সিলেট ২৩শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:৫৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২১
ছাতক প্রতিনিধি :: যমুনা ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ঋণ নিয়ে প্রায় আড়াই বছর আগে পালিয়ে যান আক্তারুজ্জামান মুন্না। এ বিষয়ে ওই ব্যক্তির নামে মামলা করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। আক্তারুজ্জামান মুন্না পেশায় একজন ব্যবসায়ী। আড়াই বছর ধরে ব্যাংকের টাকা ঋন নিয়ে পলাতক।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আক্তারুজ্জামান মুন্না স্থানীয় যমুনা ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংক থেকে প্রায় ৫০ লাখ টাকা ঋণ নেন। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকেও বিভিন্ন সময়ে টাকা ধার নেন তিনি। পরে ২০১৮ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারী মাসে সব টাকা নিয়ে পালিয়ে যান। সেদিন থেকে আর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও যাননি।
অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মো. জামাল উদ্দিন জানান, আক্তারুজ্জামান মুন্না তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের চেক দেখিয়ে ছাতক অগ্রণী ব্যাংক থেকে ২ লাখ টাকা ঋণ নেন। ছাতক উপজেলাধীন মেসার্স মায়ের দোয়া বস্ত্র বিতান নামীয় একটি কাপড়ের দোকানের জন্য বাড়ির দলিল রেখে ঋণ নেন আরও ২৮ লাখ টাকা। চেক রেখে ভোগ্যপণ্য ঋণ বাবদ ২ লাখ টাকা নিয়ে সেই ঋণ শোধ করেননি আক্তারুজ্জামান মুন্না। এ কারণে তার বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জ যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মামলা করা হয়েছে। ওই মামলায় আক্তারুজ্জামান মুন্না পলাতক রয়েছে। গত বুধবারও আদালতে মামলার শুনানি হয়েছে। শুনানিতে ব্যাংকের পক্ষ থেকে ব্যবস্থাপক হিসেবে তিনি নিজে হাজির ছিলেন। কিন্তু আক্তারুজ্জামান মুন্না হাজির হননি। এ ছাড়া ঋণের এই ৩০ লাখ টাকা এখন প্রায় ৩৮ লাখ টাকা হয়েছে। এ টাকার জন্যও আবারও মামলা হবে বলে তিনি জানান।
যমুনা ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মো. জহির উদ্দিন বলেন, আক্তারুজ্জামান মুন্না যমুনা ব্যাংক থেকে ২০ লাখ টাকা বন্ধকি ঋণ নেন। টাকা না দেওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জ যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মামলা করা হয়েছে বলে জানান ওই ব্যাংকের ব্যবস্থাপক।
এসব টাকা না দিয়ে পলাতক থাকায় দুই ব্যাংক থেকে আক্তারুজ্জামান মুন্ন‘র বাড়িতে সাইনবোর্ড ঝোলানো হয়েছে। এ বিষয়ে ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন তিনি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd