সিলেট ১০ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৬ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ২:২৮ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২১
নিজস্ব প্রতিবেদক :: চতুথর্ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ ও অন্তসত্ত্বা করে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে এক নরপশু। দিব্যি ঘুরে বেড়ালেও অজ্ঞাত কারণে তাকে গ্রেফতার করেেত পারছে না পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে সিেেলট সদর জালালাবাদ থানাধীন নগরের আখালিয়া নতুন বাজারে। ধর্ষক মিলাদ আহমদ আখালিয়া দামালী পাড়ার তুলা মিয়ার ছেলে ও আখালিয়া নতুনবাজারস্থ মিলাদ লাইটিং এন্ড সাজঘর এর মালিক।
এসএমপি’র জালালাবাদ থানায় দায়ের করা মামলা সূত্রে জানা যায়- জালালাবাদ থানার চামাউরা কান্দি শান্তিপুরের এক বিধাব নগরের আখালিয়া নয়বাজারস্থ একটি কলোনীতে থেকে মাটি কাটার কাজ করতেন। তার একমাত্র মেয়ে (১৩) আখালিয়া নয়াবাজারস্থ দারুল কোরআন একাডেমীতে ৪র্থ শেিেণতে পড়ে। একই শ্রেণিতে পড়ে আখালিয়া দামালী পাড়ার ধর্ষক মিলাদ আহমদের বোন।
সেই সূত্র ধরে নাবালিকা ওই মেয়ে মিলাদ আহমদেরন বোনের সাথে তার বাসায় যাওয়া আসা করতো। এক পর্যায়ে ৪র্থ ণ্রেণির সুবর্ণা ওই ছাত্রীর প্রতি কুনজর পড়ে আখালিয়া নতুন বাজারের মিলাদ রাইটিং এন্ড সাজঘরের ব্যবসায়ী মিলাদ আহমদের। মিলাদ প্রায়ই ওই ছাত্রীেেক প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করতো। একপর্যায়ে গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাতে মাটিশ্রমিক ওই বিধবা তার মেয়েকে ঘরে রেখে বাইরে কাজে চলে যান । এই সুয়োগে ও পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে লম্পট মিলাদ ওই মেয়েকে ডেকে তার দোকান মিলাদ লাইটিং এন্ড সাজঘরে নিয়ে যায় এবং জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। পরে তাকে বিয়ের প্রলোভনে ফুসলিয়ে প্রায়ই ধর্ষণ করতে থাকে। এক পর্যায়ে ঘাপলা বেঁধে যায়। অন্তসত্ত্ব হয়ে পেেড় ওই ছাত্রী। শারীরিক পরিবর্তন দেখে মা তাকে জিজ্ঞেস করলে সে ঘটনা খোলে বলে। বর্তমানে ওই ছাত্রী প্রায় ৭ মাসের অন্তসত্ত্ব। এঘটনায় ছাত্রীর মা এলাকায় বিচারপ্রার্থী হলে ধর্ষক স্থানীয় হওয়ায় তিনি বিচার পাননি। বিচার না পেয়ে গত ২ আগস্ট এসএমপির জালালাবাদ থানায় গিয়ে লম্পট মিলাদ আহমদকে একমাত্র আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা {নং-০৩(৮)২১} করেন। মামলার পর এলাকার প্রভাবশালীদের শেল্টারে থাকা ধর্ষক মিলাদ গ্রেফতার এড়িয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং বাদী ও ভিকটিমকে অপহরণ হত্যা ও গুম করার প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মামলার বাদী ওই বিধাবা।
এ ব্যাপারে জালালাবাদ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দৈনিক সিলেট এক্সপ্রেসকে জানান-প্রাথমিক তথ্যের সত্যতা পেয়ে মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলার পর থেকে আসামী মিলাদ আত্মগোপনে চলে গেছে। তাকে গ্রেফতারে পুলিশের তল্লাশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd