সিলেট ৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৩০শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:০১ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১৭, ২০২২
মোঃ কামরুল ইসলাম: সিলেট জেলা সিএনজি চালিত অটো রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং চট্র ৭০৭ এর অন্তর্ভুক্ত মুরাদপুর ও সুরমাগেইট বাইপাস শাখার দুই ভুঁইফোড় শ্রমিক নেতার শেল্টারে সিলেট টু কানাইঘাট সড়কে অবৈধ নম্বরবিহীন সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় টোকন বাণিজ্য করে সিএনজি চালক থেকে টোকনের বরকতে রাতারাতি কোটিপতি এখন মাসুক ওরফে টোকন মাসুক। গত সোমবার (১১ই এপ্রিল) দৈনিক সোনালী সিলেট পত্রিকা ও দৈনিক সিলেট এক্সপ্রেস পত্রিকার সংখ্যায় “সিলেটে রেকার চালক পরিচয়ে টোকন মাসুকের বেপরোয়া চাঁদাবাজি” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হলে প্রকাশ্য টোকন মাসুক বিভিন্ন ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে প্রতিবেদকে একের পর দেখে নেওয়ার হুমকি প্রদান করেই যাচ্ছে। তাহলে এখানে প্রশ্ন থেকে যায় চাঁদাবাজদের এতো সাহস কিভাবে হয়? তবে কি তাদের সেই অদৃশ্য শক্তি? যার জন্য মাসুক, শমস ও জেবুল বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতেও হিমশিম খাচ্ছেন প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ! তাহলে কোথায় তাদের খুঁটির জোর?
জানা যায়- মাসুক ওরফে টোকন মাসুকের অবৈধ টোকন বাণিজ্যে শেল্টার দিচ্ছেন সিলেট জেলা সিএনজি চালিত অটো রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং চট্র ৭০৭ এর অন্তর্ভুক্ত মুরাদপুর ও সুরমাগেইট বাইপাস শাখার দুই ভুঁইফোড় শ্রমিক নেতা। মুরাদপুর সিএনজি স্ট্যান্ডের সভাপতি ভুঁইফোড় শ্রমিক নেতা জেবুল আহমদ ও সুরমাগেইট বাইপাস সিএনজি স্ট্যান্ডের সাধারণ সম্পাদক ভুঁইফোড় শ্রমিক নেতা শমস আহমদ।
আর মাসুক ওরফে টোকন মাসুক কানাইঘাট উপজেলার ৭নং দক্ষিণ বানীগ্রাম ইউনিয়নের বাসিন্দা। তবে বর্তমানে সে সিলেট মিরাপাড়া এলাকার ভাড়াটিয়া বাসিন্দা। মাসুক ওরফে টোকন মাসুক মূলত পেশায় একজন সিএনজি চালক। যে কিনা অতীতে প্রায় ১০ থেকে ১২ বছর সিএনজি চালয়ে তার জীবিকা নির্বাহ করত সেই আবার মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে টোকন নামের আলাদীনের চেরাগের বরকতে আঙ্গুল ফুঁলে কলাগাছ। এমনকি অবৈধ টোকন বাণিজ্য করে রাতারাতি মাসুক ওরফে টোকন মাসুক এখন বনে গেছে কোটিপতি। তাছাড়া কয়েক বছর আগে মাসুক ওরফে টোকন মাসুক মাদক মামলায় জেল কেটে জামিনে বেরিয়ে জড়িত হয়েছে এই অবৈধ টোকন বাণিজ্যে বলে সুত্র নিশ্চিত করেছে।
দৈনিক সোনালী সিলেট পত্রিকার ক্রাইম রিপোর্টার ও দৈনিক সিলেট এক্সপ্রেস পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মোঃ রায়হান হোসেন জানান, গত সোমবার (১১ই এপ্রিল) “সিলেটে রেকার চালক পরিচয়ে টোকন মাসুকের বেপরোয়া চাঁদাবাজি” শিরোনামে একটি সংবাদ দৈনিক সোনালী সিলেট পত্রিকা ও দৈনিক সিলেট এক্সপ্রেস পত্রিকার সংখ্যায় তিনি সরবারহ করেন। আর এই সংবাদটি প্রস্তুতকালে রবিবার (১১ই এপ্রিল) চাঁদাবাজ টোকন মাসুকের বক্তব্যও সংগ্রহ করার জন্য তার ব্যবহৃত নাম্বারে তিনি যোগাযোগ করে বক্তব্য সংগ্রহ করেন। তার কিছু সময় পর টোকন মাসুক পূনরায় তার ব্যবহৃত নাম্বারে ফোন দিয়ে সংবাদ না করার জন্য হুমকি প্রদান করে বলে- “তুই কি আমাকে ভালো করে চিনিস, সংবাদ করার আগে তুই আমাকে ভালো করে চিন, না হয় আজ সন্ধ্যার পর তুই আমাকে ভালো করে চিনতে পারবে বলে ফোন রেখে দেয়। কিন্তু তাতেই শেষ নয় এরপর হইতে বিভিন্ন লোকজন দিয়ে টোকন মাসুক তাকে একের পর এক দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েই যাচ্ছে। এমনকি তার পরিচিত বিভিন্ন লোক জনকে দিয়েও সে তাকে প্রস্তুত থাকার জন্য সংবাদ পাঠাচ্ছে। যার সম্পূর্ন তথ্য প্রমান তার নিকট সংগ্রহকৃত রয়েছে। তাদের এমন কর্মকান্ডে একজন সংবাদকর্মী হয়েও তিনি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাছাড়া টোকন মাসুক যেকোন সময় তার ভাড়াটে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে তার উপর হামলা চালাতে পারে বলে তিনি ধারণা করছেন। নিজের নিরাপত্তার জন্য তিনি অবিলম্বে টোকন মাসুক সহ তার সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন বলেও জানান।
নতুন সড়ক পরিবহন আইনের পর চালকরা ভাব ছিলেন টোকন মাসুক, শমস ও জেবুলের অবৈধ নম্বরবিহীন সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় টোকেন বিক্রি বন্ধ হবে। সম্প্রতি কয়েকটি অনুষ্টানে সিলেট জেলা পুলিশ ও মেট্রোপলিটন পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নম্বরবিহীন সিএনজি বন্ধের নির্দেশ দেন। কিন্তু টোকন মাসুক, শমস ও জেবুল তাদের নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে সিলেট জেলার কানাইঘাট টু সিলেট সড়কে ট্রাফিক পুলিশের রেকার চালক পরিচয়ে প্রায় এক হাজার অবৈধ নম্বরবিহীন সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় পুলিশ টোকন নামের বিশেষ টোকেনের মাধ্যমে দেদারছে চালিয়ে করছে অবৈধ রমরমা টোকন বাণিজ্য। মাঝেমধ্যে প্রশাসনের লোক দেখানো আইওয়াশ অভিযানে দু’চারটি নম্বরবিহীন অটোরিক্সা আটক হলেও অদৃশ্য কারণে অভিযানগুলো থেমে যায়। ফলে এই সড়কে নম্বরবিহীন অটোরিক্সা চলাচলে বাধা থাকে না কোথাও।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- মাসুক ওরফে টোকন মাসুক সিলেট ট্রাফিক পুলিশের রেকার চালক পরিচয় আর অন্যদিকে জেবুল ও শমস শ্রমিক নেতা পরিচয় দিয়ে অবৈধ নম্বরবিহীন সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় নিরাপদে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের অবৈধ টোকন বাণিজ্য। কিন্তু সাংবাদিকদের অনুসন্ধানে ওঠে আসে আসলেই মাসুক ট্রাফিক পুলিশের রেকার চালক নয়। কিন্তু ট্রাফিক পুলিশের কয়েকজন সদস্যদের সাথে তার বেশ ভালোই সংখ্যতা রয়েছে সুত্র বলছে। তবে সিলেট ট্রাফিক পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে মাসুক ওরফে টোকন মাসুকের এই রমরমা টোকন বাণিজ্য চললেও অদৃশ্য কারণে তার বিরুদ্ধে কোন একশন নিচ্ছেন না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। যার কারণে দিন দিন আরো বেপরোয়া হারে বেড়েই চলছে মাসুক ওরফে টোকন মাসুকের এই রমরমা অবৈধ টোকন বাণিজ্য। আর এতে করে সাধারণ জনগণের নিকট ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে ট্রাফিক পুলিশেরও। তবুও এ নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা নেই যেনও ট্রাফিক পুলিশের কারো।
অনুসন্ধান ওঠে আসে- সিলেটের কানাইঘাট, গাছবাড়ি, রাজাগঞ্জ, বাঘা পরগনা, মুরাদপুর, টিলাগড়, শিবগঞ্জ ও সিলেট সড়কের টোকেন বাণিজ্যের প্রদান টোকন মাসুক, শমস ও জেবুল সহ তাদের হাতে গড়া টোকন সিন্ডিকেটের বেশ কয়েকজনের নাম। এই সড়কগুলোতে রেজিস্ট্রেশনবিহীন সিএনজি অটোরিক্সার সংখ্যা প্রায় এক হাজারেরও বেশী। আর অবৈধ গাড়িগুলো চলছে টোকন মাসুক, শমস ও জেবুলের বিশেষ টোকেনের মাধ্যমে। টোকেন বাণিজ্য করে মাসে লাখ লাখ ও বছরে কোটি টাকারও বেশি হাতিয়ে নিচ্ছে টোকন মাসুক, শমস ও জেবুল সহ তাদের সিন্ডিকেট। টোকন মাসুক, শমস ও জেবুলের অবৈধ এই কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে এ্যাকশন নিতে সাহস যেন কারই নেই। টোকন মাসুক, শমস ও জেবুলের ইশারায় এই কানাইঘাট-সিলেট সড়কে দীর্ঘদিন দিন থেকে চলছে নম্বরবিহীন অটোরিক্সা। পরিচিতি শুধু টোকেন।
জানা গেছে- এই সড়কগুলোতে রেজিস্টেশনবিহীন অটোরিক্সা চলতে প্রতিটি সিএনজি অটোরিক্সাকে প্রতি মাসে টোকন মাসুক, শমস ও জেবুলের নিকট হইতে কিনতে হয় ৫শ’ থেকে ১৫শ’ টাকার টোকেন। আদায়কৃত এই চাঁদা থেকে নম্বর ও রেজিষ্ট্রেশনবিহীন অবৈধ সিএনজি অটোরিক্সা চলাচলের জন্য বিআরটিএ এবং প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করা হয়ে থাকে বলে বিশ্বস্থ সূত্র তা নিশ্চিত করেছে।
আরো জানা গেছে- কানাইঘাট টু সিলেট সড়কে টোকেন বাণিজ্যের মূলহোতা টোকন মাসুক, শমস ও জেবুলসহ তাদের হাতে গড়ে তোলা সিন্ডিকেটের কয়েকজন মিলে তাদের বড় একটি টোকন সিন্ডিকেট। কানাইঘাট উপজেরার সব ক’টি সড়কের নিয়ন্ত্রকরা রেজিস্টেশন বিহীন সিএনজি অটোরিক্সা (অনটেষ্ট) গাড়িতে টোকেন লাগিয়ে দিলে সেটি চলাচলের জন্য বৈধ হয়ে যায়। সিএনজি অটোরিক্সা তাদের মাধ্যমে চলাচলে প্রথমে এককালীন ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দেওয়ার পর টোকন মাসুক, শমস ও জেবুল প্রতিটি সিএনজি অটোরিক্সার জন্য একটি টোকেন বরাদ্দ দেয়। এই টোকেন অটোরিক্সার সামনের গ্লাসে লাগিয়ে দিলে গাড়িগুলো সড়কে চলতে আর কোনো অসুবিধা থাকেনা। এই সড়কে এমন অটোরিক্সার সংখ্যা প্রায় এক হাজারের বেশি যা অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা গেছে- বিআরটিএ’র পক্ষ থেকে নতুন সিএনজি চালিত অটোরিক্সার নিবন্ধন বন্ধ থাকায় এই সড়কের নম্বরবিহীন অটোরিক্সা চলাচলের জন্য টোকেন বাণিজ্য গড়ে তুলেন টোকন মাসুক, শমস ও জেবুল ও তাদের বাহিনী। শুধু তাই নয় টোকন মাসুক, শমস ও জেবুল দাবী করে সিলেটের প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ থানা পুলিশের সব সেক্টরে টোকেন বাণিজ্য করে আদায়কৃত টাকার ভাগ দিয়েই টুকেন ব্যবসার অনুমতি নিয়েছে তারা ও তাদের চাদাঁবাজ সিন্ডিকেট। তাই তাদের দেয়া পরিচিতি টোকেন নিতে পারলেই কানাইঘাট টু সিলেট সড়কে অবৈধ নম্বরবিহীন অটোরিক্সা চলতে বাধা থাকেনা। অন্যথায় কেউ রেজিস্ট্রেশন বিহীন সিএনজি অটোরিক্সা চালাতে পারেবে না বলে জানিয়েছেন চালকরা। তবে, থানা পুলিশের সাথে এব্যাপারে কথা হলে তারা টোকেন বাণিজ্যের বিষয়টি জানেন না বলে জানিয়েছেন।
দেখা যায়- টোকন মাসুক, শমস ও জেবুলের টোকেনের বাস্তব এক অদৃশ্য শক্তি। কানাইঘাট থেকে টিলাগড় পয়েন্ট হয়ে শিবগঞ্জের পাম্পে গ্যাস নিতে আসা কয়েকটি নম্বরবিহীন সিএনজি চালিত অটোরিক্সাগুলো টিলাগড় পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশ সিগনালে পড়ে। কিন্তু অবৈধ গাড়িগুলোর বৈধ কাগজপত্র যাচাই করা তো দুরের কথা চালককে একবার জিজ্ঞাসাও করছেন না পুলিশ সদস্যরা। শুধু সাইড করে যাচাই করা হচ্ছে বৈধ গাড়ির কাগজপত্র। এদিকে অদৃশ্য কারণে ছাড় পাচ্ছে টোকন মাসুক, শমস ও জেবুলের টোকেনের গাড়িগুলো। এছাড়াও প্রায় সময়ই টোকন মাসুক, শমস ও জেবুলকে টিলাগড় পয়েন্টে ডিউটিরত বিভিন্ন ট্রাফিক পুলিশ সঙ্গে আড্ডা দিতে দেখা যায়।
চালকদের অভিযোগ- মাসুক ওরফে টোকন মাসুক ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে থেকে চালকরা তার নিকট হইতে টাকার বিনিময়ে টোকন না কিনে টিলাগড় পয়েন্ট হয়ে শিবগঞ্জের গ্যাস পাম্পে গ্যাস নিতে আসলে গাড়ি গুলো অভিযানের নামে ট্রাফিক পুলিশ দিয়ে আটক করায় মাসুক ওরফে টোকন মাসুক এবং আবার চালকদের নিকট হইতে হাজার দুই হাজার টাকার বিনিময়ে গাড়িগুলো পুলিশের নিকট হইতে ছাড়িয়ে দেয় সে। তবে ওই টাকার অর্ধেক অংশ ট্রাফিক পুলিশের পকেটে ও অর্ধেক অংশ ডুকে মাসুক ওরফে টোকন মাসুকের পকেটে বলে অভিযোগে প্রকাশ।
এদিকে বৈধ সিএনজি চালক সমিতির নেতৃবৃন্দরা জানান- বিআরটিএ ও প্রসাশনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের সাথে সক্ষতা থাকায় এই টোকেন বাণিজ্যের হোতা টোকন মাসুক, শমস ও জেবুলের অবৈধ এ বাণিজ্য আজও বন্ধ হচ্ছে না। এই সব রেজিস্ট্রেশন বিহীন (অনটেস্ট) সিএনজি অটোরিক্সার টোকেন ব্যবসায়ীরা বাণিজ্য করে নিজেরা কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। অন্যদিকে সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।
এ ব্যাপারে মাসুক ওরফে টোকন মাসুকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি টোকন বাণিজ্যের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন- তিনি ট্রাফিক পুলিশের রেকার চালক নয় তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাহলে টোকন বাণিজ্যে করে আয়কৃত টাকার অংশ কি করেন আর কোথায় কোথায় দেন? এমন প্রশ্নের জবাবে কৌশলে ফোন রেখে দেন এমনকি পরবর্তীতে কয়েকবার ফোন দিলেও আর রিসিভ করেন নি তিনি।
এ ব্যাপারে সিলেট জেলা সিএনজি চালিত অটো রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং চট্র ৭০৭ এর অন্তর্ভুক্ত মুরাদপুর শাখার সভাপতি জেবুল আহমদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি টোকন বাণিজ্যের সতত্য নিশ্চিত করে জানান তিনি একটু ব্যস্ত আছেন পরে কল দিচ্ছেন বলে ফোন রেখে দেন। তবে পরে তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি আর কল রিসিভ করেন নি।
এ ব্যাপারে সিলেট জেলা সিএনজি চালিত অটো রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং চট্র ৭০৭ এর অন্তর্ভুক্ত সুরমাগেইট বাইপাস শাখার সাধারণ সম্পাদক শমস আহমদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি টোকন বাণিজ্যের সতত্য নিশ্চিত করে জানান তিনি গাড়ি চালাচ্ছেন পরে কল দিচ্ছেন বলে ফোন রেখে দেন। তবে পরে তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি আর কল রিসিভ করেন নি।
সিলেট জেলা অটোরিকশা সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের (রেজি নং-৭০৭) এর সভাপতি জাকারিয়া আহদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি প্রতিবেদকের ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। তবে আর জানা হলো না সিলেট জেলা সিএনজি চালিত অটো রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং চট্র ৭০৭ এর অন্তর্ভুক্ত মুরাদপুর শাখার সভাপতি জেবুল আহমদ ও সুরমাগেইট বাইপাস শাখার সাধারণ সম্পাদক শমস আহমদকে কি তিনি অনুমতি দিয়েছেন এই অবৈধ টোকন বাণিজ্যের?
এ ব্যাপারে কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ তাজুল ইসলাম পিপিএমের সঙ্গে যোগাযোগ করলে- তিনি এ ব্যাপারে কথা বলতে নারাজ। তবে কানাইঘাটে আলাদা ট্রাফিক পুলিশের সেক্টর রয়েছে উনাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন তিনি।
এ ব্যাপারে সিলেট জেলা ট্রাফিক পুলিশের কানাইঘাটে দায়িত্বরত সার্জেন্ট আলী হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন- তিনি এই স্টেশনে এসেছেন মাত্র দেড় মাস হয়েছে। আর মাসুক নামের কাউকে তিনি চিনেন না। তবে খোঁজ নিয়ে দেখছেন এমনকি প্রয়োজনে উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন বলেও আশ্বাস প্রদান করেন। কানাইঘাটে অবৈধ নম্বরবিহীন সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় টোকন বাণিজ্যের বিরুদ্ধে আপনাদের ভূমিকা কি? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- কানাইঘাটে অবৈধ নম্বরবিহীন সিএনজি চালিত অটোরিক্সার বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান কঠোর আর অভিযান অব্যাহত। এমনকি প্রায় সময় সিলেট জেলা পুলিশের মাননীয় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম মহোদয় সরজমিনে নিজে এই সড়কে চাঁদাবাজির বন্ধে অভিযান পরিচালনা করেন। আর স্যারের নির্দেশে এই অভিযান সবসময়ই অব্যাহত আছে।
এ ব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) ফয়সাল মাহমুদ জানান- এই নামে আমাদের কোন রেকার চালক নেই। আর যদি এরকম কেউ আমাদের পরিচয় দিয়ে সড়কে কোথাও মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে কিংবা চাঁদাবাজি করে তাহলে সঙ্গে সঙ্গেই থাকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার জন্য তিনি সকলের নিকট আহ্বান জানান। যেহেতু মাসুক ওরফে টোকন মাসুক আপনাদের রেকার চালক পরিচয় দিয়ে অবৈধ কর্মকান্ড হাসিল করার চেষ্টা চালাচ্ছে সেক্ষেত্রে আপানাদের পক্ষ থেকে কি তার বিরুদ্ধে কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- অবশ্যই, যেহেতু আপনাদের মাধ্যমে এ ব্যাপারে অবগত হয়েছি তখন অবিলম্বে তার ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিয়ে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন মর্মে তিনি আশ্বাস প্রদান করেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd