সিলেট ২১শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২২শে জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:৫৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১, ২০২১
নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেট জেলা পরিষদের মালিকানাধীন রাতারগুল সোয়াম ফরেস্টের মোটরঘাট বাজারের খেয়াঘাটের খাস কালেকশন নিয়ে আবারও রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি এই ঘাট খাস কালেকশনের জন্য ৫ বার দরপত্র আহবান করে জেলা পরিষদ সিলেট। দরপত্র আহবানের পরও কোনো দরদাতা না পাওয়ায় স্বারক নং-৪৬৬০৯১০০০০১১০১০১২১১৯০(৬) মূলে সাবেক প্রতিষ্ঠান জুঁই এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটার মো. মো. আফতাব মিয়াকে সমজিয়ে দেয় জেলা পরিষদ।
বুধবার (০১ সেপ্টেম্বর) থেকে প্রতিষ্ঠান জুঁই এন্টারপ্রাইজ খাস কালেকশন করা কথা থাকলেও প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারিদের বাঁধা দেয় স্থানীয় একটি সঙ্গবদ্ধ চক্র। তারা দেশিও অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারিদে হত্যা ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়।
স্থানীয় সূত্রে এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সিএমসির সদস্যরা এওলারটুক এলাকার সিফাত উল্লাহর ছেলে আমির উদ্দিন (৪৫), ইসমাইল মিয়ার ছেলে নুর মিয়া (৪০), বশির উদ্দিনের ছেলে তাজ উদ্দিন (৩৫), মৃত সুনাফর আলীর ছেলে আব্দুর রহমান (৩৭), মৃত আব্দুল গফুরেরর ছেলে নুর ওরফে লাম্বা নুর (৪৫) সহ চাঁনপুর ও পুয়াইনকাটা গ্রামের কিছু সন্ত্রাসীদের নিয়ে দেশিও অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদের হত্যার ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়।
নিরুপায় হয়ে জুঁই এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটার মো. আফতাব মিয়া বিষয়টি জেলা পরিষদকে অবহিত করেন। এরই প্রক্ষিতে সিলেট জেলা পরিষদ স্থানীয় থানাসহ এসএমপি’র পুলিশ কমিশনার, সিলেট জেলা প্রশাসক, গোয়াইনঘাটের উপজেলা নির্বাহী বরাবর লিখিত অবগত করেন। জুঁই এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটার মো. আফতাব মিয়া শঙ্কায় আছেন যে-কোনো মুহুর্তে রক্তক্ষয়ি সংর্ঘষের সম্বাবনা ঘটতে পারে।
এ ব্যাপারে সিলেট জেলা পরিষদের প্রধান নিবাহী কর্মকর্তা দেবজিৎ সিংহ জানান, এই ঘাটের খাস কালেকশনের জন্য ৫ বার দরপত্র আহবান করে জেলা পরিষদ সিলেট। দরপত্র আহবানের পরও কোনো দরদাতা না পাওয়ায় সাবেক প্রতিষ্ঠান জুঁই এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটার মো. মো. আফতাব মিয়াকে ঘাটটির ইজারা দেয়া হয়। এখন শুনলাম জুঁই এন্টারপ্রাইজের কর্মচারিদের বাঁধা দিয়েছে স্থানীয় সঙ্গবদ্ধ চক্র। আমরা বিষয়টি স্থানীয় থানাসহ এসএমপি’র পুলিশ কমিশনার, সিলেট জেলা প্রশাসক, গোয়াইনঘাটের উপজেলা নির্বাহী বরাবর লিখিত অবগত করেছি।
এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ খান মুহাম্মদ মাইনুল জাকির বলেন, আমাদের অবগত করা হয়েছে এবং বন কর্মকর্তার সাথে কথা আলাপ হয়েছে। বিষয়টি দেখার জন্য একজন অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd