সিলেট ১০ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৬ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:২১ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ৩, ২০২১
নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের আলোচিত ‘ভূমিদস্যু’ মণিন্দ্র রঞ্জন দে’র বিরুদ্ধে ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্টের পায়তারা ও সাম্প্রদায়িক উস্কানী দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আদালত অবজ্ঞা করে সার্বজনীন কালী মন্দিরের য়েক গজের ব্যবধানে বিরোধীয় ভূমির উপর কালী পূজাপূজা মন্ডপ তৈরীর কওে ভূমিদখলের চেষ্টা করে সাম্প্রদায়িক উস্কানী দিচ্ছেন। এহেন উস্কানীমূলক কর্মকান্ড বন্ধে এলাকার সর্বধর্মীয় শান্তিকামী মানুষ গতকাল মঙ্গলবার সিলেটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও মহানগর পুলিশ কমিশনার বরাবরে পৃথক স্মারকলিপি দিয়েছেন।
অভিযোগে প্রকাশ, নগরের চারিবন্দরে হিন্দু-মুসলিম সহ সর্বধর্মীয় বাসিন্দারা দীর্ঘকাল ধরে সৌহার্দপূর্ণ সহাবস্থানে রয়েছেন। পাশেই ওই চালিবন্দর এলাকায় রযেছে সার্বজনীন কালীমন্দির । ওই মন্দিরে সব সময় নির্বিঘ্নে পূজা অর্চনা করে আসছেন সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। সেই কালী মন্দিরের অতি নিকটেই চালিবন্দর সমতা ৭/৫০ নং বাসা ও তৎসংলগ্ন কিছু ভূমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুপক্ষে বিরোধ ও দেওয়ানী আদালতে একাধিক স্বত্ব মোকদ্দমা চলমান রয়েছে। যা সিলেটের যুগ্ম জেলা জজ ২য় আদালতের স্বত্ব মোকদ্দমা ১৯৫/২০১৫ ও স্বত্ব মোকদ্দমা ১০৩/২০১৬। উভয় মোকদ্দমায় আদালতের স্থিতাবস্থা থাকা সত্বেও নগরের যতরপুর থেকে আসা ‘ভূমিদস্যু’ মণিন্দ্র বিতর্কিত বিরোধীয় ওই নোলিশা ভূমিতে আগামীকাল ৪ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় কালীপূজার একটি পারিবারিক মন্ডব তৈরীর উদ্যোগ নিয়েছেন। এ লক্ষ্যে মনিন্দ্র রঞ্জন দে ওই এলাকায় রাস্তার উপর দক্ষিণে ১৫০০ ফুট ও উত্তরে ২৫০০ ফুটব্যাপি আলোকসজ্জা করছেন। অতীতে বিরোধীয় ওই সমতা ৭/৫০ নং বাসা সংলগ্ন ভূমিতে এরূপ কোন পূজামন্ডপ তৈরি করা হয়নি, এমনকি সদ্য সমাপ্ত শরদীয় দূগোৎসব উপলক্ষ্যেও এখানে কোন পূজা মন্ডপ তৈরি করে পূজা করা হয়নি। বিরোধীয় ভূমি ও বাসার পাশেই সার্বজনীন কালীপূজা মন্ডপ রয়েছে। এ অবস্থায় মনিন্দ্র পারিবারিক ধর্মীয় পূজা মন্ডপ তৈরী করে একদিকে আদালতের স্থিতাবস্থা লংঘন করছেন। অন্যদিকে ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করার পায়তারা ও সাম্প্রদায়িক উস্কানী দিচ্ছেন। তাই ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে এলাকাবাসী বিরোধীয় ওই ভূমিতে মনিন্দ্র রঞ্জন দে কর্তৃক সম্প্রীতি বিনষ্টের এবং ভূমি দস্যুতার পূজা মন্ডপ নির্মান বন্ধ করে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সরকার ও প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
মণিন্দ্র রঞ্জন দে’ নিজেই জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে নগরের যতরপুর এলাকায় দেবোত্তর সম্পত্তি জবরদখল করে বাড়ি নির্মান করে বসবাস করছেন। সম্প্রতি তিনি নগরের কাস্টঘর এলাকায় একটি ভ’মি জবরদখল কাজে জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছে।
জেলা প্রশাসক ও পুলিশ কমিশনার বরাবরে দেওয়া স্মারক লিপিতে স্বাক্ষর করেন নগরের চালিবন্দর এলাকার হাবিবুর রহমান, শশাংকর পাল, চন্দন রায়, ধনেশ দেব, নির্মল কা›িত দে, মনোজ কুমার তন্ময়, লোকমান মিয়া, প্রদীপ চন্দ্র দে, রনজিৎ দাস পুরকায়স্থ, ছালিক মিয়া, বাবুল আহমদ, ইউনুছ মিয়া, জাহাঙ্গীর, প্রদীপ দে, এবাদুর রহমান, পরীরাণী দে ও ঘীতাংশু শেখর প্রমূখ।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd