সিলেট ২৫শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৬শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:০৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৫, ২০২১
১৬ জনের নামোল্লেখসহ ২০/৩০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে মামলা
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি : মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখায় হেফাজত ইসলামের সাথে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন ১ জন। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। নিহতের নামে রাহাত আহমদ। তিনি হেফাজতের কর্মী ছিলেন। গতকাল বেলা ২টার দিকে বড়লেখার ফকিরবাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রাতে মাওলানা শওকত আলী বাদী হয়ে বড়লেখা থানায় ১৬ জনের নামোল্লেখসহ ২০/৩০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। আসামীরা হলেন-১। সুমিত দাশ (২২), পিতা- জোতিশ দাশ, সাকিন- মিহারী, ২। নিকেতন চন্দ্র দাস (৩৫), পিতা- জিতেন্দ্র কুমার দাস, সাকিন- মিহারী, ৩। রাজীব (৩৮), পিতা- ময়ুর আলী, সাকিন- মিহারী, ৪। ওবায়দুল্লাহ (৩০), পিতা- সমছু মিয়া, ৫। সাজ্জাদ মিয়া (৩২), পিতা- আকলু মিয়া ৬। মোঃ সাইদুল হক, পিতা- মৃত রফিক উদ্দিন ৭। আলি হোসেন (২৫), পিতা- অজ্ঞাত, ৮। বাবুল আহমদ, পিতা- মৃত মোবাশ্বির আলী, ৯। অজয় দে (২৬), পিতা- মিলন দে, ১০। আব্দুল জলিল (৪০), পিতা- মৃত সিরাজ উদ্দিন, ১১। শিপন লাল (২৮), পিতা- নিলেন্দু পাল, ১২। আবদুল লতিফ, পিতা- অজ্ঞাত, ১৩। স্বপন (২০), পিতা- জয়ন্ত দেব, ১৪। একরাম হোসেন (২৮), পিতা- হাজী এমাদ উদ্দিন, ১৫। জুনায়েদ (২৫), পিতা- সাইফুর রহমান, ১৬। হারুন (২৫), পিতা- লিয়াকত আলী, সর্ব গ্রাম- মিহারী, থানা- বড়লেখা, জেলা- মৌলভীবাজার সহ অজ্ঞাতনামা আরও ২০/৩০ জন লোক।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার বড়লেখা হেফাজত ইসলাম সংগঠনের কার্যকরী কমিটি ঘোষনা করা হয়। পরে হেফাজতে ইসলামের নেতা কর্মীরা এক আনন্দ মিছিল ও র্যালী সহকারে ফকিরবাজার নামক স্থানে আসলে স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাধা দেয়। তখন দুপক্ষে উত্তেজনা দেখা দেয়। শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষে রক্তক্ষয়ী এক সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। ককটেল বিস্ফোরণ ও ধারালো অস্ত্রের ঝনঝনানিতে এলাকায় আতংক নেমে আসে। খবর পেয়ে বড়লেখা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন হেফাজত কর্মী রাহাত আহমদ। হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। আহতদের হাসপতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হেফাজত কর্মী রাহাত আহমদের মৃতু্যূতে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যে কোনো ধরনের নাশকতা এড়াতে এলাকায় বিপুল পরিমান পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হেফাজত কর্মীরা অভিযোগ করেছেন, কোন ধরনের উস্কানি ছাড়াই ছাত্রলীগ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাদের উপর হামলা চালিয়েছে। তাদের এ সন্ত্রাসী হামলায় রাহাত আহমদ নিহত হন। নাজমুল সহ আহত হয়েছেন আরো অনেকে। তবে এ ব্যাপারে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নাই।
মামলার বিষয়টি নিশ্চত করেছেন বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম। তিনি জানান, ময়নাতদন্ত শেষে রাহাত আহমদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এখনও কোনো আসামীকে আটক করা যায়নি। তবে আসামীদের ধরতে পুলিশ অভিযানে রয়েছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd