জাফলং-তামাবিলে বনের জমি দখল করে অবৈধ স্থাপনা : বনবিট কর্মকর্তা প্রদীপ’র বাণিজ্য

প্রকাশিত: ১০:৫১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২২

জাফলং-তামাবিলে বনের জমি দখল করে অবৈধ স্থাপনা : বনবিট কর্মকর্তা প্রদীপ’র বাণিজ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেট বিভাগীয় বন কার্যালয়ের অধীন জাফলং-তামাবিল এলাকায় বনাঞ্চলের জমি দখল করে অবৈধ স্থাপনা করছে ভূমি খেকোরা। অবাধ বাণিজ্যে বনবিট কর্মকর্তা প্রদীপ মন্ডল অল্প দিনেই হয়ে গেছেন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ। তার আমলে জাফলং তামাবিল বনবিটের হাজারো একর ভূমি চলে গেছে ভূমিখেকোদের দখলে। বনবিট কর্মকর্তা প্রদীপ মন্ডলকে বড় অংকের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে সম্প্রতি বনাঞ্চলের কোটি টাকা মূল্যের ভূমি হাতিয়ে নিয়েছেন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা। যা গোয়াইনঘাট উপজেলার ১০৬ নং মৌজা ছৈলাখেল ৪র্থ খন্ড’র ১৭০ দাগের ভূমি।

বিট কর্মকর্তা প্রদীপ, বনবিট অফিসের পাশেই টাকার বিনিময়ে ১০ টি ডাম্পিং এর অনুমতি দিয়েছেন বিট কর্মকর্তা প্রদীপ। ডাম্পিংগোলো করছে বিনা মেম্বারনী, রাসেল আহমদ, পাগলা মন্নান, আনোয়ার ও বিল্লাল সিন্ডিকেট। প্রত্যেকটি ডাম্পিং থেকে প্রাথমিক অবস্থায় এককালীন ৩০ হাজার টাকা করে আদায় করে নিয়েছেন প্রদীপ মন্ডল। চুক্তি করেছেন মাসিক ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার।

জাফলংয়ের মোহাম্মদপুর এলাকায় ২০টি ক্রাশার মেশিন বসিয়েছেন প্রদীপ। প্রত্যেকটি ক্রাশার থেকে এককালীন ২০ হাজার টাকা করে নিয়েছেন এবং ক্রাশার প্রতি মাসিক ১০ হাজার টাকা করে নেওয়ার জন্য গোপনে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। এছাড়াও বনভূমিতে আরো বেশ কয়েকটি ক্রাশার মিল বসানোর জন্য তার কাছে তদবীর চলছে বলে জানা গেছে। মোহাম্মদপুর এলাকায় বনের ক্রাশার মেশিন ও ঘর বসিয়েছেন প্রভাবশালী ব্যবসায়ী আউয়াল মিয়া। যা বনবিট কর্মকর্তা প্রদীপ মন্ডল’র নেটওয়ার্কের বাহিরে নয়। আউয়ালের সাথেও রয়েছে প্রদীপ মন্ডল’র গভীর সখ্যতা।

স্থানীয়রা জানান, বিট কর্মকর্তা প্রদীপ দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে সম্পূর্ণ অরক্ষিত হয়ে পড়েছে জাফলং বনভূমি। টাকার বিনিময়ে খেয়ে ফেলছেন বনাঞ্চলের ভূমি। উজা্ড় হতে চলেছে বনাঞ্চলের জমি। কিছু দিন আগে জাফলং এলাকার রহমতপুর মৌজায় লাগানো হয়েছিলো বিভিন্ন ধরণের গাছের চারা। এখন আর এগুলা নেই। আছে শুধু চারার বদলে ঘুড়া। যার ফলে স্থানীয়দের কাছে বনবিট কর্মকর্তা প্রদীপ মন্ডল বন খেকো হিসাবে পরিচিত।

জাফলং বিট কর্মকর্তা প্রদীপ মন্ডলের এহেন কর্মকান্ড বন্ধে এবং বনের জমি অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে রক্ষা করতে সিলেটের বনবিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. তওফিকুল ইসলাম এর নিকট আশু হস্থক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

February 2022
S S M T W T F
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728  

সর্বশেষ খবর

………………………..