সিলেট ৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২রা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:১৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২১
নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের শাহপরাণ মাজারে চাঁদাবাজি ও হামলার ঘটনা সত্য প্রমানিত হয়েছে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় {নং- ১২, জিআর-৮৬/২০২১} আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। এসএমপি’র শাহপরাণ (রহ) থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) ৩০ জুন আদারতে এ চার্জশিট দাখিল করেন।
চার্জশিটের পর মামলাটি বর্তমানে বিচার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। হামলা লুটপাট চাঁদাবাজি ও প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে এ বছরের ২০ এপ্রিল ৬ জনকে এজাহারভুক্ত ও ২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে এ মামলা হয়। মাজারের খাদিম জামাল আহমদ এ মামলা করেন।
মামলাটির দীর্ঘ তদন্ত শেষে থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) এ চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটভুক্ত আসামীরা হচ্ছেন- এসএমপি’র শাহপরাণ এলাকার আব্দুল খালিকের ছেলে বেলাল আহমদ, খাদিমপাড়ার লালকাটঙ্গি গ্রামের ফজল মিয়ার ছেলে বদরুল ইসলাম, শাহপরাণ এলকার গৌছ উদ্দিন পাখি মেম্বারের ছেলে ইমন আহমদ, লালকাটঙ্গি গ্রামের মৃত ফজল মিয়ার ছেলে তাজুল ইসলাম তাজ ও নজমুল ইসলাম ও শাহপরাণ এলাাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে আলী।
আসামীদের মধ্যে বেলাল আহমদ, নজমুল ইসলাম ও আলী জামিনে রয়েছেন এবং বদরুল ইসলাম, ইমন আহমদ ও তাজুল ইসলাম তাজ বর্তমানে জেলে রয়েছেন। মামলা ও চার্জশিটে মামলায় উল্লেখ করা হয়, চার্জশিটভুক্ত আসামীরা প্রায়ই মাজারের খাদিমের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে আসছিল।
চাঁদা না দেওয়ায় গত ১৩ এপ্রিল রাতে পবিত্র রমজান মাসের ১ম তারাবির নামাজের শেষে মাজার কর্তৃপক্ষকে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। এসময় তারা গদ্দি ঘরের সামনে রাখা মসজিদের দান বাক্স ভেঙ্গে ১ লক্ষ টাকা নেয় এবং গদ্দিঘরে প্রবেশ ও ভাংচুর করে মোসাফিরদের খাবারের জন্য রাখা ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকাসহ মোট ২লাখ ৪০ হাজার টাকা লুটে নেয়। তখন তারা মিলিত হয়ে মাজারের খাদেম আজিজকে মেরে গুরুত্বর আহত করে ও তার পকেটে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। মহিলা ইবাদতখানায় প্রবেশ করে দায়িত্বে থাকা চম্পা বেগমকে মারপিট করে তার শ্লীলতাহানি ঘটায়। পরে স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আহতদেরকে চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় শাহপরাণ থানার লালকাটঙ্গি গ্রামের আব্দুল খালিকের ছেলে বেলাল আহমদকে প্রধান আসামী ৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও ২০জনকে অজ্ঞাতনামা রেখে এসএমপি’র শাহপরাণ থানায় মামলা দাখিল করেন হযরত শাহপারণ (রহ.) মাজার ওয়াকফ স্টেট ইসি নং ১৩৬৫১ মোতাওয়াল্লির পক্ষে জামাল আহমদ খাদিম। আদালতের সেরেস্তা চার্জশিটের (নং-১৫০) সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd