সিলেট ১০ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৬ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৯:০২ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২২
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : মাত্র ক’মাস আগে অনুষ্ঠিত সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে বিপুল জয় পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন হাবিবুর রহমান হাবিব। তিনি এখন সংসদ সদস্য হিসাবে নিজের দায়িত্ব পালন করছেন। বিজয়ী হবার পর সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিবের কার্যক্রমে ভূয়সী প্রসংসা কুড়াচ্ছেন তবে মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে এ আসনের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা দক্ষিণ সুরমায় সরকারি দলের প্রভাব প্রতিপত্তিতে কিছুটা হলেও ভাটা পড়েছে বলে মনে করছেন আওয়ামী ঘরানার অনেক নেতাকর্মী। যার কারনে তার নিজের ইউনিয়নের হেরে গেছে নৌকা।
প্রমাণ হিসাবে তারা উদাহরণ টানছেন- সম্প্রতি সমাপ্ত হওয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তাদের প্রভাব পুরাপুরি ধরে রাখতে পারেনি। এমনকি, সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিবের ইউনিয়ন কামাল বাজারে নৌকার পরাজয় ও তার অতি পাশের তেতলী ইউনিয়নে যুবদল নেতা ও মোল্লারগাঁও ইউনিয়নে জামায়াত নেতার জয় তারা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না। কেউ কেউতো এটাকে অপমান হিসাবেও দেখছেন। এজন্য তারা এই উপজেলার আওয়ামী নেতৃবৃন্দকেই দায়ী করতে করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোষ্ট দিচ্ছেন।
গত ৩১ জানুয়ারী দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছর পর অনুষ্ঠিত হলো দক্ষিণ সুরমা উপজেলার তেতলী, কামালবাজার ও ৫ ফ্রেব্রুয়ারী মোল্লারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে ৩টি ইউনিয়নেই নৌকার ভরাডুবি ঘটেছে। প্রায় দুইহাজার ভোটের ব্যবধানে তেতলী ইউনিয়নে যুবদল নেতার বিজয়, প্রায় হাজারখানেক ভোটের ব্যবধানে কামালবাজার ইউনিয়নে স্বতন্ত প্রার্থীর জয় ও একি ধরনের ভোটে ব্যবধানে স্বতন্ত্রের ব্যানারে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী মোটর সাইকেল প্রতিকে নির্বাচনে অংশ নেয়া মামুন খানের বিজয় হওয়ার বিষয়টি মানতে পারছেন না আওয়ামী লীগ ও তার অংগ সংগঠনের অনেক ত্যাগী নেতাকর্মী তাদের মতে, দলীয় শৃঙ্খলা না থাকায় এমন ফলাফল।
তাদের কেউ কেউ মনে করছেন, আওয়ামী লীগের ভোটার হিসাবে পরিচিতদের সবগুলো ভোট নৌকায় পড়েনি। পড়লে নৌকার এমন পরাজয় হতোনা। নৌকার জয় ছিল প্রায় নিশ্চিত। কিন্তু যা ঘটেছে এতে আমরা হতাশ।
তাদের মতে, আমরা কিছু মানুষ নিবেদিতপ্রাণ হিসাবে নৌকার পক্ষে রাতদিন পরিশ্রম করেছি। কিন্তু এই আওয়ামী লীগেরই বিশেষ একটা অংশ দলের জন্য কাজ করেনি। তার খেসারত দিতে হয়েছে নৌকার প্রার্থীদেরকে। নৌকার প্রার্থী কেহ কেহ তাদের ফেইসবুক স্ট্যাটাসেও দলের কতিপয় নেতাদের বিরোধিতা ও অসহযোগীতার কথা বলে ক্ষোভ প্রকাশ করত দেখা যায়।
জানা যায়, ৫ ফ্রেবয়ারী শনিবারের নির্বাচনের মধ্যদিয়ে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোট ৮ ইউনিয়নের নির্বাচন শেষ হয়েছে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা জিতেছেন ৪ ইউনিয়নে, আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী জিতেছেন দু’টিতে, স্বতন্ত্রের ব্যানারে যুবদল নেতা জয় পেয়েছেন একটি ইউনিয়নে। আর আওয়মী লীগের হৃদয় চুরমার করে মোল্লারগাঁওয়ে জয় পেলেন স্বতন্ত্রের ব্যানারে জামায়াত নেতা মামুন খান।
তৃণমূল নেতা কর্মীরা মনে করছেন, বর্তমান সংসদ সদস্যের এলাকায় নৌকার ভরাডুবির দায় কিছুতেই তিনি এড়াতে পারেন না। তারা দ্রুত সুষ্টু তদন্তের মাধ্যমে দলের দুর্ভলতা খোঁজে বের করার দাবী জানিয়ে বলেন, সাধারণ মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল এজন্য বিভিন্ন স্থানে নৌকার বিপুল বিজয় হচ্ছে। সেখানে দক্ষিণ সুরমায় সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণেই নৌকার এমন পরাজয় ঘটেছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd