সিলেট ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৪শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:৪১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩, ২০২১
নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের রাতারগুল সোয়াম ফরেস্ট খেওয়াঘাটে চাঁদাবাজির গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘাটের চাঁদাবাজ ইউপি মেম্বার ফখর উদ্দিন ও তার সহযোগী চক্র প্রকাশ্যে চাদাবাজি করছে। এবার ওই চাঁদাবাজ চক্র নিজেদের অপরাধ অপকর্ম চাপা দিতে এবং অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দিতে আশ্রয় নিয়েছে রকমফের অপপ্রচারের। অথচ এই চক্রের বিরুদ্ধে প্রশাসন ও আদালতে রয়েছে চাঁদাবাজির লিখিত অভিযোগ। অভিযোগের আইনী মোকাবেলা করতে না পেরে চাঁদাবাজরা এলাকার প্রতিবাদী লোকজনও নিরীহ মাঝিদের বিরুদ্ধে আদাজল খেয়ে অপপ্রচারে মাঠে নেমেছে। ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে সাংবাদিকদের কাছে নানা মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচার করতে শুরু করেছে।
রাতারগুল সোয়াম ফরেস্ট খেওয়াঘাটে নিরীহ মাঝিরা এহেন অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে চাঁদাবাজ ইউপি মেম্বার ফখর উদ্দিন ও তার সন্ত্রাসী চক্রের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। এ দাবিতে তারা সম্প্রতি তারা সিলেটের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবরে পৃথক আবেদন ছাড়াও আদালতে নালিশা মামলাও করেছেন। অভিযোগের পৃথক তদন্ত শুরু হলে চাঁদাবাজরা আশ্রয় নেয় অপপ্রচারের। অনেক টাকা ব্যয় করে তারা সাংবাদিকদের জড়ো করে এ অপপ্রচার চালায়। অথচ অভিযুক্তরা প্রশাসনের কাছে কোন অভিযোগ করতে পারেনি বা অভিযোগ খন্ডানোর কোন যুক্তিও তুলে ধরতে পারেনি। তাই তাদের বিরুদ্ধে করা অভিযোগের তদন্তকে প্রভাবিত করতে তারা অপপ্রচারকেই শেষ অবলম্বন হিসেবে বেছে নিয়েছেন। নিরীহ মাঝিরা এহেন অপপ্রচারে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আইনীভাবে অভিযোগের তদন্ত করে চাদাবাজ ফখর চক্রের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয় মাঝিদের অভিযোগ, সিলেটের গোয়াইনঘাট থানাধীন রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট মাঝেরঘাটে নৌকা দিয়ে পর্যটকদের বহন করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করেন প্রায় অর্ধশত মাঝি। ওই এলাকার ইউপি মেম্বার ফখর উদ্দিন এর নেতৃত্বে একটি চাঁদাবাদ সন্ত্রাসী চক্র ঘাটের প্রত্যেক নৌকার মাঝির কাছে ১০ হাজার টাকা করে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে তারা নৌকা চালাতে ও পর্যটকদের বহন করতে দেবে না বলে হুমকি দিতে থাকে। চাঁদাবাজ ফখর চক্রের অন্যান্য সদস্যরা হচ্ছে, সিলেটে গোয়োইনঘাট থানার বাগবাড়ি গ্রামের আব্দুর রশিদ, আব্দুল্লাহ, মনছাদ উদ্দিন, কামরুল ইসলাম, আব্দুল আজিজ, আইয়ুব আলী, শরীফ, জুবেল ওরফে মেগনেট ও আব্দুল আহাদ, এবং গোয়াইনঘাট থানার মামনগর গ্রামের আব্দুল মালিক, আব্দুল মতিন, আব্দুল্লাহ মিয়া, আব্দুল ওয়াহিদ, আইযুব আলী, আরমান আলী আব্দুল মালিকসহ ও কয়ছর আহমদসহ আরো অনেক। অভিযোগে আরো প্রকাশ সম্প্রতি ইউপি মেম্বার ফখর উদ্দিনের নেতৃত্বে উপরোক্ত সন্ত্রাসীরা সশস্ত্র অবস্থায় নৌকা ঘাটে জমায়েত হয়ে মাঝিদের কাছে ১০ হাজার টাকা করে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় তারা নৌকার মাঝিদেরকে মারপিট করে। এবং আগত পর্যকদের পর্যটন স্পটে যেতে বাঁধা সৃষ্টি করে। পাশপাশি তাদের হত্যাসহ নানা হুমকি ধমকি প্রদান করে। ফলে দিনমজুর মাঝিরা পর্যটকদের বহন করতে না পরায় অনাহারে অর্ধাহারে দিনযাপন করছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd