সিলেট ৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৩০শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:৪২ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩০, ২০২২
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি : সিলেটের বিশ্বনাথ-মাছুখালি ও দশঘর সড়ক সংস্কারকৃত অংশে হাত দিয়ে তুলা যাচ্ছে কার্পেটিং। সাতদিন আগে করা সড়কের এই কার্পেটিং ওঠে যাওয়ায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বিরাজ করছে ক্ষোভ আর অসন্তোষ।
এছাড়াও মাত্র সাড়ে ৬ কিলোমিটার সড়ক সংস্কার কাজ করতে প্রায় দু’বছর পার করছেন ঠিকাদার। এতে এলাকাবাসীকে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। এই ঠিকাদার উপজেলার কাউকে তোওয়াক্কা না করে জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে আঁতাত করে তার ইচ্ছেমতো কাজ করারও অভিযোগ রয়েছে। এমন অভিযোগ করেন বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর ও রামপাশা সড়ক পরিবহণ শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি ফজর আলী।
উপজেলা প্রেকৌশলীর অফিস সূত্রে জানা যায়, বিশ্বনাথ-মাছুখালি ও দশঘর এই আঞ্চলিক সড়কের প্রায় সাড় ৬ কিলোমিটার অংশ সংস্কার কাজ পায় মেসার্স মুল্লা ড্রেডার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এতে সরকার থেকে বরাদ্দ করা হয়েছে ৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। প্রায় দু’বছর আগে কাজ শুরু করেন সাব ঠিকাদার সুহেল খান।
ওই সাব ঠিকাদার তার ইচ্ছেমতো দীর্ঘ দিন ধরে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। পুরো সড়কের কাজ শেষ না হলেও সম্প্রতি দশঘর গেট থেকে বাহাড়াদুবাগ গ্রামের পশ্চিম পর্যন্ত প্রায় ৪কিলোমিটার সড়কের কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ করেছে ওই সাব ঠিকাদার।
কিন্তু মাছুখালি বাজারের পূর্বে ছিক্কা গ্রামের পার্শে কর্পেটিং ভাঙ্গার খবর পাওয়া যায়। সেখানে এই প্রতিনিধি দেখতে গেলে একজন রাখাল এসে হাত দিয়ে কার্পেটিং তুলে দেখান। এসময় দেখা যায় কার্পেটিংয়ের আগে ইটের খোঁয়ার উপরে কোনো মিটুমিন দেয়া হয়নি। ফলে কার্পেটিং ওঠে যাচ্ছে।
হালকা যানবাহন চলাচলকৃত এই আঞ্চলিক সড়কের পুরোটা কাজ শেষ হওয়ার আগেই কার্পেটিং ওঠে যাওয়ায় জনমনে কাজের মান নিয়ে অসন্তোষ আর ক্ষোভ বিরাজ করছে। এতে অনেকেই মনে করেন সরাকরের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হওয়ার পাশাপাশি জলে যাচ্ছে ৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।
হাবড়াবাজারের ব্যবসায়ী ডাক্তার বিভাংশু গুণ বিভু ও নোয়াগাঁও গ্রামের রোহেল উদ্দিন বলেন, সড়কটিতে একদম নিম্নমানের কাজ হচ্ছে। কার্পেটিংয়ের নিচে যে ইটের খোঁয়া ব্যবহার করা হচ্ছে তাও একদম নিম্মমানের। এনিয়ে প্রতিবাদ করলে ডাক্তার বিভাংশু গুণ বিভুর সাথে অনেক ঝামেলাও হয়েছে বলে জানান।
এছাড়াও রোহেল উদ্দিন আরও বলেন, কাজের মান একটু ভালো করার দাবি করলে তাকে বলা হয়েছে এর চেয়ে ভালো কাজ করা সম্বব হবেনা।
জানতে চাইলে সাব ঠিকাদার সুহেল খান দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, কার্পেটিংয়ের পরে একটি এক্সভেটার যাওয়ায় এই কার্পেটিংটি ওঠে গেছে। পরবর্তীতে তিনি সেই অংশটি সমাধান করবেন বলে তিনি বলেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd