে বাছিতের উপর আক্রমণ চালান।
আশংকাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রায় দুই ঘণ্টা পর মারা যান বাছিত। ঘটনার দুইদিন পর সুমনকে প্রধান আসামি করে ৫ জনকে অভিযুক্ত করে বিশ্বনাথ থানায় একটি হত্যা মামলা দেন বাছিতের বড় ভাই শাহিন মিয়া। বাদী হয়ে ৫ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১৩ (তাং ১৭.০৪.২২ইং)।