সিলেট ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১লা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:৪৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১, ২০২২
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক :: সিলেট নগরীর খুলিয়াটুলার নীলিমা ৫২/৫ নং বাসার মৃত মুকিত মিয়ার ছেলে নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে বাসা রেজিষ্ট্রির মাধ্যমে (যার নং ৩৭০৭/২০২১ইং) বিক্রি করে ক্রেতা গোলাপগঞ্জের লক্ষ্মীপাশা গ্রামের মৃত ইদ্রিছ আলীর ছেলে শিক্ষানবিশ আইনজীবী লোকমান হোসেন ও তার বড় ভাই ফটিক মিয়াকে বাসার দখল বুঝিয়ে দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। লোকমান হোসেন ৬৫ লাখ টাকার জায়গা সহ বাসার বিনিময়ে এখন পর্যন্ত ৭৪ লাখ টাকা পরিশোধ করেছেন। যার প্রমাণ বিদ্যমান রয়েছে। লোকমান হোসেন ও ফটিক মিয়া সিলেট মিউনিসিপ্যালিটি মৌজার জেএল নং ৯১, খতিয়ান নং ১০৪৩, এসএ দাগ নং ৩৭৮৮, ডিপি খতিয়ান নং- ১২৩২৭, বিএস দাগ নং- ২৬০৩৬ দাগে মোট ৪ শতক দোতলা বিশিষ্ট বাসা সহ ভূমি উক্ত নুরুল ইসলামের কাছ থেকে ক্রয় করেন। বাসা সহ ভূমি ক্রয় করার আগে আইনজীবীর মাধ্যমে তিনি সিলেটের স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় গত ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ইং তারিখে একটি আইনগত বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেন। এতে কারো কোন আপত্তি পাওয়া যায়নি। কিন্তু নুরুল ইসলাম নানা অজুহাত দেখিয়ে বাসার দখল বুঝিয়ে দিতে কালক্ষেপন করছেন। উক্ত বাসায় বর্তমানে নুরুল ইসলামের ভাবি ও ভাতিজা বসবাস করে আসছেন।
এব্যাপারে লোকমান হোসেন গত ১০/০৮/২০২১ইং তারিখে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বরাবরে অভিযোগ একটি অভিযোগ দাখিল করেন। তাতে উল্লেখ করেন নুুরুল ইসলামের পক্ষে লোকমান হোসেন বাসা ক্রয় বাবত সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর শাহানা বেগম শানু ও তার ছেলে রায়হান ইসলামের হাতে ২৪ লাখ টাকা নগদে প্রদান করেন। এসময় কাউন্সিলর শাহানা ও তার ছেলে ২জন জনপ্রতিনিধি স্বাক্ষীর সম্মুখে ২৪ লাখ টাকা বুঝিয়ে পেয়েছেন মর্মে ২ মাসের সময় চেয়ে ৩ শত টাকার স্ট্যাম্পের চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন। সেই ২ মাস অতিবাহিত হওয়ার পর থেকে নুরুল ইসলাম, তার ভাবি কাউন্সিলর শাহানা ও ভাতিজা রায়হান ইসলাম প্রতারণা শুরু করে। তিনি আরো উল্লেখ করেন, উপরোক্ত তপশীলের ভূমি ও বাসা তিনি ৬৫ লক্ষ টাকায় ক্রয় করেন। নুরুল ইসলাম অদ্যবধি বাসা দখলমুক্ত করে লোকমান হোসেনকে বুঝিয়ে দিতে পারছেন না। দখল বুঝিয়ে দিবেন মর্মে বিভিন্ন সমস্যা দেখিয়ে নুরুল ইসলাম বিভিন্ন সময়ে লোকমান হোসেনের কাছ থেকে টাকা চান। লোকমান হোসেনের দাবি বাসা সমঝিয়ে দিয়ে যদি কোন পাওনা থাকে তাহলে তুমি নিয়ে যাও।
লোকমান হোসেন জানান, কাউন্সিলর শাহানার ছেলে রায়হান ইসলাম ও নুরুল ইসলাম বিভিন্ন সময় আমার মোবাইলের ওয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে রেকডিং, ছবি ইত্যাদি প্রেরণ করে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে যাচ্ছে। এতে বুঝা যাচ্ছে, তারা মূলত বাসা সমঝিয়ে না দেওয়া এবং টাকা আদায়ের নানান কৌশল অবলম্বন করে যাচ্ছে।
বর্তমানে নুরুল ইসলাম, ভাবি ও ভাতিজাকে বাসা থেকে বের করে দখলমুক্ত করে না দেওয়ায় ক্রয়সূত্রে মালিক লোকমান হোসেন ও তার বড় ভাই ফটিক মিয়া বাসার দখল নিতে পারছেন না। এ অবস্থায় চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন লোকমান হোসেন ও তার বড় ভাই। এব্যাপারে তিনি প্রশাসনের উর্ধ্বতন মহলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd