সিলেট ৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৩০শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:২৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩০, ২০২১
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : স্বামীর হাতে নির্যাতনের শিকার হলেন সঙ্গীত শিল্পী পূরবী তালুকদার। একই সাথে ৬ বছরের শিশুকণ্যাকেও বেদম মারপিট করেন পুলিশ সদস্য স্বামী। ঘটনাটি ঘটে ২৯ আগষ্ট রোববার বিকেলে সিলেটের টুলটিকর এলাকায়। বর্তমানে শিশু কন্যাসহ শিল্পী পূরবী তালুকদার নগরীর জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসাশেষে তিনি এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন। পূরবী সুনামগঞ্জের ষোলঘর এলাকার গোপেন্দ্র তালুকদারের মেয়ে। পুরবীর নির্যাতনকারী স্বামীর নাম এ এস আই সুব্রত পাল। তিনি নগরীর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত রয়েছেন। সুব্রত পালের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা চাঁদপুরের পুরানবাজারে।
হাসপাতালের বেডে ব্যাথায় কাতরানো অবস্থায় প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় পূরবী তালুকদারের। নিজেকে কিছুটা সামলে নিয়ে তিনি বলেন, বলতে দ্বিধা নেই-আমার এর আগেও একটি বিয়ে হয়েছে এবং আমার দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। পুরনো সংসার ভেঙ্গে যাওয়ার এক পর্যায়ে পরিচয় ঘটে সুব্রত পালের সাথে। সামাজিক কারণে নিজের নতুন ঠিকানা এবং একটি আশ্রয়ের শর্তে পূরবী তালুকদার নিজেকে সঁপে দেন সুব্রত পালের কাছে।
পূরবীর দাবি অনুযায়ী ২০১৬ সালে তাদের বিয়ে হলেও কোনোদিন সংসারের ব্যয়ভার গ্রহণ করেন নি সুব্রত পাল। তবুও মাথার উপর শেষ আশ্রয় ধরে রাখতে নিজে টিউশনি করে সংসার চালাচ্ছিলেন তিনি। দুটি কন্যা সন্তানের ভবিষ্যত চিন্তা করে সুব্রত পালের অকথ্য নির্যাতন সহ্য করে যাচ্ছেন তিনি। কিন্তু যখনই বিয়ের রেজিস্ট্রারির জন্য চাপ দেওয়া হয়, তখনই শুরু হয় পূরবীর উপর নির্যাতন। নির্যাতন কালীন বাদ পড়েন না শিশু কণ্যাসহ পূরবীর অপর মেয়ে সন্তানও।
পূরবী জানান, প্রথম অবস্থায় বিয়ে করার বিষয়টি তাঁর কাছে গোপন রাখেন সুব্রত পাল। পরবর্তীতে সুব্রত পালের বিয়ে হয়েছে-এমন তথ্য জানার পর থেকে শুরু হয় পারস্পরিক কলহ। পূরবী জানান, নগরীর শিবগঞ্জ লামাপাড়ায় রয়েছে সুব্রত পালের ১ম স্ত্রী জবা পাল। শুধু এখানেই শেষ নয়, নারী লোভী এই পুলিশ সদস্যের আরো একাধিক মেয়ের সাথেও সম্পর্ক রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এর আগে ইভা দাস (ছদ্মনাম) নামের এক মেয়েকেও পর্ণোগ্রাফির ভয় দেখিয়ে দিনের পর দিন ভোগ করেন তিনি। পরবর্তীতে এ বিষয়ে মেয়েটির পিতা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
পূরবী তালুকদার বলেন, রোববার (২৯ আগষ্ট) সন্ধায় বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হাসপাতালে আসেন এবং ছবি তোলে নিয়ে গেছেন। তিনি ঘুমে থাকায় ফাঁড়ির ইনচার্জের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন পূরবী। তবে, সুব্রত পালের হুমকী এখনও অব্যাহত রয়েছে। সিলেট বেতারের তালিকাভুক্ত সঙ্গীতশিল্পী পূরবী তালুকদার হাসপাতালেও নিজেকে নিরাপত্তাহীন ভাবছেন। তিনি এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পূরবীর স্বামী এএসআই সুব্রত পাল বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের স্বামী-স্ত্রীর। সুতরাং এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে রাজী নই’।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd